thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মে 24, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১৩ জিলকদ  1445

স্ত্রীসহ এলজিইডি’র প্রকৌশলীকে সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ করবে দুদক

২০১৪ জানুয়ারি ২৪ ১৯:২৯:৫৫
স্ত্রীসহ এলজিইডি’র প্রকৌশলীকে সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ করবে দুদক

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : এলজিইডি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (আইডব্লিউআরএম) মো. মশিউর রহমানের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যেই দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ হয়েছে। অনুসন্ধানে মশিউর রহমানের অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

তবে প্রকৌশলী মশিউর রহমানের চেয়ে তার স্ত্রী মিসেস নাজনীন বেগমের (গৃহিণী) সম্পদের পরিমাণ বেশি। বিস্তারিত হিসাব পাওয়ার জন্য শিগগির মশিউর রহমান ও তার স্ত্রী নাজনীন বেগম বরাবর সম্পদ বিবরণী চেয়ে নোটিশ জারি করবে কমিশন। দুদক সূত্র দ্য রিপোর্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মশিউর রহমানের স্ত্রীর নামে ঢাকার তেজকুনি পাড়া মৌজায় তিন কাঠা, নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুর মৌজায় আট শতাংশ, জালকুড়ি মৌজায় দশমিক ৩৭৫৮ সহস্র্রাংশ ও বসুন্ধরার এফ ব্লকে দুই দশমিক ৯৪ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। মশিউর রহমান তার নিজ দফতরে দাখিল করা সম্পদের হিসাবে এ তথ্য উল্লেখ করেছেন। এগুলোর মোট মূল্য ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা।

এ ছাড়া মশিউর রহমানের নামে বগুড়ার সূত্রাপুর মৌজায় একটি দ্বিতল ভবনসহ দশমিক ৫২৫ সহস্র্রাংশ জমি ও ঢাকার কল্যাণপুরে ১০৬০ বর্গফুট একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এসবের মোট মূল্য ২৩ লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে মশিউর ও তার স্ত্রীর নামে নগদ প্রাইজবন্ড, সঞ্চয়পত্র, সেভিং সার্টিফিকেট, ইউনিট সার্টিফিকেট ইত্যাদিতে মোট ২৫ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকার সঞ্চয় দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ মশিউর রহমান তার নিজ দফতরে ৭৩ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন।

এসব সম্পদের বাইরে মশিউর রহমানের নামে কৃষ্ণ চূড়া, শহিদ মিনার রোড, কল্যাণপুর, ঢাকায় ১৮০ বর্গফুটের একটি দোকান (দোকান নং-১৩) রয়েছে। যার মূল্য এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার স্ত্রী মিসেস নাজনীন বেগমের নামে বগুড়ার শাজাহানপুর থানাধীন হোতাপাড়া মৌজায় এক একর ১৬ শতক জমি রয়েছে। যার মূল্য ১০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এছাড়া ধানমন্ডিতে ২৯৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের বুকিং ও অগ্রিম বাবদ ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন মিসেস নাজনীন।

দুদকের অনুসন্ধানে মশিউর রহমান ও তার স্ত্রী নাজনীন বেগমের নামে মোট এক কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ টাকার সম্পদের হিসাব পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে দেখা যায়, ২০১১-১২ করবর্ষে মশিউর রহমানের নিট সম্পদের মূল্য ৬৪ লাখ এক হাজার টাকা এবং তার স্ত্রীর নিট সম্পদের মূল্য এক কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ তাদের দুজনের বর্তমান অর্থবছর পর্যন্ত মোট এক কোটি ৮৯ লাখ ৩১ হাজার টাকার স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, মিসেস নাজনীন বেগম পেশায় একজন গৃহিণী। তার বড় ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করেন। তবে নাজনীন নিজেকে গৃহিণী বলে দাবি করলেও আয়কর নথি অনুসারে তিনি ব্যবসায়ী। এ ছাড়া মশিউর রহমান চাকরি সূত্রে ২০টির অধিক দেশ ভ্রমণ করে তার বিপরীতে আয় উল্লেখ করেছেন।

সূত্র আরও জানায়, মশিউর রহমানের পক্ষে ছেলের বিদেশে পড়ালেখার খরচ ও সাংসারিক অন্যান্য ব্যয়ভার বহনের পর প্রায় দুই কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করা অস্বাভাবিক। বিষয়টি কমিশনের কাছে প্রমাণিত হওয়ায় মশিউর রহমান ও তার স্ত্রী মিসেস নাজনীন বেগমের নামে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগির তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/জেএম/এনআই/জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর