thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউস সানি 1446

আল-কায়েদা ইরাকে বেশি সক্রিয় : ওবামা

২০১৩ নভেম্বর ০২ ১১:০৩:২৪
আল-কায়েদা ইরাকে বেশি সক্রিয় : ওবামা

দিরিপোর্ট২৪ ডেস্ক : ইরাকে আল-কায়েদা অধিক সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ক্রমবর্ধমান এ হুমকি মোকাবিলা করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরে আল মালিকির সঙ্গে বৈঠকে শুক্রবার এ বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করেন ওবামা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাগদাদের চেয়ে আসা সহযোগিতার বিষয়ে নতুন করে যেকোনো ধরনের ঘোষণা দেওয়া বন্ধ রেখেছিলেন ওবামা।

সম্প্রতি ইরাকে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও সাহায্যের জন্য আল মালিকি হোয়াইট হাউস সফরে আসেন। যার মধ্যে ছিল অতিরিক্ত যুদ্ধাস্ত্র ও গোয়েন্দা সহায়তা। ২০১১ সালের পর মার্কিন বাহিনীর ইরাক ত্যাগ করার পর দেশটিতে বিদ্রোহীদের সৃষ্ট রক্তপাত বেড়ে যায়।

আল মালিকির সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠকের পর ওবামা বলেন, ইরাক যুদ্ধের সময় হারিয়ে যাওয়া শান্তিপূর্ণ জীবন ফিরিয়ে আনার সবচেয়ে উত্তম উপায় হবে দেশটিতে একটি কার‌্যকর গণতন্ত্র নিয়ে আসা। তবে এ সময় প্রতিবেদকদের সামনে কোনো নেতাই আল মালিকির সাহায্যের অনুরোধ বিষয়ে আলোচনা করেননি। যদিও ইরাকের সন্ত্রাস দমন যুদ্ধে সহায়তায় যুক্তেরাষ্ট্রের স্বার্থ রয়েছে বলে ওবামা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এসময় ওবামা বলেন, দুভার্গ্যবশত ইরাকে আল কায়দা এখনও সক্রিয় এবং ক্রমেই তা বেড়ে চলছে। তিনি বলেন, এ সংগঠনটি শুধু ইরাকেই পরিচালিত হচ্ছে না বরং পুরো অঞ্চলের এবং আমেরিকার জন্যও হুমকি হয়ে ওঠছে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনটির বিরুদ্ধে কিভাবে এক সঙ্গে কাজ করা যায় সে বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে অনেক আলাচনার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সন্ত্রাস প্রতিরোধে এক সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে দুই নেতা একই অবস্থানে আছেন বলে জানান আল মালিকি। তিনি বলেন, ইরাকে গণতন্ত্র দুর্বল হলেও একে শক্তিশালী করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আল মালিকি বলেন, এটা আামাদেরকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অনুমতি দেবে ।

বৈঠকে দুই নেতা সিরিয়া ও ইরানসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু আল মালিকি জানিয়েছেন, তার এ সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আমেরিকার সঙ্গে ইরাকের সম্পর্ক জোরদার করা এবং যুদ্ধ পরবর্তী চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা।

এর আগে ইরাক থেকে আমেরিকার সর্বশেষ সেনা প্রত্যাহারের ছয় দিনের মাথায় ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ওবামার সঙ্গে আল মালিকির সাক্ষাৎ হয়েছিল যেখানে দেশটিতে রেখে যাওয়া সরকারের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকা এবং সহায়তা প্রধানের অঙ্গিকার ব্যাক্ত করেছিলেন ওবামা।

ইরাকে আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহারের পর নিরব থাকা সুন্নি বিদ্রোহীরা দেশটির সরকারে উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। তারা মনে করে শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকার সুন্নিদের এক পেশে করে রেখেছে।

শুক্রবার জতিসংঘ জানায় দেশটিতে বাছবিচারহীনভাবে সহিংসতা বেড়েই চলছে। সংস্থাটির দেয়া তথ্য মতে, বিভিন্ন হামলায়, গত মাসে দেশটিতে ৯৭৯ জন ইরাকি মারা যায় যার মধ্যে ৮৫২ জন ছিল বেসামরিক লোক এবং ১২৭ জন ছিল নিরাপত্তারক্ষী। এসব হামলায় প্রায় ২হাজারের বেশি অহত হয়।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অফ পিচে এক বক্তব্যে আল মালিকি বলেন, সন্ত্রাসীরা একটি দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছে। তিনি বলেন, পাশ্ববর্তী সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের ফলে তারা দেশের সহিংসতা আরো বেশি ইন্ধন পাচ্ছে। যদিও তিনি স্বীকার করেন যে, দেশের ভিতরের বিদ্রোহীরাই বেশিরভাগ গাড়ি বোমা, আত্ঘাতী বোমা হামলা ও গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার জন্য দায়ী যা পুরো জাতিকে এলোমেলো করে দিয়েছে।

(দিরিপোর্ট২৪/এআইএম/জেএম/নভেম্বর ০২, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর