thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মে 24, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৮ শাওয়াল 1445

‘সহিংসতা ও জামায়াত ত্যাগ করার ঘোষণা দিলেই সংলাপ’

২০১৪ জানুয়ারি ১৫ ১৮:০৮:২১
‘সহিংসতা ও জামায়াত ত্যাগ করার ঘোষণা দিলেই সংলাপ’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজনৈতিক সহিংসতার পথ পরিহার ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করার ঘোষণা দিলেই বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।

তিনি বলেছেন, ওই দুটি পথ পরিহার করার পর তা গণমাধ্যমের কাছে দৃশ্যমান হলে ও জনগণের আস্থা অর্জন করা মাত্র দলটির (বিএনপি) সঙ্গে সংলাপে বসবে সরকার।

স্থগিত হওয়া আটটি আসনের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরামর্শের পর ইসি কার্যালয় ত্যাগের সময় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৯ সাল থেকে বিএনপি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারকে ব্যর্থ বলে আসছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারের ব্যর্থতা কোথায় তা দলটি দেখাতে পারেনি।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সরকারকে দ্রুত সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইমাম বলেন, বিএনপিকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে হবে। সহিংসতার পথ পরিহার করতে হবে। জামায়াত-শিবিরের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। এর পর সংলাপের বসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে বিএনপিকে ঘোষণা দিয়ে বলতে হবে, তারা সহিংসতা ত্যাগ করেছেন ও জামায়াত-শিবির তাদের সঙ্গে নেই। তবে বেগম জিয়া এককথা বলছেন ও তার পুত্র আরেক কথা বলছেন। ওই দুজনের কথা কি তা আগে জানতে হবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ওই পথ পরিহার করলে হবে না, তাদের রাষ্ট্রবিরোধী পথ পরিহার করেছেন তা প্রথমে গণমাধ্যমের কাছে দৃশ্যমান হতে হবে। এরপর জনগণের কাছে দৃশ্যমান হওয়া মাত্রই বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসবে সরকার বলে জানান তিনি।

৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, ভোটারের ইচ্ছাতে নির্বাচন হয়েছে। খালেদা জিয়া যতবার নির্বাচন চাক তাতে কোন কিছু আসে যায় না। জনগণ মুহুর্মুহু নির্বাচন চাইলে সে অনুযায়ী হবে। দলটিকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

স্থগিত ৮ সংসদীয় আসনের নির্বাচন প্রসঙ্গে এইচটি ইমাম বলেন, নির্বিঘ্নে নির্বাচনগুলো সম্পন্ন হয় সেজন্য আলোচনা করার জন্য এসেছি। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। ইসিকে সব করতে হবে। সেনাবাহিনীসহ সব আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ইসির অধীনে কাজ করে। এজন্য ইসিকেই সব দায়িত্ব নিতে হবে।

মূলত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে দাবি করেন তিনি। তবে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন করবে কমিশন। এক্ষেত্রে সরকারের করণীয় কিছু নেই।

সিইসি বললেন সবাই চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ বলেন, সবাই চায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। আমরা এর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি বিশাল রাষ্ট্র। এতো বড় রাষ্ট্রে কোথা থেকে কোথায় আক্রমণ ও হামলা হয় তা বোঝা যায় না। তাই এ সব হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয় না।

সিইসি বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। সংস্থাটি আমাদের আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যাতে কোনো ধরনের হামলা না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম-৪ স্থগিত আসনের ভোট পুনরায় স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের উপর সুপ্রীমকোর্ট যদি কোনো স্থগিতাদেশ না দেয় তবে হাইকোর্টের আদেশই বহাল থাকবে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এসবি/ এনআই/জানুয়ারি ১৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর