thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৯ শাওয়াল 1445

‘ঐকমত্যের নামে কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাবেন না’

২০১৪ জানুয়ারি ১০ ১৩:০৭:৫২
‘ঐকমত্যের নামে কাঁঠালের আমসত্ত্ব বানাবেন না’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ঐকমত্যের সরকারের নামে কাঁঠালের আমসত্ত্ব না বানানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সকলের অংশগ্রহণ থাকতে হয়। অন্যথায় তা অটোক্রেসিতে রূপ নেয়।’

জাতীয় পার্টিকে ইঙ্গিত করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘মন্ত্রিত্বের জন্য তদবির শুরু হয়ে গেছে। তারা বিরোধী দলেও থাকতে চায় আবার মন্ত্রিত্বও নিতে চায়। গাছেরটাও খেতে চায় নিচেরটাও কুড়াতে চায়।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের হাত থেকে কেউ রক্ষা পায়নি। আপনারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। আপনি বলেন এক কথা আপনার গুণধন পুত্র বলে আরেক কথা। আপনাদের বলব প্রতিহিংসার রাজনীতি ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে আসুন।’

জামায়াতের সঙ্গে স্থায়ী জোট নয়- বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় উগ্রবাদী জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করুন। যুদ্ধাপরাধের বিচারে অংশ নিন, সহযোগিতা করুন। নৈরাজ্য ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে এলে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনে মধ্যবর্তী নির্বাচনও হতে পারে।’

এ সময় তিনি জাতীয় সঙ্কটকালে সকলের অংশগ্রহণে কাজ করার আশাবাদও ব্যক্ত করেন।

নবম সংসদ রেখে দশম সংসদের শপথগ্রহণ সংবিধান লঙ্ঘন- বিভিন্ন মহলের এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে প্রবীণ এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘সরকার গঠনের যে প্রক্রিয়া চলছে তা শতভাগ সংবিধান মেনেই হচ্ছে। আমরা ৭২-এর সংবিধানে ফিরে এসেছি। সেই সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব ১ মিনিটের জন্যও জনপ্রতিনিধিত্ব ছাড়া চলবে না। একটি পার্লামেন্টের কাছ থেকে আরেকটি পার্লামেণ্ট ক্ষমতা নেবে। সংবিধানের ১২৩ (ক) ধারা অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে। ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকার গঠিত হচ্ছে। গণতন্ত্র সংবিধান মোতাবেক সংবিধান অনুযায়ী চলবে, এর ব্যত্যয় আওয়ামী লীগ করতে পারে না।’

সারাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিচারে নতুন আইন ও ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে দোষীদের বিচার দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালে নির্বাচনের পরও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছিল। তখন হামলা হয়েছিল তারা কেন ভোট দেয়নি। আজ হামলা হয়েছে তারা কেন ভোট দিল। তখন বিচার হলে আজকে আর এ ধরনের ঘটনা ঘটত না। যারা এই দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করে তারা একবারও চিন্তা করে না এখানে যারা সংখ্যালঘু পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে তারা সংখ্যাগুরু। আবার এখানে যারা সংখ্যাগুরু পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে তারা সংখ্যালঘু। এখানে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেখানে কী ঘটবে? এ ঘটনা আজ আমাদের জাতীয় লজ্জায় পরিণত হয়েছে।’ আমাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক শক্তিগুলোও এ ঘটনার প্রতিবাদ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

এ সময় তিনি এ সব ঘটনার দায় বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন।

সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, জাসদ নেতা মীর হোসাইন আখতার প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এইউএ/এমসি/শাহ/জানুয়ারি ১০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর