thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

খুবিতে শিক্ষকদের পদত্যাগের হিড়িক

২০১৪ জানুয়ারি ২৩ ২২:১২:৩২
খুবিতে শিক্ষকদের পদত্যাগের হিড়িক

খুলনা সংবাদদাতা : খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রশাসনের নানা পদ থেকে দায়িত্বশীল শিক্ষকরা পদত্যাগ করছেন। এ পর্যন্ত ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, হলের প্রভোস্টসহ মোট ৩৩ জন পদত্যাগ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন বুধবার পদত্যাগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফা ও তার ৮ জন সহকারী, ইসিই ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান, ইংরেজি ডিসিপ্লিনের প্রধান এবং কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর মো. আহসানউজ্জামান, অপরাজিতা হলের প্রভোস্ট এবং রসায়ন ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. হোসনে আরা এবং ৫ জন সহকারী প্রভোস্ট, খানজাহান আলী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান ও ৪ জন সহকারী প্রভোস্ট, আহসানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. কাজী শাহ নেওয়াজ রিপন ও ৭ জন সহকারী প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন।

উল্লেখ্য, ১৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. আফরোজা পারভীনের উপস্থিতি নিয়ে আমন্ত্রিত সদস্য প্রফেসর মো. মোস্তফা সারোয়ার আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এতে ড. আফরোজা খুবই অপমান বোধ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ওই দিনের সভার ঘটনাটি উল্লেখ করে পাঁচটি কারণ ও তিনটি পর্যবেক্ষণ বর্ণনা করে তার পদত্যাপত্র জমা দেন।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. আফরোজা পারভীন বলেন, ‘আামি একজন সদস্য হিসেবে সেই সভায় উপস্থিত হই। একজন আমন্ত্রিত সদস্য খুবই আপত্তিকরভারে এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। যা আমার জন্য খুবই অপমানজনক। অথচ সভার প্রধান হিসেবে উপাচার্য এ বিষয়টিকে কোনো গুরুত্ব দেননি। এ অবস্থায় প্রশাসনের অংশ হিসেবে কাজ করা আমার জন্যে খুবই অসম্মানজনক বিধায় আমি ডিসিপ্লিনের প্রধান হিসেবে পদত্যাগ করেছি। উপরন্তু ডিসিপ্লিন প্রধান হিসেবে আমি প্রশাসনের অন্যান্য যে সব কমিটিতে আছি সে সব কমিটি থেকেও নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহম্মদ ফায়েক উজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় যে ভাবে একজন সম্মানিত সদস্যের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় তা দুঃখজনক। বিষয়টির সম্মানজনক নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।’

ড. আফরোজাসহ আরও কয়েকজনের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগপত্রগুলো এখনও গৃহীত হয়নি।’

শিক্ষকদের ক্ষুব্ধতার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘খুবিতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকরা বরাবর শক্তিশালী। তারা নানা সময়ে প্রশাসনকে বিব্রত করেছে। এ কারণে বর্তমান প্রশাসনিক প্রধান অর্থাৎ উপাচার্য বিএনপি-জামায়াতীদের তুষ্ট করে এগিয়ে যেতে চান। এ কার্যক্রমটি যারা পছন্দ করেন না তাদের তিনি নানাভাবে হেনস্তা করার কৌশল নিয়েছেন। ড. আফরোজাকে একজন আমন্ত্রিত সদস্য দিয়ে অপমানিত করানো তেমনি প্রক্রিয়ার একটি অংশ। যে কারণে উপাচার্য সভাপতির চেয়ারে বসেও বিষয়টি খুবই হালকাভাবে নিয়েছেন। এটি মর্যাদার প্রশ্ন। এ কারণে শিক্ষকরা এ প্রশাসকের অধীনে কাজ করতে স্বস্তি বোধ করছেন না।’

(দ্য রিপোর্ট/এটি/এনডিএস/জানুয়ারি ২৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

শিক্ষা এর সর্বশেষ খবর

শিক্ষা - এর সব খবর