thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে 24, ২০ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৪ শাওয়াল 1445

অপেক্ষা শেষে প্রতিমন্ত্রীর দেখা, মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ

২০১৪ জানুয়ারি ২৩ ০০:৩৮:২৮
অপেক্ষা শেষে প্রতিমন্ত্রীর দেখা, মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ৩টার সময় আসবেন বলে মেইল করলেও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা আসলেন বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে। মিল্কভিটার কারখানা আকস্মিক পরিদর্শন করতে এসে এ অপেক্ষার সৃষ্টি করেন তিনি।

মিল্কভিটা কারখানার বিভিন্ন উৎপাদন কার্যক্রম প্রতিমন্ত্রীকে ঘুরে দেখান প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাসিব খান তরুণ। ঘুরে দেখে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ও অন্যান্য কার্যক্রমের প্রশংসা করেন প্রতিমন্ত্রী।

মিল্কভিটার উৎপাদন কার্যক্রম ও যেসব সমস্যা আছে তা কিভাবে সমাধান করা যায়, সে লক্ষ্যে পরিদর্শনে এসেছেন বলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানেই কিছু না কিছু সমস্যা থাকে, ঠিক তেমনি এখানেও আছে। সৃষ্ট সমস্যাগুলোর মধ্যে যেসব পণ্যদ্রব্য উৎপাদন বন্ধ আছে সেগুলো অচিরেই আবার শুরু করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

পরিদর্শন শেষে প্রতিষ্ঠানটির পণ্যদ্রব্যের প্রশংসা করেন তিনি। আরও জানান, মিল্কভিটার পণ্য নিয়ে আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। আর প্রতিষ্ঠানটি লোকসানি নয়, নিয়মিত মুনাফা করছে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া গত বছরে ১৭ কোটি টাকা মুনাফা অর্জিত হয়েছে বলে জানান।

এদিকে প্রতিমন্ত্রী আসার আগে শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় নানা ধরনের ক্ষোভের কথা। বেতন কম, চাকরি স্থায়ী না করা, অসুস্থ হয়ে একদিন কাজে না এলে বেতন কাটাসহ নানা অভিযোগ। তবে এদিক দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পিছিয়ে থাকলেও পণ্যদ্রব্যে সঠিক গুণগতমান বজায় রাখার দিক দিয়ে শতভাগ নিশ্চিত করে বলে জানান তারা।

প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক বদিউজ্জামান বলেন, দেশের যে কোনো প্রতিষ্ঠানের থেকে মিল্কভিটায় মজুরি কম। তিনি জানান, ৬ বছর আগে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ শুরু করলেও এখন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে মাত্র ১৬০ টাকা। তারপরও চাকরি স্থায়ী হবে এমন আশায় এত স্বল্প মজুরিতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি। তার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন অন্য সব শ্রমিকরা।

৬ বছর আগে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চুক্তিভিত্তিক কাজে প্রতিষ্ঠানটিতে নিযুক্ত হন শামীম। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে প্রতিষ্ঠানের বাহিরে থেকে অনেক মানুষকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হলেও তাদের দেওয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, বাহিরে থেকে লোক নিয়োগ দিলে ঘুষবাবদ মাথাপিছু ৩ লাখ টাকা আয় হয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ভেতরের লোকজন নিয়োগ দিলে এ ঘুষ পাওয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, এত দিন যদি গার্মেন্টেসে কাজ করতেন তাহলেও বেতন এই মিল্ক ভিটা থেকে অনেক বেশি হতো বলে উল্লেখ করেন।

মিল্কভিটায় চাচা থাকায় ঘুষ না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির আরেক শ্রমিক জালাল। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এখানে কাজ করলেও এখন দিন শেষে ১৫২ টাকা মজুরি পান বলে জানান তিনি। তবে তিনিও ক্ষোভ প্রকাশ করেন চাকরি স্থায়ী না করায়। কিন্তু তারপরও এত স্বল্প বেতনে প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে না যাওয়ার কারণ হিসেবে চাকরি স্থায়ী হবে এমন আশায় আছেন বলে জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/আরএ/শাহ/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর