thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি 25, ১৭ মাঘ ১৪৩১,  ১ শাবান 1446

বান্দরবানে হাসি নেই শিমচাষিদের মুখে

২০১৪ জানুয়ারি ১৫ ০১:৫০:১৫
বান্দরবানে হাসি নেই শিমচাষিদের মুখে

বান্দরবান সংবাদদাতা : শিমের বাম্পার ফলনের পরও বান্দরবানে হাসি নেই চাষিদের মুখে। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শিম বিক্রি করতে না পেরে লোকসান গুনছেন চাষিরা। ক্ষেতের শিম ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি শিমচাষিদের।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে বান্দরবানে সবজিভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত সুয়ালক, মাঝেরপাড়া, গোয়ালিখোলা, কদুখোলা, রেইছা, বালাঘাটাসহ বিভিন্ন স্থান শীতকালিন সবজি শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় প্রায় ২৫৫ হেক্টর জমিতে দেশি জাতের শিমের চাষ হয়েছে। গড়ে প্রতিবছর এখান থেকে ৩ হজার ৩৪৫ টন শিম উৎপাদিত হচ্ছে। স্থানীয় বাজারগুলোতে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

গোয়ালিখোলার শিমচাষীষি নূরুল ইসলাম এবং মাঝেরপাড়া থোয়াইচা মং মারমা জানান, শিমের খুবই ভালো ফলন হয়েছে এবার। স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেও দাম পাচ্ছি। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিম বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। ব্যবসায়ীরাও উৎপাদিত শিম কিনতে আসছেন না। যে কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। অধিকাংশ শিম ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে শিমচাষিদের।

মাঝেরপাড়ার শিমচাষি মাথুই চিং ও নেলী প্রু মারমানী জানান, প্রতিবছর স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা মিটিয়ে পাহাড়ের শিম চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করতেন ব্যবসায়ীরা। চাহিদা থাকায় শিম চাষ বাড়ছে এই অঞ্চলে। কিন্তু গাড়ি চলাচল না করায় শিম কিনছেন না ব্যবসায়ীরা। এ কারণে লাভ করতে পারছি না।

জেলার কৃষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ওসমান গনি জানান, পাহাড়ে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে কৃষকদের সহজ শতে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে স্থানীয় কৃষকেরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠবেন। একইসঙ্গে জেলায় উৎপাদিত সবজিসহ ফলমূল সংরক্ষণে একটি হিমাগার স্থাপন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি শিম উৎপাদিত হয়েছে। লাভজনক হওয়ায় বান্দরবানে শিম চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে যানবাহন না চলায় স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত শিম দেশের বিভিন্ন স্থানে রফতানি করতে না পারায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

বান্দরবান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের শস্য উৎপাদন বিশেষজ্ঞ আলতাফ হোসেন জানান, তামাক চাষের পরিবর্তে শীতকালীন সবজি চাষ বেড়েছে বান্দরবানে। স্বল্প খরচে শিমসহ সবজি চাষ খুবই লাভজনক। নতুন সবজির কদর থাকায় বাজারে বিক্রি করেও দাম পাচ্ছেন চাষিরা। তবে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শিম চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে না পেরে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন চাষিরা।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এএস/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর