thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১,  ১৭ জমাদিউস সানি 1446

‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন শনিবার শুরু’

২০১৪ জানুয়ারি ২২ ১৬:৫২:৫১
‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন শনিবার শুরু’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সারাদেশে ২৫ জানুয়ারি শনিবার থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন পালন করবে সরকার। হাম দূরীকরণ, রুবেলা রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং পোলিওমুক্ত অবস্থা বজায় রাখতে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘তিন সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত এ ক্যাম্পেইনে ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা এবং ৫ বছরের নিচে সব শিশুকে ২ ফোটা পোলিও টিকা খাওয়ানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘এমআর টিকা পাবে এমন শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ এবং পোলিও টিকা পাবে এমন শিশুর সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ। এ বয়সের কোনো শিশু পূর্বে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় বা অন্য কোনোভাবে হাম, এমআর বা পোলিও টিকা পেয়ে থাকলে অথবা পূর্বে কখনও টিকা না পেয়ে থাকলে তাকে প্রাপ্য অনুযায়ী এক ডোজ এমআর এবং পোলিও টিকা দেওয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘রোগ নিরীক্ষণ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ হাম ও রুবেলা রোগে মোট আক্রান্তের মধ্যে শতকরা ৮৪ ভাগের বয়স ১৫ বছরের নিচে। হাম ও রুবেলা উভয়ই ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ।’

রুবেলার ক্ষেত্রে, গর্ভবতী মায়েরা গর্ভের প্রথম ৩ মাসে রুবেলা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শতকরা ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে মা থেকে গর্ভের শিশু আক্রান্ত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে গর্ভপাত এমনকি গর্ভের শিশুর মৃত্যুও হতে পারে অথবা জন্মগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে শিশু জন্মগ্রহণ করে যা কনজেনিটাল রুবেলা সিনড্রোম বা সিআরএস নামে পরিচিত। হাম ও রুবেলা রোগ এবং এর জটিলতার হাত থেকে বাঁচার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে সঠিক সময়ে শিশুকে হাম ও রুবেলার টিকা দিয়ে সুরক্ষিত করা।’

নাসিম বলেন, ‘এ ক্যাম্পেইনের প্রথম সপ্তাহে (২৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি) পর্যন্ত সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্ডেন স্কুল, মাদ্রাসা, মক্তব এবং অন্য অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। এখানে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৪৫ লাখ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে (১ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি) দেশের সব নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে কমিউনিটিতে উল্লিখিত টিকা দেওয়া হবে।’

‘বিশ্বের বৃহত্তম এ ক্যাম্পেইনের জন্য প্রায় ৬৭ হাজার প্রশিক্ষিত টিকাদানকর্মী কাজ করবেন। তাদের সহযোগিতার জন্য প্রতিটি টিকাদানকারী দলে ৩ জন করে প্রায় ২ লাখ ৪১ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন’ বলেন তিনি।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘২০০৬ সালের ২২ নভেম্বর এ দেশে সর্বশেষ পোলিও রোগী শনাক্ত হয়। সেই থেকে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত অবস্থায় আছে। আগামী মার্চ মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলসহ আমাদের দেশ বহুল কাঙ্ক্ষিত পোলিও নির্মূল সনদপত্র পাবে বলে আমি অত্যন্ত আশাবাদী।’

টিকাদান কর্মসূচির আগে অপপ্রচার চালানো হয়, এ বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘গুজব আগেও ছিল। তারপরও আমরা সফল হয়েছি। এবারও সফল হব।’

এ ছাড়া টিকাদান পরবর্তী বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুটি রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে যাবেন বলেও সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

(দ্য রিপোর্ট/আরএমএম/এনডিএস/সা/জানুয়ারি ২২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ খবর

স্বাস্থ্য - এর সব খবর