thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল 24, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ২১ শাওয়াল 1445

এএপি’র আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ

২০১৪ জানুয়ারি ২২ ০১:১৫:১২
এএপি’র আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ

কলকাতা প্রতিনিধি : আম আদমি পার্টির (এএপি) দ্বিতীয় দিনের ধরনায় দফায় দফায় লাঠিচার্জ করেছ পুলিশ। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত ও দিল্লি পুলিশের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে দিল্লি সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবিতে এ আন্দোলন চালাচ্ছে এএপি।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলবারের আন্দোলন ক্রমেই সহিংস রূপ নেয়। কেজরিওয়ালের সমর্থকরা এ দিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে৷ পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও ছুড়ে তারা৷ এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে থামাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ পুলিশের লাঠির আঘাতে এএপি’র কয়েক কর্মী আহত হয়। সহিংসতায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালণয়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত করা হবে না। এ সিদ্ধান্তের পরই আন্দোলন আরও জোরদার করেছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেছেন, এক লাখ লোক জড়ো করে সড়কেই বিক্ষোভ দেখাবে এএপি।

কেজরিওয়ালের এ ধরনার বিরুদ্ধে আদালতে একটি জনস্বার্থে মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী এমএল শর্মা। শুক্রবার আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

কেজরিওয়ালের ধরনা মোকাবিলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দিল্লি পুলিশ একটি প্রতিবেদন পেশ করে। যেখানে বলা হয়েছে, দিল্লির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হচ্ছে। এএপি নেতারা সাধারণ মানুষকে পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছে।

তবে কেজরিওয়ালের দাবি, আম আদমি সমর্থকদের ভিড়ে অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মীরা ঢুকে এই গণ্ডগোল বাধিয়েছে৷

রেল ভবনের সামনে থেকে তারা যন্তর-মন্তরে যাচ্ছে না বলে এ দিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে এএপি। কেজরিওয়াল বলেন, ‘এটা স্বাধীন আন্দোলন৷ আমি মুখ্যমন্ত্রী৷ আমি ঠিক করব কোথায় আন্দোলন হবে৷’

প্রথমে ১০ দিন আন্দোলন চলার কথা বলা হলেও দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে এএপি৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কেজরিওয়াল বলেন, ‘আমরা কোথায় ধরনা দেব, তা শিন্দে ঠিক করবেন না।’

এ ব্যাপারে মণীশ সিসোদিয়া বলেন, ‘আমরাই সরকার এবং আমরাই ঠিক করব কোথায় ধরনা দেওয়া হবে।’

দিল্লির জনতার উদ্দেশ্যে কেজরিওয়াল বলেছেন, পুলিশ যেখানেই বাধা দেবে, সেখানেই যেন তারা ধরনায় বসে যান। শিন্দেকে একনায়ক উল্লেখ করে এএপি যা করছে সেটাই গণতন্ত্র বলে দাবি করেছেন তিনি। বিজেপি ও কংগ্রেসের ওপরও আক্রমণ চালিয়েছেন কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ও বিজেপি সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। আমরা পথে থেকেই সরকার চালাব ও আন্দোলন করব। এক শ্রেণীর সংবাদমাধ্যম দলগুলোকে সাহায্য করছে।’

এদিকে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আবারও সরব হয়েছেন দলটির সদস্য বিনোদ কুমার বিন্নি। তিনি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে ধরনায় বসেছেন কেজরিওয়াল। নিজের ব্যর্থতা চাপা দিতেই কেজরিওয়াল ধরনায় বসেছেন।'

এএপি’র আরেক নেতা ক্যাপ্টেন গোপীনাথ পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সোমনাথ ভারতীকেও বরখাস্ত করার কথা বলেছেন। কেজরিওয়ালের ধরনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেজরিওয়ালের অফিসেই থাকা উচিত। তার উদ্দেশ্য ভালো হলেও, পদ্ধতি ভুল।’

ওদিকে কেজরিওয়ালের ধরনাকে সমর্থন জানিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। রামগোপাল যাদব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর দাবি সঠিক।’ তবে জেডিইউ সুপ্রিমো শরদ যাদব বলেন, ‘এই ব্যবস্থার জন্যই কেজরিওয়াল আজ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে পারেন না। তাই শিগগিরই তার ধরনা শেষ করা উচিত।’

কেজরিওয়ালের ধরনার বিরোধিতায় মুখ খুলেছে বিজেপি। বিজেপি’র তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রথমে পদত্যাগ করুন, তার পর ধরনা দেবেন।’ পাশাপাশি বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকার বলেন, ‘কংগ্রেস নিজের দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে তারা এএপি’র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এসএম/এসকে/জানুয়ারি ২২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর