নতুন-সিঙ্গেল-ডাবল মিলে ৪৩০ এমপি!

বাহরাম খান ও আল হেলাল শুভ , দ্য রিপোর্ট : সদ্য সমাপ্ত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রকাশ হচ্ছে নানা তথ্য-প্রতিবেদন। সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটাররা তাদের জনপ্রতিনিধিদের দিচ্ছেন বিশেষ বিশেষ বিশেষণ। নতুন নির্বাচিত এমপিদের সঙ্গে যারা নবম ও দশম উভয় সংসদেই নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বলা হচ্ছে ডাবল এমপি।

যারা নবম সংসদে নির্বাচিত হয়েছেন কিন্তু দশম সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি বা করেও জয়ী হতে পারেননি তাদের বলা হচ্ছে সিঙ্গেল এমপি। কারণ নবম সংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙ্গে দেওয়ার আগ পর্যন্ত তারা এমপি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

নেত্রকোণা-১ আসনে নির্বাচিত নতুন এমপি ছবি বিশ্বাস দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘অন্য জায়গায় যাই হোক, আমার আসনে চারজন প্রার্থী ছিলাম। সে হিসেবে নির্বাচন খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে।’

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এই নির্বাচন দরকার ছিল। এর মাধ্যমে দেশ সাংবিধানিক সংকট থেকে রক্ষা যেমন পেয়েছে; একইভাবে বিরোধী দলের দাবি অযৌক্তিক প্রমাণিত হয়েছে।’

নবম সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় অনুষ্ঠিত হল দশম সংসদ নির্বাচন। ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতা মিলে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে ২৯২টি আসনের। নির্বাচনে সহিংসতায় পণ্ড হওয়া বাকি আসনগুলোর নির্বাচন হবে ১৬ জানুয়ারি।

নবম ও দশম সংসদ মিলে মোট এমপি সংখ্যা ৫৮৯ জন। কিন্তু একই আসনে দুইবার নির্বাচিত হওয়া এমপির সংখ্যা ১৬২ জন। এই হিসেবে নবম ও দশম সংসদের সদস্য ৪৩০ জন। নির্বাচন হয়ে যাওয়া আসনগুলোর মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ১০৭ জন। এরা সবাই দশম সংসদের নতুন মুখ।

টাঙ্গাইল-১ আসনের বাসিন্দা সুমন শিকদার। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা পেয়েছি। ভোট দিয়েছি একবার। আর পেয়েছি ডাবল এমপি।’

রংপুর-১ আসনের বাসিন্দা আমিনুল বাসার বলেন, এইটা কী নির্বাচন হয়েছে জানি না। তবে এই নির্বাচনের মাধ্যমে নাকি অনেকে রেডিমেড এমপি হয়েছে।

অন্যদিকে, নবম সংসদে নির্বাচিত হলেও এবার দল থেকে মনোনয়ন পাননি, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেও পরাজিত হয়েছেন এমন এমপি’র সংখ্যা ৯৭ জন। তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটাররা ‘সিঙ্গেল এমপি’ হিসেবে অভিহিত করছেন।

নেত্রকোণা-১ আসনের বাসিন্দা জিয়াউল হক জিয়া দ্য রিপোর্টকে বলেন, আমাদের পুরান এমপি দল থেকে মনোনয়ন পাননি। তিনি এখন সিঙ্গেল এমপি হয়ে গেছেন। সেই সঙ্গে পেয়েছি নতুন এমপি।

প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত নতুন এমপি ৬৩ জন

গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের ১৩৯টি আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নতুন এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন ৬৩ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ জীবনে প্রথমবার এমপি হলেও কয়েকজন রয়েছেন যারা এর আগেও এমপি ছিলেন।

আওয়ামী লীগ থেকে নীলফামারী-১ আফতাব উদ্দিন সরকার, দিনাজপুর-৬ শিবলী সাদিক, লালমনিরহাট-৩ আবু সালেহ সাঈদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, রাজশাহী-৩ আয়েনউদ্দিন, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মজিদ মণ্ডল, মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুবুল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-৪ আবদুর রউফ, ঝিনাইদহ-৩ নবী নেওয়াজ, ঝিনাইদহ-৪ আনোয়ারুল আজিম, যশোর-২ মনিরুল ইসলাম, যশোর-৬ ইসমত আরা সাদেক, খুলনা-১ পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-২ মিজানুর রহমান, সাতক্ষীরা-২ মীর মোস্তাক আহমেদ ববি, বরগুনা-২ শওকত হাচানূর রহমান, বরিশাল-৪ পঙ্কজ দেবনাথ, টাঙ্গাইল-৫ সানোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ-১০ ফাহমি গোলন্দাজ, নেত্রকোণা-১ ছবি বিশ্বাস, নেত্রকোণা-২ আরিফ খান জয়, নেত্রকোণা-৩ ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু, মানিকগঞ্জ-১ নাঈমুর রহমান দূর্জয়, ঢাকা-২০ এম এ মালেক, হবিগঞ্জ-৪ মাহবুব আলী, বি. বাড়িয়া-৩ উবাইদুল মোকতাদির, লক্ষীপুর-৪ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, চট্টগ্রাম-৩ মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম-৪ দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-১৫ আবু রেজা মো. নেজামউদ্দিন, চট্টগ্রাম-১৬ মোস্তাফিজুর রহমান, খাগড়াছড়ি আসন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নির্বাচিত হয়েছেন।

জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে জামালপুর-৪ মামুনুর রশিদ, ময়মনসিংহ-৭ এম এ হান্নান, ঢাকা-১ সালমা ইসলাম, ঢাকা-৪ সৈয়দ আবুল হোসেন, সিলেট-২ ইয়াহহিয়া চৌধুরী, সিলেট-৫ সেলিম উদ্দিন, হবিবগঞ্জ-১ আব্দুল মমিন চৌধুরী, বি.বাড়িয়া-৫ ফজলুর রহমান, ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে ঠাকুরগাঁও-৩ ইয়াসিন আলী, নড়াইল-২ শেখ হাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা-১ মোস্তফা লুতফুল্লাহ, বরিশাল-৩ টিপু সুলতান, জাসদ থেকে পঞ্চগড়-১ নাজমুল হক প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।

স্বতন্ত্র থেকে নওগাঁও-৩ আসনে সেলিম তরফদার, মেহেরপুর-২ মকবুল হোসেন, কুষ্টিয়া-১ রেজাউল হক চৌধুরী, ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিকী, পিরোজপুর-৩ রুস্তম আলী ফরাজী, নরসিংদী-২ কামরুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ফরিদপুর-৪ মজিবুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ আব্দুল মতিন, কুমিল্লা-৩ ইউসূফ আব্দুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা-৪ রাজি মো. ফখরুল, ফেনী-৩ রহিম উল্লাহ, নোয়াখালী-৬ আয়েশা ফেরদাউস, রাঙামাটি উষাতন তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন।

তরিকত ফেডারেশন থেকে লক্ষীপুর-১ এ এম আউয়াল, চট্টগ্রাম-২ সৈয়দ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী এবং বিএনএফ থেকে ঢাকা-১৭ আসনে আবুল কালাম আজাদ নির্বাচিত হন।

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত নতুন এমপি ৪৪ জন

তারা দশম জাতীয় সংসদের সবচেয়ে ভাগ্যবান এমপি। জীবনে প্রথমবার এমপি হয়েছেন অথচ ভোটের মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। অনেকেই এদের রেডিমেড এমপি হিসেবেও অভিহিত করছেন। কেউবা বলছেন, গুডলাক এমপি।

আওয়ামী লীগ থেকে লালমনিরহাট-২ আসনে নূরুজ্জামান আহমেদ, রংপুর-২ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, জয়পুরহাট-১ সামছুল আলম দুদু, জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নাটোর-১ আবুল কালাম, নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল, সিরাজগঞ্জ-২ হাবিবে মিল্লাত, সিরাগঞ্জ-৪ তানভির ইমাম, বরিশাল-৫ শওকত হোসেন হিরণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ কানসাট বিদ্যুৎ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী গোলাম রব্বানী, পাবনা-২ আজিজুর রহমান আরজু, যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ, ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ, ঢাকা-১৯ এনাম মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. এনামুর রহমান, সাতক্ষীরা-৪ জগলুল হয়দার, ময়মনসিংহ-৯ আনোয়ার আবেদীন খান তুহিন, মানিকগঞ্জ-২ কন্ঠশিল্পী মমতাজ (নবম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন), মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃণাল কান্তি দাস, কিশোরগঞ্জ-২ সোহরাব উদ্দিন, মাদারীপুর-৩ আসনে আ ফ ম বাহাউদ্দিন, ব্রাক্ষণবাড়ীয়া-৪ আনিসুল হক, চাঁদপুর-৪ মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া, ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-৩ মামুনুর রশীদ কিরণ, লক্ষ্মীপুর-৩ একেএম শাহজাহান কামাল, চট্টোগ্রাম-১৪ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার-২ আশেক উল্লাহ রফিক, নোয়াখালী-১ এইচএম ইব্রাহিম এবং কক্সবাজার-৩ থেকে সাইমুম সরোয়ার কমল এর আগে মনোনয়ন পেলেও এমপি হিসেবে এই প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম এর আগে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেলেও এমপি নির্বাচিত হতে পারেননি। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় এমপি নির্বাচিত হন।

জাতীয় পার্টি থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন নীলফামারী-৪ আসনে শওকত চৌধুরী। তিনি এর আগে দল থেকে মনোনয়ন পেলেও এমপি হতে পারেননি। একই অবস্থা বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নার। এ ছাড়া বগুড়া-৩ নূরুল ইসলাম তালুকদার, বগুড়া-৬ নূরুল ইসলাম ওমর, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রত্না, ময়মনসিংহ-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, নারায়ণগঞ্জ-৩ লিয়াকত হোসেন খোকা, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে পীর ফজলুর রহমান, কুমিল্লা-২ মোহাম্মদ আমির হোসেন, কক্সবাজার-১ মোহাম্মদ ইলিয়াছ, সিলেট-৫ সেলিম উদ্দিন এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মোহাম্মদ নোমান ৯৬ সালে মনোনয়ন পেলেও এমপি হিসেবে এই প্রথম নির্বাচিত হয়েছেন। হবিগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচিত মোহাম্মদ আব্দুল মনিম চৌধুরী এর আগে একটি উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জয়ী হতে পারেননি।

এ ছাড়া জাসদ থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথমবারের মতো নির্বাচিত ফেনী-১ আসনে শিরীন আক্তার ’৯১ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও এই প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

সাবেক এমপিদের মধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছেন রংপুর-১ মসিউর রহমান রাঙা, কুড়িগ্রাম-২ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ-১ মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-৬ হাসিবুর রহমান স্বপন, বাগেরহাট-৩ তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৪ মোস্তফা রশিদী, খুলনা-৬ শেখ নূরুল হক, পটুয়াখালী-২ খ ম জাহাঙ্গীর, বরিশাল-১ আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, পিরোজপুর-২ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (জেপি), ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম, ঢাকা-৬ কাজী ফিরোজ রশিদ, ঢাকা-৭ হাজী সেলিম, নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান, কুমিল্লা-২ আমির হোসেন, কুমিল্লা-৮ নূরুল ইসলাম মিলন, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, চাঁদপুর-৪ ডঃ শামসুল হক ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম-৯ জিয়াউদ্দিন বাবলু।

‘সিঙ্গেল এমপি’ ১৩৩ জন

এদের বেশির ভাগই দলীয় মনোনয়ন পাননি। কেউ কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগীদের মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড়-১ মাজহারুল হক প্রধান, ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী (নির্বাচন হয়নি), দিনাজপুর-৬ আজিজুল হক চৌধুরী, নীলফামারী-১ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নীলফামারী-৪ মারুফ সাকলান, লালমনিরহাট-২ মজিবুর রহমান, লালমনিরহাট-৩ গোলম মোহাম্মদ কাদের, রংপুর-১ মকবুল হোসেন, রংপুর-২ আনিসুল ইসলাম মণ্ডল, রংপুর-৬ আবুল কালাম আজাদ (উ.নি), কুড়িগ্রাম-২ জাফর আলী, কুড়িগ্রাম-৪ জাকির হোসেন, গাইবান্ধা-১ আঃ কাদের খান, গাইবান্ধা-৩ ড. টিআইএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী, গাইবান্ধা-৪ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ এমামুল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ জিয়াউর রহমান, নওগাঁও-৩ আকরাম হোসেন চৌধুরী, রাজশাহী-৩ মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, নাটোর-১ আবু তালহা, নাটোর-২ আহাদ আলী সরকার, সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ-২ রোমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ-৪ শফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলাম, পাবনা-২ এ কে খন্দকার, মেহেরপুর-১ জয়নাল আবেদীন, কুষ্টিয়া-১ আফাজ উদ্দিন আহমেদ. কুষ্টিয়া-৩ রশিদুজ্জামান দুদু, কুষ্টিয়া-৪ বেগম সুলতানা তরুন, ঝিনাইদহ-২ শফিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ-৩ শফিকুর আজম খান, ঝিনাইদহ-৪ আব্দুল মান্নান, যশোর-২ মোস্তফা ফারুক, যশোর-৩ খালেদুর রহমান টিটো, যশোর-৬ অধ্যক্ষ আব্দুল ওহাব, নড়াইল-২ শেখ আবু বাকের, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার বেগম, খুলনা-১ ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-৪ মোল্লা জালাল, খুলনা-৬ সোহরাব আলী সানা, সাতক্ষিরা-১ শেখ মুজিবুর রহমান, সাতক্ষীরা-২ এম এ জব্বার, সাতক্ষীরা-৪ এইচএম গোলাম রেজা, বরগুনা-২ গোলাম সবুর, পটুয়াখালী-১ শাহজানান মিয়া, পটুয়াখালী-৩ গোলাম মওলা রনি, বরিশাল-২ মনিরুল ইসলাম মনির, বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া, পিরোজপুর-২ শাহ আলম, পিরোজপুর-৩ আনোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৫ আবুল কাশেম, জামালপুর-৪ মুরাদ হাসান, জামালপুর-৪ মামুনুর রশিদ, ময়মনসিংহ-২ খান বেলাল, ময়মনসিংহ-৪ মতিউর রহমান, ময়মনসিংহ-৫ খালিদ বাবু, ময়মনসিংহ-৭ রেজা আলী, ময়মনসিংহ-৮ আব্দুস সাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম, ময়মনসিংহ-১০ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, নেত্রকোনা-১ মোশতাক আহমেদ রুহী, নেত্রকোনা-২ আফরাফ আলী খসরু, নেত্রকোনা-৩ মঞ্জুর কাদের কোরাইশী, কিশোরগঞ্জ-২ এম এ মান্নান, মানিকগঞ্জ-১ আনোয়ারুল হক, মানিকগঞ্জ-২ আব্দুল মান্নান, মুন্সিগঞ্জ-৩ এম ইদ্রিস আলী, ঢাকা-১ আব্দুল মান্নান, ঢাকা-৪ সানজিদা খাতুন, ঢাকা-৭ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা-১৭ হু মু এরশাদ, ঢাকা-১৯ তৌহিদ জং মুরাদ, ঢাকা-২০ বেনজির আহমেদ, নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান, নরসিংদী-৩ জহিরুল হক মোহন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, নরায়নগঞ্জ-৪ সারাহ বেগম কবরী, সুনামগঞ্জ-৪ মতিউর রহমান, সিলেট-২ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৫ হাফিজ আহমদ, মৌলভীবাজার-২ আব্বাস খান, হবিগঞ্জ-১ দেওয়ান ফরিদ গাজী, হবিগঞ্জ-৪ মোস্তফা শহীদ, বি বাড়িয়া-৩ লুৎফুল হাই সাচ্চু, বি.বাড়িয়া-৪ শাহ আলম, বি.বাড়িয়া-৫ শাহ জিকরুল হক, কুমিল্লা-৪ গোলাম মোস্তফা, কুমিল্লা-৮ নাসিমুল আলম চৌধুরী, চাঁদপুর-২ রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-৩ এবিএম আবুল কাশেম মাস্টার, চট্টগ্রাম-৮ নূরুল ইসলাম বিএসসি, খাগড়াছড়ি আসন যতিন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি আসন দীপঙ্কর তালুকদার, বান্দরবান আসন- বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।

নবম জাতীয় সংসদে বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের এমপি ছিল ৩৬ জন। ১৮ দলীয় জোট দশম জাতীয় সংসদ বর্জন করায় সংশ্লিষ্ট জোটের সবাই সিঙ্গেল এমপিতে পরিণত হয়েছেন।

এ সব সিঙ্গেল এমপিরা হচ্ছেন, জয়পুরহাট-১ মোজাহার আলী প্রধান, জয়পুরহাট-২ গোলাম মোস্তফা, বগুড়া- ২ একেএম হাফিজুর রহমান, বগুড়া-৩ আব্দুল মমিন তালুকদার, বগুড়া-৪ জেড আই এম মোস্তফা আলী, বগুড়া- ৬ ব্যরিস্টার মোহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার (উ.নি), বগুড়া-৭ মওদুদ আহমেদ (উ.নি), সিরাজগঞ্জ-২ রোমান মাহমুদ, মেহেরপুর-২ আমজাদ হোসেন, খুলনা-২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বরিশাল-৪ মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, বরিশাল- ৫ মজিবুর রহমান সারওয়ার, কুমিল্লা-২ এম কে আনোয়ার, কুমিল্লা-৩ কাজী মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, চাঁদপুর-৪ হারুনুর রশিদ, ফেনী-১ খালেদা জিয়া, ফেনী-২ জয়নাল আবেদীন, ফেনী-৩ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, নোয়াখালী-১ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ জয়নাল আবদিন ফারুক, নোয়াখালী-৩ বরকত উল্লাহ বুলু, লক্ষীপুর-১ নাজিম উদ্দিন আহমেদ, লক্ষীপুর-২ আবুল খায়ের ভূইঁয়া, লক্ষীপুর-৩ শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, লক্ষীপুর-৪ এ বি এম আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম- ২ সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ মোস্তফা কামাল পাশা, কক্সবাজার -১ হাসিনা আহমদ, কক্সবাজার-৩ লুৎফর রহমান, ফরিদপুর-৪ নীলুফার জাফর উল্যাহ, মাদারীপুর-৩ সৈয়দ আবুল হোসেন,চট্টগ্রাম-১৩ কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম (এলডিপি), নোয়াখালী-৬ ফজলুল আজিম(স্বতন্ত্র), ভোলা-১ ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ (বিজেপি)। এ ছাড়া জামায়াত ইসলামী থেকে রয়েছেন চট্টগ্রাম-১৪ শামসুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আজাদ।

নির্বাচিত ডাবল এমপি ৭৩ জন

সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে এবং নবম সংসদ নির্বাচনে যারা এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন পঞ্চগড়-২ নূরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন, দিনাজপুর-১ মনোরঞ্জণ শীল গোপাল, দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, লালমনিরহাট-১ মোতাহার হোসেন, রংপুর-৩ হু মু এরশাদ, রংপুর-৪ টিপু মুন্সি, রংপুর-৬ শেখ হাসিনা, কুড়িগ্রাম-১ মোস্তাফিজুর রহমান, গাইবান্দা-২ মাহবুব আরা গিনি, নওগাঁও-৪ ইমাজউদ্দিন প্রামানিক, নওগাঁ-৩ আব্দুল মালেক, রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম, নাটোর- জুনায়েদ আহমেদ পলক, পাবনা-১ শামসুল হক টুকু, পাবনা-৩ মকবুল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ারদার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা- ২ আলী আসগর, ঝিনাইদহ-১ আব্দুল হাই, যশোর-৪ রঞ্জিত কুমার রায়, মাগুরা-১ সিরাজুল আকবর, মাগুরা- ২ বীরেন শিকদার, নড়াইল-১ কবিরুল হক মুক্তি, বাগেরহাট- ৪ মোজাম্মেল হোসেন, খুলনা-৩ মুন্নজান সুফিয়ান, বরগুনা-১ ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভু, ভোলা-৩ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, বরিশাল- ২ তালুকদার মো. ইউনূস (নবম সংসদে বরিশাল-১ থেকে নির্বাচিত), পটুয়াখালী-১ এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার (নবম সংসদে বরিশাল-৬ আসনের এমপি) ঝালকাঠি-১ হারুণ বজলুল হক, টাঙ্গাইল-২ খন্দকার আসাদুজ্জামান, টাঙ্গাইল-৬ খন্দকার আব্দুল বাতেন, জামালপুর-১ আবুল কালাম আজাদ, জামালপুর- ২ ফরিদুল হক খান দুলাল, জামালপুর-৫ রেজাউল করিম হীরা, শেরপুর-১ আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর- ২ মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর- ৩ ফজলুল হক, ময়মনসিংহ- ৩ মুজিবুর রহমান ফকির, ময়মনসিংহ- ৬ মোসলেম উদ্দিন, ময়মনসিংহ-১১ আমান উল্লাহ, কিশোরগঞ্জ-৩ মজিবুল হক চুন্ন, মুন্সিগঞ্জ-১ সুকুমার রঞ্জণ ঘোষ, মুন্সিগঞ্জ- ২ সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, ঢাকা-৫ হাবিবুর রহমান মোল্লা, ঢাকা- ১১ রহমত উল্যাহ (নবম সংসদে ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ), ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, ঢাকা-১৮ সাহারা খাতুন, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি, নরসিংদী-১ নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ- ১ গোলাম দস্তগীর, গোপালগঞ্জ-১ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ- ২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, গোপালগঞ্জ- ৩ শেখ হাসিনা, সুনামগঞ্জ-১ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ- ৩ এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ- ৫ মহিবুর রহমান মানিক, সিলেট- ৪ ইমরান আহমেদ, মৌলভীবাজার- ১ শাহাব উদ্দিন, হবিগঞ্জ-২ মজিদ খান, হবিগঞ্জ-৩ আবু জাহির, বি.বাড়িয়া- ১ ছাবেদুল হক, ব্রাম্মনবাড়িয়া- ২ জিয়াউল হক মৃধা, কুমিল্লা- ১ সুবিদ আলী ভূইয়া, কুমিল্লা- ৫ আব্দুল মতিন খসরু, কুমিল্লা- ৬ বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা-৯ তাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১১ এম আব্দুল লতিফ (নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সাংসদ), চট্টগ্রাম-১২ শামসুল হক চৌধুরী (নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ), চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী (নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ আসনের সাংসদ), কক্সবাজার-৪ আবদুর রহমান বদি।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ‘ডাবল এমপি’ ৯২ জন

তারা নবম সংসদের নির্বাচিত এমপি। একইসঙ্গে দশম সংসদে ভোট ছাড়াই যারা নির্বাচিত হয়েছেন। তাই ‘ডাবল’ এমপি ৯২ জন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, ফরিদপুর-২ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ভোলা-১ আসনে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সিলেট-১ আসনে আবুল মাল আবদুল মুহিত, সুনামগঞ্জ-২ আসনে সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, চাঁদপুর-১ আসনে ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাদারিপুর-২ আসনে শাজাহান খান, নোয়াখালি-৫ আসনে ওবায়দুল কাদের, চাঁদপুর-৩ আসনে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি, ঢাকা-১৩ আসনে জাহাঙ্গীর কবির নানক, টাঙ্গাইল-১ আসনে কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুর রাজ্জাক, দিনাজপুর-২ আসনে সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নীলফামারী-২ আসনে সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর, চট্টগ্রাম-৭ আসনে মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাংসদ), ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ শেখ ফজলে নূর তাপস (নবম সংসদে ঢাকা-১২ আসনের সাংসদ), ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান কামাল (নবম সংসদে ঢাকা-১৩ আসনের সাংসদ), মহানগর কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

জাতীয় পার্টির রয়েছেন রয়েছেন, ময়মনসিংহ-৪ আসনে রওশন এরশাদ। চট্টগ্রাম- ৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম -৪ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ), ঢাকা-৮ আসনে ওর্য়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, রাজশাহী-২ আসনে দলটির পলিটব্যুরোর সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, কুষ্টিয়া-২ আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রমুখ।

এ ছাড়াও বর্তমান এমপিদের মধ্যে যারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে দবিরুল ইসলাম, রংপুর-৫ আসনে এইচ এম আশিকুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে একেএম মাইদুল ইসলাম, গাইবান্দা-৫ ফজলে রাব্বি মিয়া, বগুড়া-৫ হাবিবুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আবদুল ওয়াদুদ। নওগাঁ-১, ২, ৬ আসনে যথাক্রমে সাধন চন্দ্র মজুমদার, শহীদুজ্জামান সরকার ও ইস্র্রাফিল আলম। রাজশাহী ১, ৪ এবং ৫ আসনে যথাক্রমে ওমর ফারুক চৌধুরী, প্রকৌশলী এনামুল হক ও আবদুল ওয়াদুদ। নাটোর-৪ আবদুল কুদ্দুস, সিরাজগঞ্জ-৩ ইসহাক হোসেন তালুকদার। পাবনা-৪, ৫ আসনে যথাক্রমে শামসুর রহমান শরীফ ডিলু, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স। যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন, নড়াইল-১ কবিরুল হক মুক্তি, বাগেরহাট-১, ২ আসনে যথাক্রমে হেলাল উদ্দিন ও মীর শওকত আলী বাদশা।

খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাতক্ষীরা-৩ আ ফ ম রুহুল হক, পটুয়াখালী-২, ৪ আসনে যথাক্রমে আ স ম ফিরোজ ও মাহবুবুর রহমান তালুকদার, ভোলা-১, ৪ যথাক্রমে তোফায়েল আহমেদ ও আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যকব। ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু, পিরোজপুর-১ একেএমএ আওয়াল। টাঙ্গাইল-১, ৩, ৪, ৭ ও ৮ আসনে যথাক্রমে ড. আবদুর রাজ্জাক, আমানুর রহমান খান রানা, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, একাব্বর হোসেন এবং শওকত মোমেন শাহজাহান।

জামালপুর-৩ মির্জা আজম, ময়মনসিংহ-১ প্রমোদ মানকিান। নেত্রকোনা-৪ এবং ৫ আসনে যথাক্রমে রেবেকা মোমেন ও ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল। কিশোরগঞ্জ-৪, ৫, ও ৬ আসনে যথাক্রমে রেজোয়ান আহমেদ তৌফিক, আফজাল হোসেন এবং নাজমুল হাসান পাপন। মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক স্বপন। ঢাকা-৩, ১০, ১১, ১৪ আসনে যথাক্রমে নসরুল হামিদ বিপু, একেএম রহমত উল্যাহ, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং আসলামুল হক।

গাজীপুর-১, ২, ৩ এবং ৫ আসনে যথাক্রমে আকম মোজাম্মেল হক, জাহিদ আহসান রাসেল, রহমত আলী ও মেহের আফরোজ চুমকি। নরসিংদী-৪ ও ৫ আসনে যথাক্রমে নূরুল মজিদ হুমায়ূন এবং রাজিউদ্দিন আহমেদ। নারায়ণগঞ্জ-২, ৫ আসনে যথাক্রমে নজরুল ইসলাম বাবু ও নাসিম ওসমান। রাজবাড়ী-১, ২ আসনে কাজী কেরামত আলী, জিল্লুল হাকিম। ফরিদপুর-১ এবং ৩ আসনে যথাক্রমে আব্দুর রহমান ও খন্দকার মোশারফ হোসেন। মাদারীপুর-২ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। শরীয়তপুর-১, ২ এবং ৩ আসনে যথাক্রমে বিএম মোজাম্মেল হক, কর্ণেল (অব.) শওকত আলী ও নাহিম রাজ্জাক।

সিলেট-৩ এবং ৬ আসনে মাহমুদ-উস কায়েস চৌধুরী এবং নূরুল ইসলাম নাহিদ। মৌলভীবাজার-৩ এবং ৪ আসনে সৈয়দ মোহসীন আলী ও উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। ব্রাক্ষমবাড়িয়া-৬ ক্যপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম। কুমিল্লা ৭, ১০ ও ১১ আসনে অধ্যাপক আলী আশরাফ, আ হ ম মোস্তফা কামাল এবং মুজিবুল হক মুজিব।

চাদঁপুর-৫ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। নোয়াখালী-৪ ও ৫ আসনে একারামুল করিম চৌধুরী এবং ওবায়দুল কাদের। চট্টগ্রাম-১, ৮ ও ১০ আসনে যথাক্রমে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মইনউদ্দীন খান বাদল (নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাংসদ) এবং আফসারুল আমিন (নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনের সাংসদ), চট্টগ্রাম-৬ ফজলে করিম চৌধুরী (নবম সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৫ আসনের সাংসদ)।

পুনর্নির্বাচনের অপেক্ষায় ৮ আসন

পুনর্নির্বাচনের অপেক্ষায় ৮ আসন হচ্ছে, দিনাজপুর-৪, কুড়িগ্রাম-৪, গাইবান্দা-১, গাইবান্দা-৩, গাইবান্ধা-৪, বগুড়া-৭, যশোর-৫, বান্দরবান। এই আসনগুলোসহ রংপুর-৬ (শেখ হাসিনার ছেড়ে দেওয়া) আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি।

(দ্য রিপোর্ট/বিকে-এএইচএস/এইচএসএম/সা/জানুয়ারি ০৯, ২০১৪)