thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে 24, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১,  ২ জিলকদ  1445

চলতি বছরেই গুয়ানতানামো বে বন্ধের আহ্বান ওবামার

২০১৪ জানুয়ারি ২৯ ১৩:১৮:০০
চলতি বছরেই গুয়ানতানামো বে বন্ধের আহ্বান ওবামার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সে দেশের জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, ২০১৪ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগারটি বন্ধ করে দেয়া উচিত।

২০১৪ সালের শেষ দিকেই স্থায়ী যুদ্ধাবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে আফগানিস্তানে তাদের সামরিক ভূমিকায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার বার্ষিক স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ওবামা এ কথা বলেন।

বিশ্বব্যাপী ‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধ শুরুর পর ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট বুশের আমলে স্থাপিত এই কারাগারটি মার্কিন বিচারিক ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত।

ওবামা পাচঁ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর কিউবায় অবস্থিত মার্কিন নৌ ঘাঁটিতে স্থাপিত গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধ করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পুনরায় ব্যক্ত করলেন তার ভাষণে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসকেও এ ব্যাপারে তাকে সহায়তা করার আহ্বান জানান ওবামা।


ওবামা বলেন, ‘চলতি বছরেই বন্দী বিনিময় ও গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের ব্যাপারে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত কংগ্রেসের।’

গুয়ানতানামো বে কারাগারে এখনও ১৫৫ জন বন্দী রয়েছেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ পর্যন্ত তাদেরকে সেখানে বিনা বিচারেই আটক করে রাখা হয়েছে।

২০১৩ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা গুয়ানতানামো বে কারাগারে আটক বন্দীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করেন। ফলে বন্দী সংখ্যা কমিয়ে আনাটা ওবামার জন্য এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে গেছে। তবে এ ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসকে আরও নমনীয় হতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তবে এ ব্যাপারে ওবামা নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা ঘোষণা করেননি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা এখনও গুয়ানতানামো বন্দীদেরকে দেশটির মূল ভূখণ্ডের কারাগারে নিয়ে আসার অনুমোদন দেননি।

এ ছাড়া ইয়েমেনের সঙ্গে বন্দীদের ফেরত পাঠানো বিষয়ক জটিলতা এখনও কাটেনি। কারণ ইয়েমেন এখনও তাদের আটকে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় কারাগার তৈরি করতে পারেনি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের আশংকা এভাবে বন্দীদের ছেড়ে দিলে তারা পুনরায় আল কায়েদার সঙ্গে যোগ দিবে।

এ ছাড়া ওবামা আল কায়েদা ও এর মিত্রদের ওপর ড্রোন হামলার পরিমাণও কমিয়ে আনার ঘোষণা দেন। ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই স্থায়ী যুদ্ধাবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তবে ‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে।’


(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/ এমডি/এএল/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)


পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর