শেরপুরে আলুক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা

শেরপুর সংবাদদাতা : শেরপুরের চরাঞ্চলে আলুর আবাদ কৃষকদের নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে চরাঞ্চলের কৃষকরা এখন আলুর আবাদ করছেন। আলুক্ষেত পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চরাঞ্চলের আলুচাষিরা।

চরাঞ্চলের মাঠে মাঠে এখন আলুর সতেজ গাছ। কৃষকরা আলুর ক্ষেত পরিচর্যায় নালার মাটি কেটে ঠিক করে আলু গাছের গোড়ায় দিচ্ছেন। আলুক্ষেতে সার দিচ্ছেন এবং শীতের কারণে ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষায় কীটনাশক স্প্রে করছেন।

কৃষকরা জানান, গত বছর আলুর ভালো ফলন হলেও তারা দাম পাননি। সরকারিভাবে বিএডিসির আলুবীজ উৎপাদনকারী ব্লক চাষিরাও তাদের উৎপাদিত আলুর ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে জানান। তারপরও এবারও আশায় বুক বেঁধে কৃষকরা ভালো দামের আশায় আলুর আবাদ করেছেন। আলুচাষিরা আলুক্ষেত দেখে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন, এবারও তারা ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন। এ জন্য আগেভাগেই আলুর বাজার দর নির্ধারণ ও সরকারিভাবে আলু কেনার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আলুচাষিরা সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।

শেরপুর খামারবাড়ীর হিসাব মতে, এ বছর জেলায় ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে কৃষকদের আগ্রহের কারণে আলুর আবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর আলুর ফলন ভালো হওয়ায় এবং এবার বিএডিসি ভালোমানের বীজ সরবরাহ করায় কার্ডিনাল ও ডায়মন্ড জাতের আলুর চাষ বেশি হয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, আলুচাষিদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সুষম সার প্রয়োগ এবং কোনোপ্রকার রোগবালাই যাতে না হয় সেজন্য নিয়মিত আলুক্ষেত পরিচর্যার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এবারও আলুর ভালো ফলন হবে বলে কৃষি কর্মকর্তারা আশা করছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এসএইচ/এএস/শাহ/জানুয়ারি ১৩, ২০১৪)