thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউস সানি 1446

এমপি বদির সম্পদের অনুসন্ধানে চট্টগ্রামে দুদকের অভিযান

২০১৪ জানুয়ারি ২৭ ১৪:৪৭:২৯
এমপি বদির সম্পদের অনুসন্ধানে চট্টগ্রামে দুদকের অভিযান

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে চট্টগ্রামে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক আহসান আলী অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য সোমবার চট্টগ্রাম গিয়েছেন। চট্টগ্রামে বদির সম্পদের অনুসন্ধানে অভিযান চালানোর বিষয়টি দুদকের ওই কর্মকর্তা দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে সম্পদের প্রয়োজনীয় দলিলপত্র সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া দুদকের নিজস্ব সূত্রে সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের কাছে (ইসি) বদির দাখিল করা এমপির হলফনামাও তলব করা হয়েছে। ১২ জানুয়ারি কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে বদিসহ সাত জনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

বদির হলফনামার তথ্য অনুসারে, জীবনে প্রথম সাংসদ হওয়ার পর পাঁচ বছরে তার আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ। আর নিট সম্পদ বেড়েছে ১৯ গুণের বেশি। অভিযোগ রয়েছে, হলফনামায় বদি কেবল আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি গত পাঁচ বছরে আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য ও টেকনাফে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে এ টাকা অর্জন করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। হলফনামা অনুসারে এমপি বদির বার্ষিক আয় সাত কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। আর ব্যয় ছিল দুই লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। তখন (২০০৮) বিভিন্ন ব্যাংকে আবদুর রহমানের মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা। পাঁচ বছরের মাথায় এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ২৩৭ টাকা। তার হাতে ২০০৮ সালের নভেম্বরে নগদ টাকা ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৪৮ টাকা। আর এখন ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া এখন স্ত্রীর কাছে নগদ টাকা আছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৫ টাকা।

আয়কর বিবরণীতে তিনি দেখিয়েছেন সাত কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৮ টাকা। আর নিট সম্পদের পরিমাণ বলা হয়েছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকা। পাঁচ বছর আগে ২০০৮ সালের আয়কর বিবরণী অনুসারে, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৮৮০ টাকা। আর নিট সম্পদ ছিল ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৩ টাকার।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এইচএসএম/আরকে/জানুয়ারি ২৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর