thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে 24, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৯ জিলকদ  1445

‘দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না’

২০১৪ জানুয়ারি ২৫ ১৮:০৩:৫৭
‘দেশবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না’

গাইবান্ধা সংবাদদাতা : বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গাইবান্ধার শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়ামে শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার খুনিকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন, পারেন নাই। যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করতে চেষ্টা করেছেন, পারেন নাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।’

খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুলে ভর্তির সময় উনার জন্ম তারিখ একটা, বিয়ের সময় একটা, পাসপোর্টে একটা এবং জাতির পিতার শাহাদাৎ বার্ষিকী ১৫ আগস্টেও উনার জন্মদিন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বিদ্যুৎ, খাদ্য, তথ্য-প্রযুক্তি, যোগাযোগ, অর্থনীতিসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়। এ দেশের মানুষকে কিছু দিতেই ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ মানে জনগণের সেবক।’

তিনি বলেন, ‘কোনো মা-বাবাকে এখন পয়সা খরচ করে বই কিনতে হয় না। সরকারই তাদের হাতে বই তুলে দেয়। বিএনপি-জামায়াতের হরতাল, অবরোধ ও রাস্তা কাটা সত্ত্বেও এ বছর আমরা সময়মত শিক্ষার্থীদের বই পৌঁছে দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ঠেকানোর নামে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। অনেকের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তাদের হাত থেকে নারীরাও রক্ষা পাচ্ছে না। এত বীভৎস দৃশ্য কখনও দেখিনি। বিএনপি যা করেছে, তা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড।’

ক্ষতিগ্রস্তদের মনের জোর রাখার অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের সন্তান ফেরত দিতে পারব না, তবে আপনাদের নিরাপত্তা দেব। আর যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য যা করা দরকার, তা-ই করব। দেশকে জঙ্গিবাদী হতে দেব না।’

স্থানীয় প্রশাসনের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে, তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। যতটা কঠিন হওয়া দরকার, ততটা কঠিন হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত এই বিচার আইন মানবে না, তা হয় না। যেভাবে হোক, সন্ত্রাসীদের বিচার করা হবে।’

এর আগে নির্বাচনকালীন সহিংসতায় হতাহত ও ক্ষতির শিকার ৭৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী। নিহত তিনজনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে এবং আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমআরএম/এসকে/সা/জানুয়ারি ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর