thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল 24, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১,  ১৯ শাওয়াল 1445

নাচ বালিয়ে-৬

কারা পরছেন বিজয়ীর মুকুট!

২০১৪ জানুয়ারি ২৯ ০১:৪০:২৪
কারা পরছেন বিজয়ীর মুকুট!

আদিত্য রুপু, দ্য রিপোর্ট : নাচ বালিয়ে-৬ সিজন শুরু হয়েছে তিনমাস হয়ে গেল। স্টার প্লাসের জনপ্রিয় এই রিয়েলিটি শো-তে টেলিভিশন ও ফিল্মের সেলিব্রেটিরা অংশগ্রহণ করেন জুটি হয়ে। প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আছে এমন জুটিরাই নিজের ‘বালিয়ে’র সঙ্গে পারফর্ম করেন। ‘নাচ বালিয়ে’র বিচারক হিসেবে আছেন পরিচালক সাজিদ খান, অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ও কোরিওগ্রাফার টেরেন্স। এবারের সিজনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে ‘নাচ বালিয়ে’। চুড়ান্ত ফল জানতে টেলিভিশন দর্শকরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। স্টার প্লাসে আগামী মাসের ২ তারিখ সন্ধ্যায় জানা যাবে কোন জুটি পরতে যাচ্ছেন বিজয়ীর মুকুট। দর্শক ভোটে একে একে বাদ পড়া প্রতিযোগীদের টপকিয়ে এই মুহূর্তে টিকে আছেন চার জুটি। এদের মধ্যে গুরমিত চৌধুরী ও দেবীনা ব্যানার্জিকে সবাই মজবুত প্রতিযোগী জুটি হিসেবে দেখছেন। বাকি আছেন আরও তিন জুটিও। এরা হলেন- হৃৎভিক ধানজানি-আশা নেগি, রিপুদামান হ্যান্দা-শিবাঙ্গি ভার্মা ও বিনোদ-রক্ষা ঠাকুর। এদের কার কি অবস্থান! আসুন জেনে নেওয়া যাক। বলিউড লাইফডটকম ও ওয়ান ইন্ডিয়া ঘেটে দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করা হলো-

গুরমিত চৌধুরী-দেবীনা ব্যানার্জি

প্রজ্ঞা, কঠোর পরিশ্রম, নাটক ও মজবুত মানসিকতার জন্য এই জুটির গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি। ‘নাচ বালিয়ে’র এই সিজনের ‘সাজিদের লম্বা রেসের ঘোড়া’ হিসেবে খ্যাত তারা। শুরু থেকেই ভাল পারফর্ম করে দর্শক ও বিচারকদের মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছেন এই জুটি! তাদের ‘অ্যাক্ট’-এ নতুনত্ব থাকে। অনেকগুলো ঝুঁকিপূর্ণ পারর্ফমেন্স করে এরইমধ্যে আলাদা সুখ্যাতিও কুড়িয়েছেন তারা। টেলিভিশনে ‘পাতি পাতনি ঔর ও’ নাটকে জুটি হিসেবে কাজ করেও রয়েছে বাড়তি দর্শক গ্রহণযোগ্যতা। বিজয় মুকুট তাই এই জুটির অনেক বেশি প্রাপ্য বলে মনে করছেন গুরমিত-দেবীনা ভক্তরা। ভালোবেসে বিয়ে করা গুরমিত-দেবীনার ভাগ্যে কি আছে, সেটাই এখন দেখার বিষয়!

হৃৎভিক ধানজানি-আশা নেগি

হৃৎভিক-আশার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় স্টার প্লাসের জনপ্রিয় নাটক ‘পবিত্র রিস্তা’র সেট থেকে। দুজন দুজনের সহশিল্পী। ‘নাচ বালিয়ে-৬’ এই জুটিকে আরও বেশি কাছে এনেছে। তাদের অভিনীত নাটকের জনপ্রিয়তার প্রভাব এই শো’তেও পরেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। শুরু থেকেই হৃৎভিক-আশা কেমিস্ট্রি দর্শক ও বিচারকদের মুগ্ধ করেছে। তাদের পারফর্মেন্স মানেই প্রেম-ভালোবাসার নতুন উপস্থাপন। এই জুটি ভালোবাসাকেই তাদের নাচের উপযুক্ত বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করেছে বারবার। তবে, হৃৎভিক এর রোবটিক পারফর্মেন্সের কথা দর্শক ভুলে যায়নি। দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ জনপ্রিয় জুটি হিসেবে তাই তো হৃৎভিক-আশা এগিয়ে চলেছেন সগৌরবে। দর্শকদের আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে এই জুটির পরিণতি জানতে!

রিপুদামান হ্যান্দা-শিবাঙ্গি ভার্মা

রিপুদামান ‘মাস্টার সেফ ইন্ডিয়া’র সিজন-৩ বিজয়ী। রিপুকে মূলত স্টার প্লাসের মাস্টার সেফ এর মাধ্যমেই চেনে দর্শক। ব্যাক্তিত্বের গুণে রিপু সুবোধ ছেলের খেতাব পেয়েছেন অনেক আগেই। তবে, অন্যান্য প্রতিযোগীর তুলনায় রিপু-শিবাঙ্গির পরিচিতি কম হলে কি হবে! শুধুমাত্র পারফর্মেন্স এর বদৌলতেই তারা ফাইনালিস্ট এর খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শিবাঙ্গি ভার্মা রিপুদামানের গার্লফ্রেন্ড। দুজনের কেমিস্ট্রি ও নিখুঁত ‘মুভমেন্টস’ এর জন্য তারা বরাবরই প্রশংসিত হয়েছেন। বিজয়ী হিসেবে মুকুটের কতটা দাবীদার তারা এই ব্যাপারে খানিকটা বিতর্ক থাকলেও রিপু-শিবাঙ্গির প্রেমের জয়ের পক্ষে প্রায় সবাই। বিচারক, দর্শক থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রতিযোগীরাও দেখেছেন এই জুটির প্রেমের শুভ্রতা ও আবেগ। এই জুটির জন্য আপাতত শুভকামনা।

বিনোদ-রক্ষা ঠাকুর

শুধুমাত্র এই সিজন নয়, বিনোদ-রক্ষা ‘নাচ বালিয়ে’র যে কোনো সিজনের প্রতিযোগীদের চেয়ে আলাদা, অভূতপূর্ব। ‘ড্যান্সার-পারফর্মা’র হিসেবে বিনোদের পরিচিতি থাকলেও টেলিভিশনের পর্দায় তাকে হাজির করে স্টার প্লাস নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করল বলেই অভিমত সবার। এ জন্যে স্টার প্লাসকে কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলছেন না কেউ। ঘটনা হলো- বিনোদ একজন প্রতিবন্ধি। তার কোনো পা নেই। সঙ্গী স্ত্রী রক্ষা ঠাকুরকে নিয়ে বিনোদ তবু অবলীলায় একর পর এক পারফর্ম করে চলেছেন। পূর্ব পরিচিতি খুব একটা না থাকলেও পারফর্মেন্স দিয়ে দর্শক ও বিচারকদের প্রিয় এই জুটি। নিজেদের সীমাবদ্ধতা এই জুটির প্লাস পয়েন্ট। এই জুটির বেশিরভাগ পারফর্মেন্স শেষে বিচারকরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন। দর্শকদের আবেগের জায়গায় বিনোদ-রক্ষার অবস্থান শেষে নয়, প্রথমেই। চূড়ান্ত ফলে কি আছে এই জুটির ভাগ্যে জানতে হলে আর কটা দিন অপেক্ষা করতে হবে বিনোদ-রক্ষা ভক্তদের।

(দ্য রিপোর্ট/এআর/এসবি/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর