thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ২০ শাওয়াল 1445

ওবামা-মিশেলের সংসারে বিচ্ছেদের সুর?

২০১৪ জানুয়ারি ১৮ ১৬:১৩:৫৬
ওবামা-মিশেলের সংসারে বিচ্ছেদের সুর?

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে স্বামী বারাক ওবামার সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ করতে যাচ্ছেন। ২০১৬ সালে ওবামার প্রেসিডেন্ট থাকার মেয়াদ শেষ হলেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবেন মিশেল ওবামা। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে মার্কিন ট্যাবলয়েড ন্যাশনাল অ্যানকোইরারের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে ডেইলি মেইল।

বিশ্বে সম্ভবত ওবামা দম্পতিকেই সবচেয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হয়। হাজার হাজার ক্যামেরার চোখ তাদের খুঁজে ফেরে। তবে এর পেছনে বিশেষ কোনো কারণ নেই।

শেষবার গতবছর নেলসন ম্যান্ডেলার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দি হন তারা। তবে, ওই ছবিতে স্বামীর প্রতি মিশেলের নাখোশ হওয়ার চিত্রই প্রতিফলিত হচ্ছিল। কারণ ওবামা ব্যস্ত ছিলেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী হেলি থরনিং-স্মিডের সঙ্গে ‘সেলফি’ তোলায়।

ন্যাশনাল অ্যানকোইরারের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওবামা-মিশেলের ২১ বছরের দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনের কুৎসিত রূপ ধরা পড়ে নেলসন ম্যান্ডেলার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেই। এরপর তাদের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়।

প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে বিল ক্লিনটনের কেলেঙ্কারির পর আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কোনো স্ক্যান্ডাল হয়নি। সম্প্রতি ফ্রান্স দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছে।

ন্যাশনাল অ্যানকোইরার দাবি করেছে, ২০১৬ সালে ওবামার প্রেসিডেন্ট থাকার মেয়াদ শেষ হলে তারা আলাদা হয়ে যাবেন। ওবামা ফিরে যাবেন তার শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত হাওয়াইয়ে। আর মিশেল মেয়েদের নিয়ে ওয়াশিংটনেই থাকবেন।

হাওয়াইতে শীতকালীন ছুটি কাটানো শেষে দুই মেয়ে নিয়ে ওবামা একাই ওয়াশিংটন ফিরে আসেন। মিশেল রয়ে যান হাওয়াইতেই। তখন অবশ্য এটাকে প্রেসিডেন্টের তরফ থেকে মিশেলের জন্মদিনের উপহার বলে জানানো হয় হোয়াইট হাউস থেকে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জানান, একা একা নিজের মতো করে সময় কাটানোই মিশেলের ‘জন্মদিনের উপহার।’

১৭ জানুয়ারি, শুক্রবার জন্মদিনের আগেই বুধবার ওয়াশিংটন ফিরে আসেন মিশেল।

ওবামা-মিশেল চমৎকার দম্পতি ও দেশজুড়ে মা-বাবার রোল মডেল বলে এই দম্পতির পুরনো বন্ধু ও উপদেষ্টা ভ্যালেরি জ্যারেট জানান। তিনি বলেন, ‘মিশেলের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। ৫০ বছর বয়সেও অসাধারণ তিনি।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো ওবামা-মিশেলের সম্পর্কের টানাপোড়েনের সংবাদ এড়িয়ে গেছে বলে ডেইলি মেইল জানিয়েছে।

ওবামা-মিশেলের সংসারে এর আগেও শোনা গেছে ভাঙনের সুর। ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দুইটি বই দাবি করেছিল, এর আগেও বিয়েবিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে চলে গিয়েছিল ওবামা দম্পতি। এমনকি ডিভোর্স পেপারও দাখিল করেছিলেন মিশেল। মিশেলের অভিযোগ ছিল, রাজনীতির প্রতি ওবামার উচ্চাঙ্ক্ষা তাদের সুখী দাম্পত্য জীবনের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

২০০৯ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের অভিজ্ঞ রিপোর্টার রিচার্ড উলফি দাবি করের, নয় বছর আগে ২০০০ সালে ওবামার রাজনীতির প্রতি একনিষ্ঠতা ও পারিবারিক আর্থিক সংকটের কারণে তাদের সম্পর্ক প্রায় ভেঙেই যাচ্ছিল।

সে সময় ওবামা-মিশেলের মধ্যে খুব কম কথা হত। তাদের মধ্যে রোমান্সও খুব একটা ছিল না বলে উলফি জানান। মিশেল ওবামার স্বার্থপরতা ও ক্যারিয়ারপ্রীতির কারণে ক্ষিপ্ত ছিলেন বলেও জানান তিনি।

তখন ছোট মেয়ে সাশার জন্ম হয়। পরে যে কারণেই হোক তাদের সংসার সে সময় টিকে যায়।

পরবর্তীতে ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সুখী দম্পতির রোল মডেল হিসেবেই দেখা গেছে তাদের।

তবে হোয়াইট হাউসের জীবনেও নাকি সুখী নন মিশেল। ফ্রান্সের সাবেক ফার্স্ট লেডি কার্লা ব্রুনি একটা বইয়ে এই দাবি করেছেন। ব্রুনি জানান, তিনি মিশেল ওবামাকে তার জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে মিশেল জবাবে বলেছিলেন, ‘আমাকে জিজ্ঞাসা করো না। এটা নরকের মতো।’ পরে অবশ্য মিশেল এ ধরনের কোনো কথা বলেননি বলে দাবি করেন।

যাইহোক, নানা টানাপোড়েনের মধ্যদিয়ে মিশেল-ওবামার সংসার টিকবে কিনা- তা ২০১৬ সালের পর জানা যাবে। (সূত্র : ডেইলি মেইল)

(দ্য রিপোর্ট/কেএন/এমডি/সা/এনআই/জানুয়ারি ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর