thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি 25, ১৭ মাঘ ১৪৩১,  ১ শাবান 1446

বেনাপোলে পুলিশের সোনা আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস

২০১৪ জানুয়ারি ১৪ ১৮:২৫:৩০
বেনাপোলে পুলিশের সোনা আত্মসাতের ঘটনা ফাঁস

বেনাপোল সংবাদদাতা : যশোরের বেনাপোল থেকে সোনা আটকের পর ওসি ও এএসআইসহ পুলিশ সদস্যরা কীভাবে তা আত্মসাত করে সেই ঘটনা ফাঁস হয়ে গেছে। সোনা পাচার সিন্ডিকেটের হোতা মোমেনকে যশোর ডিবি পুলিশ রিমান্ডে নিলে তিনি পোর্ট থানার ওসি কাইয়ুম ও সহকারী উপ-পরিদর্শক রফিকের অপকর্মের কথা ফাঁস করেন।

এদিকে ডিবি পুলিশের কাছে মোমিন স্বীকারোক্তি দেওয়ার খবর জানার পর ওসি ও এএসআই রফিক বৈঠক করেন। এরপর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না রফিককে। পরে তার স্ত্রীও প্রাইভেট ভাড়া করে বেনাপোল ছেড়েছেন বলেও জানা গেছে। নিজের গা বাঁচিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওসিও যশোর খুলনায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।

জানা গেছে, বেনাপোলের কাগজপুকুর এলাকা থেকে ২ জানুয়ারি এএসআই রফিক ৫১টি সোনার বারসহ পাচারকারী চক্রের হোতা মোমেনকে আটক করে। সোনাসহ আটকের পর তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় আরও একজন এএসআইসহ ৩ জন কনস্টেবল সেখানে যান। লোপাট বাণিজ্য শেষে থানায় এনে ৩৬টি বারসহ মোমিনের নামে মামলা দেওয়া হয়।

পুলিশের সোনা আত্মসাতের এ ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব ভদ্র ও এএসপি-ক সার্কেল মিলু মিয়া বিশ্বাস তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান। তবে তার আগেই ওসি ও এএসআই রফিক আটক মোমিনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুলিশ সুপারের সামনে তাদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ায়।

এ ঘটনা জানাজানি হলে যশোর পুলিশ সুপার মামলাটি যশোর ডিবি অফিসে স্থানান্তর করেন। ডিবি পুলিশ সোনা পাচারকারী সিন্ডিকেটের হোতা মোমিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে পড়ে থলের বিড়াল। মোমিন ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ৫১টি সোনার বারসহ আটক হওয়ার কথা স্বীকার করে। সোমবার মোমিন আদালতে এ ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।

সোনা পাচারকারী মোমিন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার পর ওসির সঙ্গে বৈঠক করেন কোটি টাকার সোনা লোপাটের মূল হোতা এএসআই রফিকুল ইসলাম রফিক। বৈঠকের পরই রফিক বেনাপোল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে নিখোঁজ হন। এর পরপরই একটি প্রাইভেট নিয়ে থানার পাশে ভাড়া বাসা থেকে তার পরিবারও সটকে পড়ে। থানা থেকে এএসআই রফিকুল ইসলাম রফিক পালিয়ে গেছে বলে অনেক পুলিশ সদস্য বলেছেন।

এ ব্যাপারে বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কাইয়ুম আলী সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে যশোর এএসপি সার্কেল বিষয়টি তদন্ত করতে বেনাপোল আসেন। এর পর থেকে স্বর্ণ মামলার আটক কর্মকর্তা এএসআই রফিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মোবাইলও বন্ধ রয়েছে। থানার পাশে যে বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন সে বাড়িটি এখন তালাবদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘রফিক কোনো ছুটি নেননি। সোনার মামলা ডিবিতে, তারাই এ বিষয়ে বলতে পারবে।’

এ ব্যাপারে ডিবির ওসি মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মোমিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও সোনা আত্মসাতের ঘটনা ফাঁসের কথা স্বীকার করেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেএইচ/এনডিএস/জানুয়ারি ১৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর