thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল 24, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১,  ২০ শাওয়াল 1445

শিশুর ঘর তার আপন ভুবন

২০১৪ জানুয়ারি ০৮ ২০:৩৫:৩২
শিশুর ঘর তার আপন ভুবন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দিনে দিনে শহরে শিশুদের খেলার জায়গা কমে আসছে। এ ছাড়া পরিবার ছোট হওয়ার কারণে মা-বাবারা সন্তানদের চোখের আড়াল করতে চান না। তাইস্কুল বাদে বাকি সময়টুকু বেশির ভাগ শিশুকে ঘরে কাটাতে হয়। অন্যদিকে, গ্রামের শিশুরা খেলার জন্য পায় খোলা মাঠ। সুযোগ পায় জীবনের সৌন্দর্যকে পুরোপুরি উপভোগ করার।

শহরে শিশুরা বেড়েই ওঠে ইট-কাঠের খাঁচায়।তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য উপযোগী পরিবেশ দরকার। সেই পরিবেশের সবচেয়ে বড় অংশ ঘর- যা তার মানসিক বিকাশকে পূর্ণরূপে গড়ে উঠতে সাহায্য করে।শিশুদের মূল আগ্রহ ও আরামের কথা মাথায় রেখেই তাদের ভুবন তৈরি করতে হবে। মানুষের মানসিক বিকাশ ঘটে শিশুকালেই। যা তাকে পরবর্তীতে একজন পূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। তাই শিশুদের জন্য যেকোন পদক্ষেপই গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত।

সচেতন মা-বাবা হিসেবে সন্তানের ঘরের পরিবেশকে তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের সহযোগী করে তুলতে পারেন সহজেই। শিশুর চারিত্রিক বৈশিষ্টের সাথে মিল রেখে কাজে লাগাতে পারেন আপনার ভাবনা।

শিশুরা সাধারণত ছটফটে হয়ে থাকে, দৌড়-ঝাঁপ করে সারা বাড়ি মাথায় তোলাই যেন তাদের কাজ! তাই ঘরের আসবাবপত্র ব্যবহারের আগে শিশুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট বোঝা জরুরি। বেশি উঁচু আসবাব না রাখাই উচিত শিশুর ঘরে। সহজে লাফ দেওয়ার জন্য নিচু আসবাব রাখুন। এ ছাড়া ফার্নিচারের কোণা চোখা কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। ঘরের জানালা যেন কিছুটা উপরে থাকে। তবে খেয়াল রাখুন যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসে।

বাচ্চাদের ঘর থাকবে বর্ণিল রঙের মেলা। উজ্জ্বল রঙ যেমন- লাল, গোলাপী, নীল, সবুজ, বেগুনী অথবা তাদের পছন্দ অনুযায়ী রঙ দিয়ে ঘরকে সাজিয়ে তুলতে পারেন। কিংবা ঘরের দেয়াল জুড়েই গড়ে তুলতে পারেন গাছপালায় ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশের ছায়া। রেডিয়াম দিয়ে তৈরী করা চাঁদ-তারাসহ আরো নানা ফর্মের জিনিস পাওয়া যায় বাজারে যেগুলো ঘরের ছাদে লাগিয়ে দিলে রাতের অন্ধকারে ঘুমানোর আগের মূহুর্তেও তাকে আনন্দ দিতে পারে।

ঘরের আসবাবপত্রের মধ্যে রাখতে পারেন বিছানা, পড়ার টেবিল, আলমারিসহ খেলনা রাখার তাক। অথবা ঘরের একপাশ রাখতে পারেন খেলনা রাখার জন্য। এখন এমন অনেক ফার্নিচার পাওয়া যায় যেগুলো ফোল্ডিং স্টাইলে। ঘরের জায়গার সমস্যা আধুনিক শহরের ফ্ল্যাট-বাড়িতে খুবই পরিচিত এক সমস্যা। যার থেকে আমরা পরিত্রাণ পেতে পারি না কিন্তু জায়গার যাথাযথ ব্যবহার করে ঘরকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি, যা শিশুর ঘরের ক্ষেত্রে জরুরি।

বাচ্চাদের জগতে কিছু ফ্যান্টাসি চরিত্র থাকে। এগুলো তাদের অনেক বেশি প্রভাবিত করে। এই চরিত্রগুলো নিয়ে মার্কেটে হরেক রকম খেলনা ও ফার্নিচার পাওয়া যায়।এ ছাড়াও রয়েছে শিশুদের উপযোগী পর্দা ও বিছানার চাদর। কার্টুন বা ফ্যান্টাসি চরিত্র দিয়ে নকশা করা এসব ব্যবহারি জিনিসপত্র তাদের আনন্দের কারণ হতে পারে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএম/জানুয়ারি ০৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

লাইফস্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফস্টাইল - এর সব খবর