thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি 25, ১৭ মাঘ ১৪৩১,  ১ শাবান 1446

চুয়াডাঙ্গায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

২০১৪ জানুয়ারি ১৫ ০৩:০০:২৯
চুয়াডাঙ্গায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা, জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ফসলি জমির উর্বর মাটি প্রতিনিয়ত কেটে নিচ্ছে ইটভাটার দালালরা। এতে জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা। ইটভাটাগুলোর মধ্যস্বত্বভোগীচক্রের দালালরা সহজ-সরল কৃষকদের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের ফসলি জমির উর্বর মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছে। এসব কৃষক দালালচক্রের ফাঁদে পড়ে না বুঝেই মূল্যবান ফসলি জমির উর্বর মাটি ইটভাটায় দিলেও কৃষকের চেয়ে লাভবান হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগীরা।

আবাদি জমি থেকে মাটি কাটার ফলে পাশের জমিগুলো ভেঙে পড়ে ওই নিচু জমিতে। ফলে জমির মাটি কাটা নিয়ে পাশের জমির মালিকের সঙ্গে লেগে থাকে ঝগড়া-ফ্যাসাদ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, দালালচক্রের দাপটে সাধারণ কৃষকরা অসহায়। তাদের দাবি, প্রশাসন যদি ফসলি জমির উর্বর মাটি কাটা চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে মাটি কাটা বন্ধ হবে না। তা না হলে প্রতিবছর ইটভাটার মৌসুমে ফসলি জমির মাটি কাটার এ উৎসব চলতেই থাকবে।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃপাংশ শেখর হালদার জানান, ফসলি জমির উপরের মাটি (টপ সয়েল) কাটার ফলে জমির উর্বরতা শক্তি হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে ওইসব জমিতে খাদ্যশস্য উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এতে এলাকায় খাদ্যশস্য উৎপাদন দিন দিন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ফসলি জমির উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষিপ্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিতি।

এ ব্যাপারে কৃষি বিশেষজ্ঞ শাহ আকরামুল হক বলেন, প্রাকৃতিকভাবে মাটির ওপর যে স্তর পড়ে তা ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে। মাটির ওপর নানা প্রকার সবুজ পাতা পড়ে প্রাকৃতিক সার তৈরি হয়। সেই সঙ্গে ফসল উৎপাদনে সাহায্য করে। ফসলি জমির উপরের মাটি কাটার ফলে অনুজীব পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ ওইসব জমিতে ফসল উৎপাদন স্বাভাবিকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফসলি জমির উর্বর মাটি কাটার ফলে এসব জমিতে চাহিদামতো ফসল উৎপাদন হবে না কয়েক বছর ধরে। একে রোধ করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরআর/এএস/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর