thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মে 25, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২,  ৮ জিলকদ  1446

বিশ্বের শীর্ষ ১০ গোয়েন্দা সংস্থা

২০১৬ জানুয়ারি ৩১ ১৬:৪৮:৪৬
বিশ্বের শীর্ষ ১০ গোয়েন্দা সংস্থা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : গোয়েন্দা সংস্থা হচ্ছে সেই প্রতিষ্ঠান যার কাজই হলো নিজ দেশের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা, গবেষণা করা ও সেগুলোকে নিরাপদে রাখা।

দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করতে হয় তাদের। মাঝে মাঝে গুপ্তচরবৃত্তিও করতে হয়। গুপ্তচর ছদ্মবেশে টার্গেটের সমস্ত গোপন বিষয় হস্তান্তর করে থাকে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। যিনি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি হয়ে কাজ করে তাকে বলা হয় ‘এজেন্ট’।

পৃথিবীর আলোচিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সম্পর্কে অনেকেই তেমন একটা ধারণা রাখেন না। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্পর্কে।

ইন্টার সার্ভিস ইন্টিলিজেন্স (আইএসআই), পাকিস্তান

পাকিস্তানের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা হচ্ছে আইএসআই। ১৯৪৮ সালে গঠিত হয় এই সংস্থাটি। এর কাজ হচ্ছে পাকিস্তান সরকারের নিরাপত্তা রক্ষায় তথ্য সংগ্রহ, প্রয়োজনে গুপ্তচর নিয়োগ করে তথ্য পাচার করা। আমেরিকার অপরাধ নিউজের মতে, আইএসআই পৃথিবীর এক নম্বর গোয়েন্দা সংস্থা। আইএসআইয়ের প্রধান অফিস পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে। পাকিস্তানে আইএসআই ছাড়াও আরও দুটি গোয়েন্দা সংস্থা থাকলেও আইএসআইকে প্রধান হিসেবে ধরা হয়।

সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ), যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে সিআইএ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত ও পরিচিত নাম। ১৯৪৭ সালে সিআইএ গঠিত হয়। সিআইএকে বিবেচনা করা হয় পৃথিবীর অন্যতম একটি স্বাধীন ও বিশ্বসেরা গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে। এটির সদর দফতর ওয়াশিংটনের চেয়ে কয়েক মাইল দূরে ভার্জিনিয়া শহরে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতির নির্দেশে গোপনে বা প্রকাশ্যে অপারেশন পরিচালনা করে সিআইএ।

সিক্রেট ইন্টলিজেন্স সার্ভিস (এমআই-৬), যুক্তরাজ্য

জার্মান সরকারের গতিবিধি নজরে রাখার জন্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে গঠন করা হয়েছিল এমআই-৬। এর প্রধান কার্যালয় লন্ডনে অবস্থিত। বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীতে কয়েকটি দ্বন্দ্বের পেছনে এমআই-৬ এর জড়িত থাকার অভিযোগ করা হয়। যদিও ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল সংস্থাটি। যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এমআই-৬ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ঘটনা গভীর নজরে রাখে।

ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি), রাশিয়া

সোভিয়েন ইউনিয়ন থাকাকালীন কমিটি অব স্টেট সিকিউরিটি (কেজিবি)-এর পরবর্তী সফল গোয়েন্দা সংস্থা হচ্ছে এফএসবি। রাশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এটিকে। ১৯৯৫ সালে গঠন করা হয় এফএসবি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এফএসবি। অন্যতম বৃহৎ এই সংস্থায় প্রায় আড়াই লাখেরও বেশি লোকবল রয়েছে।

বিএনডি, জার্মান

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে গঠন করা হয় বিএনডি। শত্রুদের ওপর নজরদারি রেখে তাদের পরিকল্পনা ও কৌশল সম্পর্কে জানার জন্য বিএনডি গঠন করা হয়েছিল। জার্মানের মিউনিখে এর সদর দফতর অবস্থিত। এর পেছনে প্রতি বছর প্রচুর বাজেট ধরা হয়। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত থাকে বিএনডি।

রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র), ভারত

১৯৬৮ সালে গঠন হওয়া এই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি স্বাধীনভাবে কাজ করে। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছেই এর প্রধান জবাবদিহি করেন। এ ছাড়া আর কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ‘র’ প্রধানকে জবাবদিহি করতে হয় না। ‘র’-এর প্রধান লক্ষ্যে হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘র’-এর বহু অভিযান চালানোর অভিযোগ রয়েছে।

ডিজিএসই, ফ্রান্স

১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ডি ডকুমেন্টেশন এক্সটেরিয়র এট ডি কন্ট্রে-এসপিওনাগে (এসডিইসিই)-এর নতুন রূপ হচ্ছে ডিজিএসই। নতুনভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও এই সংস্থাটির দায়িত্ব আগের মতোই ফ্রান্সের নিরাপত্তার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা।

যদিও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার মতো এটি খুব একটা প্রসিদ্ধ নয়। তারপরও ধারণা করা হয় ১৫টি সন্ত্রাসী আক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে এই সংস্থাটি।

অস্ট্রেলিয়া সিক্রেট ইন্টিলিজেন্স সার্ভিস (এএসআইএস), অস্ট্রেলিয়া

১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই গোয়েন্দা সংস্থাটি। সংস্থাটির প্রধান কাজ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে নিরাপদে রাখা ও উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ করা। যদিও অনেক বিতর্ক রয়েছে এই সংস্থাটিকে নিয়ে।

এমএসএস, চীন

চীনের জাতীয় স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত করা হয় এমএসএসকে। চীনের বেইজিংয়ে এর সদর দফতর অবস্থিত। রাজনৈতিক নিরাপত্তা, অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধেও কাজ করে এই সংস্থাটি। ১৯৩৭ সালে গঠন করা হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের কমিউনিস্ট অংশে ১৯৪৯ সাল থেকে কাজ শুরু করে এটি। চীনের গৃহযুদ্ধের সময় বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছিল এই সংস্থাটি।

দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশন (মোসাদ), ইসরায়েল

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে বলা হয় সবচেয়ে সক্রিয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কাছেই শুধু জবাবদিহি করতে হয় মোসাদ প্রধানকে। এর এজেন্টরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। মোসাদের সবচেয়ে কুখ্যাত ইউনিট হচ্ছে স্পেশাল অপারেশন ডিভিশন অথবা মেতসাদা। এর বিরুদ্ধে নানা রকমের অভিযোগ রয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এআরই/এএসটি/সা/জানুয়ারি ৩১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

M

M

SMS Alert

এর সর্বশেষ খবর

- এর সব খবর