thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৯ জানুয়ারি 25, ১৬ মাঘ ১৪৩১,  ২৯ রজব 1446

মেহেরপুরে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

২০১৪ জানুয়ারি ১৩ ০৭:০৫:২৭
মেহেরপুরে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ

মেহেরপুর সংবাদদাতা : নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবছর নতুন নতুন ইটভাটা গড়ে উঠছে। আর এ সব ইটভাটায় প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ হাজার মণ জ্বালানি কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোয় উজাড় হচ্ছে বন। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগবালাই। এতে পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে আবাদি জমি, উজাড় হচ্ছে গাছপালা, ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি।

জেলার শতাধিক ইটভাটা মালিকের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে বিপুল পরিমাণ টাকা পকেটস্থ করছে। এ কারণে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। প্রায় প্রতিটি ইটভাটার মালিকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা নজরদারি করলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কয়েকটির সাময়িক সনদ থাকলেও বাকি ইটভাটার কোনো অনুমোদন নেই। প্রভাবশালী রাজনীতিকরা প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ইটভাটা তৈরি করছেন। ভাটার চিমনি তৈরিতে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও ইটভাটা মালিকরা ব্যারেল ড্রামের চিমনি ব্যবহার করছেন।

ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসন অবৈধ ইটভাটার তালিকা তৈরি করে অভিযান পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করলেও অজ্ঞাত কারণে অভিযান থমকে গেছে। তবে লোক দেখানো কয়েকটি অভিযান চালানো হলেও নামমাত্র জরিমানা করা হয়েছে।

সচেতন মহলের অভিযোগ, যেখানে-সেখানে ইটভাটা তৈরি হওয়ায় আবাদি জমিগুলো নষ্ট হচ্ছে। ইট তৈরিতে মাটির প্রয়োজন হলে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে আবাদি জমির উপরের এক থেকে দেড় ফুট মাটি কেটে ইট তৈরি করে। এতে ফসলি জমির উর্বরাশক্তি নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, ইটভাটার নির্গত কালো ধোঁয়ায় এলাকার পরিবেশ ও আবাদি জমির ফসল নষ্ট হচ্ছে। ভাটায় ব্যবহার করা হয় কাঠ।

ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইনে উল্লেখ রয়েছে, আবাদি জমিতে কোনো ইটভাটা তৈরি করা যাবে না ও ১২০ ফুট চিমনি ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়াও কাঠ পোড়ানো যাবে না। অথচ সব ইটভাটায় কয়লার বদলে কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। মেহেরপুর সিভিল সার্জন আব্দুশ শহীদ জানান, ইটভাটার নির্গত কালো ধোঁয়ায় মানুষের শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ক্যান্সারসহ নানা রোগের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত কার্বন ডাই-অক্সাইডের কারণে ফসল ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমআর/এএস/এমডি/শাহ/জানুয়ারি ১৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর