thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে 24, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ৯ জিলকদ  1445

স্টেম সেলের নতুন তথ্য উদ্ভাবন

২০১৪ জানুয়ারি ২৯ ২২:৪০:৩৪
স্টেম সেলের নতুন তথ্য উদ্ভাবন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : স্টেম সেল গবেষণায় নতুন তথ্য উদ্ভাবনের ঘোষণা দিয়েছেন গবেষকরা। বুধবার নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা স্টেম সেল আবিস্কার ও তা নতুন টিস্যুতে রূপান্তরের সহজ উপায় উদ্ভাবনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের দাবি এ আবিস্কারের ফলে অনেক জটিল রোগের ঔষধ তৈরিতে একটি নতুন যুগের সূচনা হলো। খবর বিবিসির।

নিবন্ধে জাপানের স্টেম সেল গবেষকরা দেখিয়েছেন যে, একটি বিশেষ ধরনের এসিডের মধ্যে ব্লাড সেল মিশ্রিত করে খুব দ্রুত নতুন স্টেম সেল তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া তারা আরো দেখিয়েছেন যে, খুব সহজেই স্টেম সেলকে শরীরের যে কোন ধরনের টিস্যুতে রূপান্তর করা যাবে। ইতোমধ্যেই স্টেম সেলকে চোখ, হৃৎপিণ্ড ও ব্রেইনের টিস্যুতে রূপান্তর করা হয়েছে বলেও দাবি করছেন গবেষকরা।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন এ উদ্ভাবন চিকিৎসা সেবাকে অনেক বেশি সস্তা, দ্রুত ও নিরাপদ করে তুলবে।

প্রসঙ্গত, মানবদেহে সাধারণত শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনে প্রথমে একটি কোষ তৈরি হয় এবং তা পর্যায়ক্রমে আরও অনেক কোষে বিভাজন হয় এবং আরও অনেক পরে সেই কোষগুলি ধীরে ধীরে ত্বক ও অন্যান্য অঙ্গতে রূপান্তরিত হয়। প্রাথমিক এই কোষগুলিকে স্টেম সেল বলে। এই অঙ্গতে রূপান্তর হওয়া বেশ জটিল এবং বিজ্ঞানীরা গত ৪০ বছর ধরে এই প্রক্রিয়াটি ভালোমতো বোঝার চেষ্টা করছিলেন।

বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই স্টেম সেলগুলি যেহেতু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রূপান্তর হয়, তাই এগুলোকে ঠিকমত প্রোগ্রাম করতে পারলে সেখান থেকে অঙ্গ তৈরি করা সম্ভব হবে। এই ধারণার উপর ভিত্তি করে অনেক বিজ্ঞানী সফল কিছু পরীক্ষা দেখাতে সমর্থ হয়েছেন।

স্টেম সেল নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক আশাবাদী। আর স্টেম সেলকে কিভাবে রোগ প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে অনেক কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে। বিশেষ করে যে সমস্ত রোগগুলিকে মানুষ জয় করতে পারেনি সেগুলিকে কাবু করার জন্য স্টেম সেল ব্যবহার করে জয় করার স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিক অনেক গবেষণায় বেশ আশাব্যঞ্জক ফলাফলও পেয়েছেন।

১৯৬২ সালে যুক্তরাজ্যের জন গার্ডন আবিষ্কার করেন কিভাবে দেহকোষ থেকে স্টেম সেল তৈরি করা সম্ভব। এরপরে বিজ্ঞানীরা এর প্রয়োগ নিয়ে অনেক কাজ করেন। কিন্তু কিভাবে সহজেই এই স্টেম সেল তৈরি করা সম্ভব হবে তা নিয়ে খুব একটা এগুতে পারেননি।

নতুন এই আবিস্কারের আগে জাপানের কিউওতো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিনিয়া ইয়ামানাক দেখিয়েছিলেন যে, স্টেম সেল তৈরি করা খুব কঠিন কিছু নয়। সাধারণ কোষের মাত্র ৪টি জিন পরিবর্তন করে দিয়েই খুব সহজেই স্টেম সেল তৈরি করা সম্ভব হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এআইএম/জেএম/জানুয়ারি ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর সর্বশেষ খবর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি - এর সব খবর