thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে 24, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১০ জিলকদ  1445

‘আ.লীগ পিঠা ভাগাভাগির সরকার গঠন করেছে’

২০১৪ জানুয়ারি ১৮ ১৪:১৬:৫১
‘আ.লীগ পিঠা ভাগাভাগির সরকার গঠন করেছে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ পিঠা ভাগাভাগির সরকার গঠন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পিঠা ভাগাভাগি করে এমন একটি সংসদ তৈরি করেছে যেখানে বিরোধী দলের কোনো অস্তিত্ব নেই। নির্বাচনে অংশ না নিয়েও জাতীয় পার্টি এখন সরকারে।

আন্দোলনে বিএনপি সফল হয়েছে দাবি করে মোশররফ বলেন, ‘১৫৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত। বাকি ১৪৭টি আসন ৯৫ ভাগ ভোটার নির্বাচন বর্জন করেছে। এটা বিএনপির আন্দোলনের সফলতা। যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসেছে তারাই বিফল হয়েছে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শনিবার দুপুরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আয়োজিত আলোচনা সভার সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

মোশাররফ বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় তারাই অতীতে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। বিরোধী দল দমন করেছিল। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ভিন্ন কায়দায় বিরোধী দলহীন সংসদ গঠন করেছে সরকার।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাকশাল করে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি। আবার পতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ যে আজীবন ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে তা সফল হবে না।

জিয়াউর রহমান এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিকে যারা ভয় পায় তারাই বিএনপিকে নিয়ে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ করে মোশাররফ বলেন,‘ খালেদা জিয়ার ডাকে বার বার সাড়া দিয়েছে জনগণ। এবার দেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে তার ডাকে সাড়া দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না এবং ভোটাররা নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারে না।’

তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে দেশের মানুষ ও আর্ন্তজাতিক গণতন্ত্রকামী দেশ মেনে নেয়নি এবং স্বীকৃতি দেয়নি।’

তিনি বলেন, গত দুই বছর ধরে বিএনপি গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করে আসছে, অনেকেই আহত, নিহত হয়েছে আবার অনেকে কারাগারে। তাদের পরিবার এখন দুবিসহ জীবন কাটাচ্ছে।

গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে পিছ পা না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোশাররফ বলেন,‘ খালেদা জিয়া বলেছেন এ নির্বাচন হলো গণতন্ত্র হত্যার নির্বাচন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে তার ডাকে সাড়া দিয়ে আবার সংহত হতে হবে।

দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ১৯৭১ সালে সমগ্র জাতি যখন দিকশূন্য তখন জিয়াউর রহমান কাণ্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হন। নেতৃত্ব দেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে। ঠিক আজ জাতির ক্রান্তিলগ্নে তার আদর্শ আবারও প্রয়োজন। তাই বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা জিয়াউর রহমানের আদর্শে আমাদেরকে উজ্জীবিত হওয়ার শপথ নিতে হবে।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গত ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকের লড়াই অপশক্তির বিরুদ্ধে। তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। বর্তমান বাকশালী সরকার যদি মনে করে, বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলে রেখে আন্দোলন দমন করবেন, তাহলে তা হবে তাদের চরম ভুল। তারা আমাদের আন্দোলন দমন করতে পারেনি। সামনে আরও আন্দোলন আসছে। তাই যত বাধাই আসুক না কেন আমরা আমাদের আন্দোলনের মাধ্যমে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগিয়ে যাবই।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমেদ, সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মোস্তাহিদুর রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. পিয়াস করিম, ড. মাহফুজ উল্লাহ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবদীন ফারুক।

(দ্য রিপোর্ট/ এমএইচ/ এমডি/এএল/ জানুয়ারি ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর