thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৯ শাওয়াল 1445

‘ভেবে দেখলাম, চলচ্চিত্রই করব’

২০১৪ জানুয়ারি ২৪ ২১:২৬:৩১
‘ভেবে দেখলাম, চলচ্চিত্রই করব’

ইসহাক ফারুকী, দ্য রিপোর্ট : তরুণ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অমৃতা খান। ছোটবেলা থেকেই নাচের সঙ্গে জড়িত তিনি। তাকে পাওয়া গেল রাজধানীর হাতিরঝিলের প্রিয়াংকা শুটিং প্যালেসে। ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘আমার মন জুড়ে তুই’চলচ্চিত্রে শুটিং করছেন তিনি। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানালেন তার বর্তমান ব্যস্ততার কথা।

দ্য রিপোর্ট : শুরুটা কীভাবে হলো?

অমৃতা : ২ বছর বয়স থেকেই বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে (বাফা) নাচ শিখতে শুরু করি। টানা ১২ বছরের কোর্স শেষ করেছি। ২০০২ সাল থেকে নিয়মিত টেলিভিশনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পারফর্ম করি। ২০০৩ সালে আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় অ্যারোমিট স্যান্ডেলের বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেলিং করি। ২০১২ সালে পার্থ সরকারের ‘উনিশ বছর পর’নাটকে অভিনয় করেছি। একটি মাত্র নাটকে কাজ করেছি আমি। তারপর তো চলচ্চিত্রে।

দ্য রিপোর্ট : চলচ্চিত্রের কাজ কেমন চলছে?

অমৃতা : রয়েল অনিকের ‘গেম’চলচ্চিত্রের কাজ শেষ। আর আতিক রহমানের ‘অন্তরে অন্তরে’ চলচ্চিত্রের ২৫ ভাগ শুটিং শেষ হয়েছে। ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘আমার মন জুড়ে তুই’এর কাজ শুরু হলো মাত্র। সীমান্ত কবিরের ‘ওয়ান মিলিয়ন ডলার’চলচ্চিত্রে সাইন করেছি। ওটাতে খল চরিত্রে রয়েছেন তারিক আনাম খান।

দ্য রিপোর্ট : চলচ্চিত্র হাতে নেওয়ার বেলায় কোনটিকে প্রাধান্য দেন?

অমৃতা : যখন প্রথম চলচ্চিত্র শুরু করলাম তখন গল্প শুনেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। এখন গল্পের পাশাপাশি দেখি পরিচালনা কে করবেন?

দ্য রিপোর্ট : কথা বলার সময় নাকি আপনার কথা জড়িয়ে যায়?

অমৃতা : অনেক টক শোতে আমার কথা শুনে অনেকেই বলেছে, নায়িকা দেখি কথা বলতে পারে না। নায়িকা হয়েছে কীভাবে? আসলে আমি ছোটবেলা থেকে তোতলা। তখন কথাও কম বলতাম। তোতলামো ঠিক করার ব্যাপারে ঐভাবে চিন্তা করিনি। এখন অভিনয় করতে এসে মনে হচ্ছে ইমভ করা দরকার। তাই চেষ্টাও করে যাচ্ছি। ঠিক হয়েছে অনেকটা। আর চলচ্চিত্রে ডাবিং করতে হয়। অনেক সময় একজনের ভয়েস অন্য আরেকজন দিয়ে দেয়। আমারটা আরেকজন দিয়ে দিচ্ছে। কথা বলাটা ঠিক করে নিজের ডাবিং নিজেই দেব।

দ্য রিপোর্ট : ভাতিজি হিসেবে প্রয়াত অভিনেতা ও পরিচালক খালেদ খানের কাজ কি দেখেছেন?

অমৃতা : বড় চাচ্চু (খালেদ খান) যখন স্টার, তখন আমার জন্মই হয়নি। আর আমি এখন কাজ করছি, চাচ্চু নেই।

দ্য রিপোর্ট : পরিবার সম্পর্কে বলুন, সহযোগিতা পাচ্ছেন কেমন?

অমৃতা : আমার বাবা তাহের খান ইউএনডিপিতে কর্মরত। মা দিলারা ইসলাম হাউজ ওয়াইফ। ভাই অমিত বিবিএ করছে। ওরা সবাই আমাকে অনেক সাপোর্ট দেয়।

দ্য রিপোর্ট : চলচ্চিত্রে এলেন কীভাবে?

অমৃতা : যখন বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করি, তখন সবাই বলেছেন, তুমি চলচ্চিত্রের জন্য পারফেক্ট। তারপর হুট করেই চলচ্চিত্রে চলে আসা। ভালোই রেসপন্স পাচ্ছি। তাই ভেবে দেখলাম, চলচ্চিত্রই করব।

দ্য রিপোর্ট : চলচ্চিত্রে কতটুকু সহযোগিতা পাচ্ছেন?

অমৃতা : যা পাচ্ছি, তা পরিবার ও গণমাধ্যমের সাপোর্ট। চলচ্চিত্রে আমাকে ব্যাক দেওয়ার মতো তেমন কেউ নেই।

দ্য রিপোর্ট : প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে সমস্যা হয়নি?

অমৃতা : হয়েছে তো। আমি যখন এলাম, তখন অনেক কিছুই জানতাম না। পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, সহশিল্পী থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হবে। কী করতে হবে-সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। এখন ধীরে ধীরে জানছি। নিজেকে ইমপ্রুভ করছি।

দ্য রিপোর্ট : কী ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে?

অমৃতা : বাস্তব জীবনে যা যা করি না। সবই চলচ্চিত্রে করতে চাই। তবে পরী সাজার ইচ্ছে আছে।

দ্য রিপোর্ট : কী ধরনের চলচ্চিত্র নির্মিত হলে দর্শক পছন্দ করবে, একজন দর্শক হিসেবে আপনার মতামত কী?

অমৃতা : আমার মনে হয়, অ্যাকশন চলচ্চিত্রের প্রতি দর্শকের আগ্রহ অনেক বেশি। চলচ্চিত্রে এখন গল্পের পরিবর্তনের পাশাপাশি অ্যাকশন ও গানের চিত্রায়নে নতুনত্ব প্রয়োজন।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এনডিএস/ এনআই/জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর