thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ৬ মে 24, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৭ শাওয়াল 1445

পুঁজিবাজারের মামলা নিষ্পত্তি

বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি

২০১৪ জানুয়ারি ১৭ ২২:৩৮:৩২
বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গত ৭ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। ট্রাইবুনাল গঠন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের গেজেট কপি বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) এসে পৌঁছেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, এসআরও নং-০১ আইন/২০১৪ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২৫ বি এর সাব-সেকশন (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ঢাকায় একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করল। সমগ্র বাংলাদেশ এর স্থানীয় অধিভূক্ত হিসেবে নির্ধারণ করা হলো।

এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে বিএসইসির কমিশনার মো. আবদুস সালাম শিকদার দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি শুনেছি এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনের কপিটি আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি।’

এদিকে বিএসইসির দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনটি গেজেটের এক কপি গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে আমার হাতে এসে পৌঁছেছে।’

জানা গেছে, ট্রাইব্যুনাল না থাকায় শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত বেশকিছু মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে। ১৯৯৬ সালে শেয়ার কারসাজির জন্য দায়ের করা ১৫টি মামলা প্রায় ১৬ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। আর ২০১১ সালে শেয়ার কারসাজির জন্য দুটি মামলা দায়ের করা হয়। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের ফলে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মোট ১৭টি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব হবে।

২০১২ সালে এ ট্রাইব্যুনাল গঠনের অনুমোদন দেয় সরকার। ১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ সংশোধন করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ আইন, ২০১২ প্রণয়ন করা হয়। ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর সচিব কমিটির সভায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনে একজন বিচারকসহ মোট ছয় সদস্যের জনবল কাঠামোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ২০১২-এর ২৫(বি) ধারা অনুসারে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে গত ২৪ নভেম্বর সচিব কমিটির সভায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের ক্ষেত্রে একজন বিচারকসহ মোট ৬ সদস্যের জনবল কাঠামোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ২০১২-এর ২৫(বি) ধারা অনুসারে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে একজন দায়রা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজের বেতন স্কেল ৩৬ হাজার থেকে ৩৯ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া একজন সাঁটলিপিকার, একজন বেঞ্চ সহকারী, একজন গাড়িচালক, একজন জারিকারক ও একজন এমএলএসএস। অপরদিকে ট্রাইব্যুনালের জন্য একটি সিডান কার, একটি কম্পিউটার মেশিন, একটি ফটোকপি এবং একটি ফ্যাক্স মেশিন থাকবে।

বিশেষ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনায় একজন দায়রা জজ বা অতিরিক্ত দায়রা জজ নিয়োগ দেবে সরকার। তিনি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮-এর অধীনে সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ায় আপিল বিভাগ ছাড়া এর আগে দায়ের করা এ সংক্রান্ত মামলা অন্য যেকোনো আদালত থেকে এ ট্রইব্যুনালে স্থানান্তর করা যাবে। এক্ষেত্রে ওই সব মামলা শুনানি বা কার্যাদি যে পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে, সে অবস্থা থেকে মামলা চালাতে পারবেন ট্রাইব্যুনাল। নিম্ন আদালতে মামলা দায়েরের পর অনেক ক্ষেত্রে ওই মামলা হাইকোর্টে স্থগিত হয়। কখনো নিম্ন আদালতে রায় হলেও উচ্চ আদালতে সেই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় লেগে যায়। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছে কমিশন।

এছাড়া কমিশনের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কেবল এ ট্রাইব্যুনালেই মামলা রুজুর অধিকার পাবে। তবে ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্ট না হলে সংক্ষুব্ধ পক্ষের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সুযোগ থাকব।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জেএম/জানুয়ারি ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর