thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে 24, ২০ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৪ শাওয়াল 1445

অমল সেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার

২০১৪ জানুয়ারি ১৬ ১০:০২:১৯
অমল সেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার

নড়াইল সংবাদদাতা : কৃষকদের তে-ভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড অমল সেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার। ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এ উপলক্ষে নড়াইলের বাঁকড়ীতে শুক্রবার দুপুরে অমল সেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কৃষক সমাবেশ, আলোচনা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী (শুক্রবার ও শনিবার) মেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রথম দিন শুক্রবার দুপুর ২টায় কমরেড অমল সেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান মেনন।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় আবৃত্তি, গণসঙ্গীত, গণনাটক ও গণসংগ্রামভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত লোকজ মেলা।

কমরেড অমল সেন ১৯১৪ সালের ১৯ জুলাই আউড়িয়ার প্রখ্যাত রায় পরিবারে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নড়াইলের আফরার জমিদার পরিবারের সন্তান। নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী ‘অনুশীলন’ গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত হন। দৌলতপুর বিএল কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় মার্কসবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং গণিত শাস্ত্রে অনার্স পড়াকালীন নড়াইলে ফিরে এসে কমিউনিস্ট আন্দোলন করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

তিনিই নড়াইলের প্রথম কমিউনিস্ট আন্দোলনের সংগঠক। ১৯৩৩ সালে নড়াইলের সরসপুর গ্রামের মৎস্যজীবীদের জলার ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি মৎস্যজীবীদের সংগঠন গড়ে তোলেন। কিছু দিনের মধ্যে তিনি ইজারা প্রথা, হাটতোলা ইত্যাদি খাজনা বন্ধের জন্য গোবরা, আগদিয়া, তুলারামপুর, ধলগ্রাম, মাইজপাড়া এবং মাদ্রাসার হাটসহ ব্যাপক অঞ্চলে হাটতোলা বন্ধের আন্দোলনে কৃষকদের সংগঠিত করেন এবং বিজয় লাভ করেন।

কংগ্রেস নেতা সৈয়দ নওশের আলী ১৯৩০ সালে কৃষকদের জন্য তে-ভাগা দাবি উত্থাপন করেছিলেন। কিন্তু ওই আন্দোলন বেশিদূর এগোতে পারেনি। কমরেড অমল সেন তে-ভাগা সংগ্রামে কৃষকদের ব্যাপকভাবে সংগঠিত করার জন্য বাঁকড়ী, হাতিয়াড়া, গোয়াখোলা, বাকলি, মালিয়াট, দোগাছি, ঘোড়ানাচ, কমলাপুরসহ এগারোখানের বড়েন্দার, বীরগ্রাম, উজিরপুর, চাঁদপুর, দুর্গাপুর, ডুমুরতলা, দলজিৎপুর এসব গ্রামের কৃষককে সংগঠিত করেন। এই তে-ভাগা আন্দোলন সংগঠিত করতে গিয়ে গরিব কৃষকদের মধ্য থেকে একঝাঁক বিপ্লবী কর্মী গড়ে তোলেন। আন্দোলনের নীতি ও কৌশলের সফলতার কারণে নড়াইলের তে-ভাগা আন্দোলন সফল ও সার্থক হয়েছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এএস/এএস/শাহ/জানুয়ারি ১৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর