thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল 24, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৯ শাওয়াল 1445

‘প্রায় ১০০ চলচ্চিত্রের অফার পেয়েছি’

২০১৪ জানুয়ারি ২৮ ১১:৩৭:৩৩
‘প্রায় ১০০ চলচ্চিত্রের অফার পেয়েছি’

ইসহাক ফারুকী, দ্য রিপোর্ট : আলিসা প্রধান ইউরোকোলার বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে মিডিয়ায় আসেন। বর্তমানে টিভি নাটকে ব্যস্ত তিনি। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানালেন তার বর্তমান ব্যস্ততার কথা।

দ্য রিপোর্ট : মিডিয়াতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে?

আলিসা : আমি যখন প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করি, পরিবারের কেউ মেনে নেয়নি। যদিও আমার পরিবার একটু অন্যরকম। সবাই স্বাধীন। কারও যদি কোনো কিছু ভালো লাগে করতে, সেটা নিজের যোগ্যতা দিয়ে করতে হয়। আমিও করছি। আমি মিডিয়ায় কাজ শুরু করার পর অনেকে বলেছে, ও কি মিডিয়ায় থাকবে নাকি? ওর ফ্যামিলি এই, ওর ফ্যামিলি সেই; আবার সে তো দেশে বেশি থাকে না। কিভাবে মিডিয়ায় কাজ করবে? কেউ আমাকে সিরিয়াসলি নিতো না। কিন্তু আমি কারও কথায় কান দিইনি। লেগে ছিলাম। আছিও।

দ্য রিপোর্ট : ফ্যামিলি কি এখন মেনে নিয়েছে?

আলিসা : মা মেনে নিতে অনেক দিন সময় নিয়েছে। যখন দেখেছে, আমি পারছি। তখন মেনে নিয়েছে।

দ্য রিপোর্ট : আপনাদের তো নিজস্ব মিডিয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে?

আলিসা : হ্যাঁ। আমার বোনের প্রোডাকশন হাউস আছে। ওখান থেকে আমি অনেক নাটক করেছি। আর গত বছর আমার মা চলচ্চিত্র ব্যবসায় নামলেন। কার্নিভ্যাল মোশন পিকচার্স নাম দিয়ে। আমরা ভেবেছি, নতুন শিল্পীদের সুযোগ দেব। ভালো ভালো চলচ্চিত্র উপহার দেব। আমি ওই ব্যানারের চারটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।

দ্য রিপোর্ট : ওখান থেকে প্রথম চলচ্চিত্র না কেন?

আলিসা : আমি কারও কথার নিচে থাকতে চাই না। প্রথম চলচ্চিত্র মায়ের হাউস থেকে কেন করব? নিজের যোগ্যতা আর চাষী নজরুল ইসলামের সহযোগিতার জন্য উনার ‘ভুল যদি হয়’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেছি। উনাকেও অনেকে বলেছে, আলিসা কেন? অন্য কাউকে নেন। ও তো দেশে থাকে না। কিন্তু দেখুন, আমি চলচ্চিত্রের জন্য দুই মাস ধরে দেশেই থাকছি।

দ্য রিপোর্ট : তারপরও তো ধাক্কা খাচ্ছেন?

আলিসা : হ্যাঁ। গত এক বছর অন্যরকম অভিজ্ঞতা ছিল। প্রায় ১০০ চলচ্চিত্রের অভিনয়ের অফার পেয়েছি। প্রতিটি চলচ্চিত্রে এক সপ্তাহ পরে আমাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আলিসা আপনাকে নেওয়া হচ্ছে না, সরি। আমি বলতাম, ইটস ওকে। আমি ইউস টু হয়ে গেছি। তাই কোনো কিছু মনে করি না। চাষী নজরুল ইসলামের চলচ্চিত্রটিও ভেবেছিলাম হবে না। হয়ে গেল।

দ্য রিপোর্ট : এখানকার সমস্যা কী?

আলিসা : এখানে কোনো ভালো গাইড নেই। কমিটমেন্টের অভাব। কেউ ক্লিয়ারভাবে বলে না, কী করতে হবে। অনেকে অবশ্য লাকি। তারা আজ এসে কাল হিট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার ব্যাডলাক। তবে আমার এটুকু আসার পেছনে ইউরোকোলার হারুন আঙ্কেল এবং চাষী নজরুল ইসলাম অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। একজন মডেলিংয়ে এনেছেন। অন্যজন চলচ্চিত্রে।

দ্য রিপোর্ট : আপনি নাকি প্রচুর কর্মশালা করেন?

আলিসা : আমি নায়িকা হই বা না হই। শিখতে পছন্দ করি। মুম্বাইয়ে গিয়ে অনেক কর্মশালা করেছি। একজন ভালো অভিনেত্রী হতে যা যা প্রয়োজন, তা শেখার চেষ্টা করেছি। নতুন অ্যাকটিং মেথড থেকে শুরু করে নৃত্য, কুংফু, মেকআপ, হেয়ার স্টাইলিং, বাইক চালনা-প্রায় সবই শেখা হয়ে গেছে। কারণ এখনও নায়িকা হতে পারিনি। একদিন তো হবই।

দ্য রিপোর্ট : কী দেখে চলচ্চিত্র হাতে নেন?

আলিসা : প্রথমে পরিচালক, তারপর চরিত্র, এরপর গল্প। আর যেসব নায়িকাকে পুতুল বানিয়ে রাখা হয়। সে ধরনের নায়িকা হতে চাই না।

দ্য রিপোর্ট : চাকরিও করছেন?

আলিসা : আমি তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছি। তিনটিই আমাদের পরিবারের। বাবার ইন্ড্রাস্ট্রিতে মার্চেন্ডাইজিং, মায়ের প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিংয়ে, পরিবারের এনজিওতে সেক্রেটারি। পরিবারকে সময় দিতে তো হবেই।

দ্য রিপোর্ট : অবসরে কী করেন?

আলিসা : চলচ্চিত্র দেখি, বই পড়ি। সবচেয়ে ভালো লাগে ইতিহাসের বই পড়তে। আর মন খারাপ থাকলে গিটার বাজাই।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/শাহ/জানুয়ারি ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর