thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

ট্যাক্স নিয়ে ব্যবসায়ীদের আগাম চিন্তার পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৩ ১৮:০৭:২২
ট্যাক্স নিয়ে ব্যবসায়ীদের আগাম চিন্তার পরামর্শ অর্থমন্ত্রীর

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী বাজেটে করপোরেট ট্যাক্স খাতে পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের করপোরেট ট্যাক্স মোটেই যথোপযুক্ত নয়। এবার এটা পরিবর্তন করা হবে। আপনারা আগেভাগেই এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা শুরু করুন।’

সচিবালয়ে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান তিনি।

বৈঠকে ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং সেজন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দ্রুত বিদ্যুতায়ন ও গ্যাস সংযোগ প্রদান, জ্বালানি বহুমুখীকরণ, অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পিপিপির ওপর গুরুত্ব দেওয়া, ব্যাংক ঋণের সুদের হার ও স্প্রেড কমিয়ে আনা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আধুনিকায়ন, পুঁজিবাজার সংস্কার অব্যাহত রাখা, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অর্থনৈতিক এলাকা ও শিল্পাঞ্চল স্থাপনের প্রকল্পসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করা, করের আওতা বাড়িয়ে কর হার কমানো, চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমাতে মংলা ও পায়রা বন্দরকে যথাযথ কাজে লাগানো ও ডেডিকেটেড এক্সপোর্ট এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বৈঠকে ডিসিসিআইর পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের হার ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্প্রেড (আমানত ও ঋণের সুদের হারের পার্থক্য) ৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো ও রাজস্ব আয়ের একটি অংশ ব্যাংকগুলোতে জমা রাখার প্রস্তাব করেন তারা।

ডিসিসিআইর বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চরিত্রটাই উচ্চ সুদের হারের দিকে নিপতিত। সুদের হার ১২ থেকে ১৮ এ রকম থাকবে। এরমধ্যেই ওঠা-নামা করবে। এটা আমাদের চরিত্রের মধ্যে এসে গেছে। সুদের হার পরিবর্তনে নতুন কিছু ভাবতে হবে। মার্জিন হার কমিয়েও কিছু হবে না।’

পিপিপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম বছরে পিপিপি নিয়ে হৈ চৈ করলেও এটা তেমন এগুতে পারেনি। এখানে আমাদের নিজেদেরও কিছু অসুবিধা বা দোষ-ত্রুটি আছে। পিপিপির জন্য একটি স্বতন্ত্র গাইড-লাইন রয়েছে। কিন্তু সেখানে উদ্যোক্তাদের অনেক বিষয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হয়নি। তাদের পিপিআর অনুসরণ করতে হয়। এ বিষয়ে পিপিপি ইউনিট এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে। আগামী মাসে এটা নিয়ে আলোচনা হবে।’

প্রসঙ্গক্রমে তিনি আরও বলেন, ‘জিরো পয়েন্ট থেকে মাওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ এ বছরই চূড়ান্ত হবে। এটি নির্মাণে ১৫০ কেটি ডলার ব্যয় হবে।’

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘এটা পিপিপি অফিস জানাবে।’

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ওয়ে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে সব কিছু ঠিকই আছে। কিন্তু ঠিকাদাররা ঠিকমত কাজ করে না, তাদের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ অনেক কম। এখন কিছুটা ভাল হচ্ছে। এটি এ বছরই শেষ হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এনডিএস/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর