thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

বিএনপি-জামায়াতের কর্মকাণ্ডের প্রচারপত্র বিলি করবে ১৪ দল

২০১৩ নভেম্বর ০২ ১২:০৫:১৩
বিএনপি-জামায়াতের কর্মকাণ্ডের প্রচারপত্র বিলি করবে ১৪ দল

দিরিপোর্ট২৪প্রতিবেদক : প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের কর্মকাণ্ডের প্রচারপত্র বিলি করবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র রুখে দিন, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখুন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রচারপত্রটি বিলি করা হবে ১ নভেম্বর থেকে। প্রচারপত্রটি তৈরিতে ৪ সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের স্থায়ী সদস্য নাজমুল হক প্রধান। ১৪ দলীয় জোট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রচারপত্রে বলা হয়েছে, অসাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচনী সরকারের দাবি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটসহ ১৮ দল ও তাদের দোসর হেফাজতে ইসলাম দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সংসদীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্রের বাণী মুখে বললেও তাদের সে বিশ্বাস নেই। সংসদ বর্জনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে বর্তমান সংসদের সময়কালে প্রায় পুরো সময় সংসদের বাইরে থেকে আন্দোলনের নামে দেশে অরাজকতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে চলেছে। বিভিন্ন অজুহাতে হরতাল, অবরোধ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হত্যা-খুন, থানা পুলিশের ওপর আক্রমণ, রেললাইন উপড়ে ফেলা, ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় আক্রমণ, জাতীয় মসজিদে জায়নামাজ পুড়িয়ে দেওয়া, কোরআন-ধর্ম পুস্তকে আগুন দেওয়া, মসজিদকে রণক্ষেত্র করাসহ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করছে। গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী এই অপশক্তিটি আসলে ফ্যাসিবাদী ধর্মান্ধ রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতের আদর্শ বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে তাদের বাঁচানোর সর্বোচ্চ অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ২৫ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কালিমালিপ্ত করে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাস্থল থেকে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবি ঘোষণা করেছে, যা জাতি অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করেছে।

প্রচারপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার অব্যাহত ধারায় আনতে হবে। অনির্বাচিত ব্যক্তি-গোষ্ঠীর সমন্বয়ে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে ক্ষমতা হস্তান্তরের সুনির্দিষ্ট গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি বিকাশে সরকারি ও বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ধাপে ধাপে সেই পথে এগুনোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ‘সর্বদলীয়’ সাংবিধানিক সরকারের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উত্থাপিত হলেও বিরোধী দল তা মানতে রাজি নয়। বরং পরিবেশ বিনষ্ট করে ঘোলাজলে মাছ শিকারের প্রচেষ্টায় তারা নিয়োজিত। বিরোধীদলীয় নেতার দেওয়া প্রস্তাবটির ‘ভিত্তিহীনতা’ জাতির কাছে হাস্যরসের খোরাক জুগিয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের লক্ষ্য দেশে গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে অসাংবিধানিক ধারাকে ত্বরান্বিত করা। যার আলামত আপনারা প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষ করছেন। সর্বশেষ সংলাপের সুযোগকে কাজে না লাগিয়ে বিরোধকে বাড়িয়ে তোলা হলো। অক্টোবরে তিন দিনের হরতালে ১৫ জন জীবন হারিয়েছে। দেশের হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাদের বোমা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন বিচারপতি, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আদালত, থানা, সংবাদকর্মী, গণমাধ্যম, সরকারি স্থাপনা, নির্বাচন কমিশনসহ সাধারণ নাগরিক। ক্রমাগত বোমাবাজি ও অগ্নিসংযোগ এক নারকীয় ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মিত্রতা এখন তাদের তথাকথিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম, যা এরই মধ্যে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক ধারায় রাষ্ট্রপরিচালনা করতে হলে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার কোনো বিকল্প নেই। বিরোধী দলকে সেই ধারাতে আসতেই হবে। বিরোধীদলীয় নেতার একগুঁয়েমি অনড় অবস্থান ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শামিল হতে হবে। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী বিচারের রায় কার্যকর করে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে আরও ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে।

প্রচারপত্রের শেষ অংশে সব নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অর্থবহ করে তোলার আহ্বান জানানো হয়।

প্রচারপত্রের বিষয়সমূহ ফজলে হোসেন বাদশা দিরিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন।

(দিরিপোর্ট২৪/এ/এএস/নভেম্বর ০২, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর