thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৯ শাওয়াল 1445

শিল্পী ও পরিচালকের সমন্বয় থাকা জরুরি

২০১৪ জানুয়ারি ২৪ ০৬:২৭:৪০
শিল্পী ও পরিচালকের সমন্বয় থাকা জরুরি

মুহম্মদ আকবর, দ্য রিপোর্ট : ইরানী বিশ্বাস একজন সাংবাদিক, লেখক ও নাট্যনির্দেশক। গেল বছরে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয় তার ৭টি নাটক। নাটকগুলো তাকে আলোচনায় নিয়ে আসে। নাট্যপরিচালনার পাশাপাশি নিয়মিত লিখছেন গল্প ও উপন্যাস। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তার সৃজনশীল কাজের বিষয়ে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

দ্য রিপোর্ট : সাংবাদিক থেকে নাট্যনির্দেশক হওয়ার গল্পটি বলুন…

ইরানী বিশ্বাস : ২০০৫ সালে পত্রিকা অফিসে গল্প জমা দিতে গিয়ে সাংবাদিকতায় আসা। এরপর থেকে সাংবাদিকতা ও লেখালেখি চলতে থাকে। ২০০৬ সালে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলায়’ আমার প্রথম উপন্যাস ‘স্বপ্নের ডানা’ প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অন্ধকারে স্পর্শ’। এই উপন্যাসটি এক নাট্যপরিচালক পড়ার পর আমাকে নাটক লেখার জন্য উৎসাহিত করেন। স্ক্রিপ্ট লেখা সম্পর্কে ধারণা না থাকায় নাট্যকার জিনাত হাকিমের স্মরণাপন্ন হই। জিনাত হাকিম, পরিচালক আবু সাঈদ খানের নাট্যরূপে রবীন্দ্রনাথের ‘মালঞ্চ’ নাটকের স্ক্রিপ্ট দেন আমাকে। এভাবেই আমার নাটক রচনা ও নির্দেশনায় আসা। ‘কিপ্টার ধন পিঁপড়ায় খায়’ আমার নির্দেশিত প্রথম টিভি নাটক।

দ্য রিপোর্ট : আপনার তো একটি উপন্যাস হিন্দি ভাষায় অনুদিত হয়েছে…

ইরানী বিশ্বাস : হ্যাঁ, ২০১১ সালে আমার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অন্ধকারে স্পর্শ’ ভারতের দিল্লি থেকে হিন্দি ভাষায় অনুবাদ করে দিল্লির ললিত কলা একাডেমি। এ কাজটি আমাকে নতুনভাবে ভালো কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করে।

দ্য রিপোর্ট : দেশের বর্তমান টিভি নাটক সম্পর্কে আপনার ভাবনা কী?

ইরানী বিশ্বাস : আমাদের দেশে বর্তমান টিভি নাটকের মান খুবই হালকা। নাটকের ডায়ালগ খুবই সস্তা। যে কারণে একটু ভারি ডায়ালগ হলে অভিনেতারা সেটা পাশ কাটিয়ে যেতে চায়। আর তখনই আসে ইমপ্রোভাইজ শব্দটার প্রয়োগ। অনেকেই নাটকের ভাবার্থের ভেতর প্রবেশ করতে পারে না। ফলে তারা ব্যাপারটা ফিল করতে পারে না। অনেক সময় নাটকের যথার্থ ভাব ফুটিয়ে তুলতে বেগ পেতে হয়। এক্ষেত্রে নাট্যকার ও পরিচালকদের প্রচুর পড়ালেখা করা উচিত। শুধু তাই নয়, যারা অভিনয় করবেন তাদেরও স্ক্রিপ্টটা ভালো করে পড়া উচিত। নিজের চরিত্র নিয়ে প্রিপারেশন থাকা উচিত।

দ্য রিপোর্ট : নাট্যাঙ্গনে এসে কি কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন?

ইরানী বিশ্বাস : পুরনো নামি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমার একটু সমস্যা হয়েছে। তার কারণ, বুঝুক আর না-ই বুঝুক স্ক্রিপ্ট চেঞ্জ করার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। আমি বলতে চাইছি, নাট্যকার বা পরিচালক কোন মানের সেটা জেনে-বুঝে কথা বলা উচিত। পরিচালক নতুন হলেও একজন অভিনেতা-অভিনেত্রীর উচিত তাকে যোগ্য সম্মান দেওয়া। কারণ পরিচালক সে ছোট বা বড় বলে কোনো কথা নয়। পরিচালক শব্দটা অবশ্যই সম্মানের। তাই অভিনেতাদের উচিত পরিচালকের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো। আর শিল্পী ও পরিচালকের দূরত্ব দূর করে সমন্বয় থাকা জরুরি।

দ্য রিপোর্ট : চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহ আছে কি?

ইরানী বিশ্বাস : চলচ্চিত্র একটি বড় মাধ্যম। প্রত্যেকেরই স্বপ্নের মাধ্যম চলচ্চিত্র। আমি পরবর্তী পদক্ষেপে কাজ করার আগে আরও বেশি করে প্রস্তুতি নেব। কলকাতায় যাব ফিল্মের বিষয়ে কিছু প্রশিক্ষণ নিতে। তারপর অবশ্যই চলচ্চিত্র নির্মাণ করব।

দ্য রিপোর্ট : বর্তমানে ব্যস্ততা কী নিয়ে?

ইরানী বিশ্বাস : এসএ টেলিভিশনের জন্য ‘দ্য মেটামরফোসিস’ নামে নতুন একটি একক নাটকের শুটিং করছি। ভিন্ন আঙ্গিকের এ নাটকে রয়েছেন মেহজাবীন, নিশো, বিপাশা কবীর প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এমএ/এপি/শাহ/জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর