thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘শপিংমলে অবশ্যই সিনেপ্লেক্স রাখা উচিত’

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০২ ১২:৫৬:০৪
‘শপিংমলে অবশ্যই সিনেপ্লেক্স রাখা উচিত’

ইসহাক ফারুকী, দ্য রিপোর্ট : শুক্রবার রাত ৯টা। রাজধানীর মগবাজারে আলোকচিত্রী শাহাদাৎ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের জন্য অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ পর এসে তিনি আমাদের বাসায় নিয়ে গেলেন। ছবি তোলার পর্ব সেরে অনেক সময় নিয়ে কথা হলো বর্তমান চলচ্চিত্র ও তার কাজ নিয়ে। সক্ষাৎকারের অংশবিশেষ দ্য রিপোর্টের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-

দ্য রিপোর্ট : কি নিয়ে ব্যস্ত এখন?

আকবর : বসে থাকলে তো হবে না। কাজ করতে হবে। কয়েক দিন আগে মানিকগঞ্জ থেকে ঘুরে এলাম। এশিয়ান টিভির ‘একদিন প্রতিদিন’ ধারাবাহিকের শুটিং শেষ করলাম। সামনে আরও দুটি ডেইলি সোপ ও দুটি ধারাবাহিক নাটকের কাজ শুরু করব।

দ্য রিপোর্ট : তাহলে চলচ্চিত্র?

আকবর : বুধবার থেকে পূবাইলে ‘আগে যদি জানতাম তুই হবি পর’ চলচ্চিত্রের শুটিং শুরু হবে। আর ‘আগুনের চোখে প্রেম’ শেষের পথে। মালয়েশিয়ায় ‘লাভ ইন মালয়েশিয়া’র ৫০ ভাগ কাজ করে এলাম। আবার ‘তোমাকে ভালবেসে আমি দিওয়ানা’ চলচ্চিত্রেরও ৫০ ভাগ শুটিং শেষ করেছি। এ ছাড়া নতুন চলচ্চিত্রের ব্যাপারে কথা চলছে।

দ্য রিপোর্ট : আপনি তো নতুনদের নিয়ে কাজ করেন, এর কোনো কারণ আছে কি?

আকবর : দর্শকদের কাছে নতুনদের চাহিদা অনেক। তারা এক মুখ দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যান। তাই আমি নতুনদের নিয়ে কাজ করি। পপি, শাকিবা, কেয়া যখন নতুন ছিল, তাদের নিয়েও তো কাজ করেছিলাম।

দ্য রিপোর্ট : প্রেম দিওয়ানা, কুলি, শান্ত কেন মাস্তান, মনে পড়ে তোমাকে, কঠিন বাস্তব, তুমি আমার স্বামী, এভাবেই ভালবাসা হয়, তবুও ভালবাসি’র মতো অসংখ্য ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রগুলো হিট হওয়ার পেছনে কোনো কারণ আছে কি?

আকবর : এর পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। আমি যখন সহকারী পরিচালক ছিলাম, তখন থেকেই সারাদেশের সিনেমা হলগুলোতে ঘুরতাম। দর্শকদের সঙ্গে বসে চলচ্চিত্র দেখতাম। দর্শকরা কী কী পছন্দ করেন আর কী কী পছন্দ করেন না, তা জেনে নিতাম। যে সব বিষয়ের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ বেশি, সে সব নিয়ে গবেষণা করতাম। দর্শকদের পছন্দসই গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি। এখনও তাই করছি।

দ্য রিপোর্ট : আপনি তো থার্টি ফাইভ ফরম্যাটে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন, ইদানীং ডিজিটাল ফরম্যাটে নির্মাণ করছেন। এখন অনেক কম বাজেটে মানহীন চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

আকবর : আমরা যখন থার্টি ফাইভ ফরম্যাটে এক-দেড় কোটি টাকা দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি, তখন অনেকেই ২৫-৩০ লাখ টাকায় বানিয়েছে। এটি কালে কালে থাকবেই। পাশের দেশ ভারতেও কম বাজেটে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। কিন্তু তাদের চলচ্চিত্রে ভালো গল্প থাকে। কিন্তু এ দেশে যারা কম বাজেটে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, তাদের গল্পে কোনো চমক নেই, নতুনত্ব নেই। মোদ্দা কথা, তারা গবেষণা করেন না। তাই সিনেমা হলে গিয়ে মুখথুবড়ে পড়ে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করা প্রয়োজন।

দ্য রিপোর্ট : অনেক সিনেমা হলে ডিজিটাল প্রজেক্টর নেই। সমস্যা হচ্ছে না?

আকবর : রাজধানীর কাকরাইলের সিনেমাপাড়ার অনেক প্রযোজক হল মালিকদের প্রজেক্টর ভাড়া দিচ্ছেন।

দ্য রিপোর্ট : তাতে কি সমস্যা মিটবে বলে মনে করেন?

আকবর : হল মালিকরা কোটি কোটি টাকা দিয়ে হল বানান। কিন্তু প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা যদি আধুনিক না হন, তবে কী করার আছে? হলে প্রজেক্টর দেওয়া মালিকদের দায়িত্ব। পাশাপাশি ডিজিটাল সাউন্ডও থাকা প্রয়োজন।

দ্য রিপোর্ট : অনেক হল বন্ধ হয়েছে, আরও বন্ধ হওয়ার পথে। আপনার মতামত কী?

আকবর : আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমি সিনেপ্লেক্সের পক্ষে। কেউ যদি শপিংমল বানান, তাতে অবশ্যই অন্তত দুটি সিনেপ্লেক্স রাখা উচিত। এতে অনেকে চলচ্চিত্র নির্মাণেও আগ্রহী হবেন। চলচ্চিত্রের মান বাড়বে, দর্শকরাও আসবেন।

দ্য রিপোর্ট : বিএফডিসির ডিজিটালাইজেশন হওয়ার কতদূর? বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক কতটুকু সফল?

আকবর : কোথায় হচ্ছে? ক্যামেরা আনা দরকার, আনছে না। আর ডিজিটাল চলচ্চিত্রের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্র- ডিজিটাল সাউন্ডও আনছে না। আর বিএফডিসি যদি এ সব না আনে, তবে কখনও চলচ্চিত্রের উন্নতি হবে না।

দ্য রিপোর্ট : তারপরও ডিজিটাল চলচ্চিত্র হচ্ছে-

আকবর : কোথায়? ডিজিটাল চলচ্চিত্রে ডিজিটালই তো নেই। ডিজিটাল ক্যামেরা নেই। এখন যেগুলো দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে, সবই তো নাটক নির্মাণের জন্য। আর ডিজিটাল সাউন্ড নেই, ভালো প্রজেক্টর নেই। তাহলে ডিজিটাল চলচ্চিত্র হবে কিভাবে?

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ-এমএইচও/এমসি/জামান/ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর