thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে 24, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৩ শাওয়াল 1445

‘বিতর্কিত হিরো’কে বিদায় জানাল ইসরায়েল

২০১৪ জানুয়ারি ১৩ ১৮:১২:৫১
‘বিতর্কিত হিরো’কে বিদায় জানাল ইসরায়েল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারনের (৮৫) শেষকৃত্যের মাধ্যমে তাকে শেষ বিদায় জানাল দেশটির জনগণ। দেশটির সামরিক বাহিনী সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ শেষকৃত্যের আয়োজন করে। জীবদ্দশায় নিজ দেশে এ নেতা ‘সামরিক হিরো’ হিসেবে অভিনন্দিত হলেও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের কাছে তিনি ছিলেন একজন ‘রক্তপিপাসু’। খবর এনডিটিভির।

গাজা উপত্যকার কয়েক মাইল উত্তরে নিজ গ্রাম সাইক্যামোর র‌্যাঞ্চে পারিবারিক অনুষ্ঠানের পর শ্যারনকে সমাহিত করা হবে। নিজ অনুসারীদের কাছে ‘এরিক’ নামে পরিচিত শ্যারন সমাহিত হবেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী লিলির পাশে।

সাদা চুলের সাবেক এই জেনারেল ২০০৬ সালের ৪ জানুয়ারি বড় ধরনের স্ট্রোক করেন। এরপর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ৮ বছর কোমার মধ্যে ছিলেন তিনি।

ইসরায়েলের পতাকায় মোড়ানো শ্যারনের কফিনটি নেসেটের সামনে রাখা হয়। সেখানে দেশটির জনগণ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। কফিনটি বহনে ছিলেন শ্যারনের দুই ছেলে জিলাদ ও অমরি এবং সামরিক বাহিনীর সদস্যরা।

শেষকৃত্য অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

শ্যারনের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্র্যান্ক-ওল্টার স্টেইনমেইয়ের প্রমুখ।

১৯২৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশশাসিত ফিলিস্তিনে জন্ম নেওয়া বেলারুশিয়ান বংশোদ্ভুত শ্যারন বিশ্ববাসীর কাছে একজন হৃদয়হীন সামরিক নেতা হিসেবেই পরিচিত। মাত্র ১৭ বছর বয়সে হ্যাগানাহ বেসামরিক বাহিনীতে যোগ দেন শ্যারন। ১৯৪৮ সালের ইসরায়েলি স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর থেকেই শ্যারনের সেনাবাহিনীর জীবন শুরু হয়।

এরপর থেকে ইসরায়েলের প্রায় সবগুলো বড় যুদ্ধেই শ্যারনের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। রাজনীতিতে শ্যারনের প্রবেশ ঘটে ১৯৭৩ সালে। এ সময় তিনি দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ডে ইহুদি বসতি নির্মাণের কাজ তদারকি করতেন।

১৯৮২ সালে শ্যারন বৈরুতের সাবরা ও সাতিলা শরণার্থী ক্যাম্পে সামরিক হামলা চালিয়ে শত শত নিরাপরাধ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেন। এ কর্মকাণ্ডের জন্য বিশ্ববাসীর কাছে শ্যারন আজও একজন ঘৃণিত ও অস্পৃশ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হয়ে আছেন।

আরববাসীর ওপর শ্যারনের নির্যাতন তার নামের পাশে ‘দ্য বুলডোজার’ উপাধি যুক্ত করেছিল। তবে বেশিরভাগ বিশ্বনেতাই তাকে স্মরণ করেন ২০০৫ সালে তার দেওয়া ৮ হাজার ইসরায়েলি স্যাটেলার প্রত্যাহারের ঘোষণাটির জন্য।

(দ্য রিপোর্ট/এআইএম/এসকে/সা/জানুয়ারি ১৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর