thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ১৮ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘ভারতীয় কয়েকটি চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া উচিত’

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১২:৪১:২১
‘ভারতীয় কয়েকটি চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া উচিত’

ইসহাক ফারুকী, দ্য রিপোর্ট : নায়ক থেকে খলনায়ক অমিত হাসান। ‘ভালবাসার রং’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে পর্দায় ভিলেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানালেন তার বর্তমান ব্যস্ততার কথা।

দ্য রিপোর্ট : বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে বলুন।

অমিত : কয়েকটি চলচ্চিত্রের কাজ করছি। কোনোটার শুটিং শেষ পর্যায়ে, কোনোটার কিছু অংশ হয়েছে আবার কোনোটার শুটিং শিগগিরই শুরু হবে। এর মধ্যে মনতাজুর রহমান আকবরের তিনটি, সাফিউদ্দিন সাফি, শাহিন সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, এমএ রহিম, বদিউল আলম খোকন, সালাউদ্দিন লাভলু এবং সোহেল আরমানের একটি করে চলচ্চিত্র রয়েছে।

দ্য রিপোর্ট : সব ছবিতেই কি খল চরিত্রে?

অমিত : হ্যাঁ। আসলে খল চরিত্রে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। একটি মজার ঘটনা বলি- কয়েকদিন আগে রংপুর গিয়েছিলাম। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি লোক বলে ফেললেন, শেষ পর্যন্ত অমিত হাসানও খারাপ লোক হইয়া গেল।

দ্য রিপোর্ট : দর্শক গ্রহণ করেছে তাহলে?

অমিত : আরে হ্যাঁ। আমি ৪৫০টি চলচ্চিত্রে হিরো হয়েছি। আর ভিলেন হিসেবে মাত্র পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। কিন্তু তারপরও দেখলাম দর্শকরা আমাকে খলনায়ক হিসেবেও গ্রহণ করেছে। এটি অবশ্যই বড় প্রাপ্তি। অনেকে আমাকে চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে ফোন করে বলেন, আপনার ভিলেনের সংলাপ শুনতে চাই। প্রায় প্রতিটি চলচ্চিত্রেই আমার স্পেশাল ডায়লগ থাকে। একটি চলচ্চিত্রে ছিল, ‘নাম আমার ভাইরাস, আমাকে ডিলিট করতে পারে না কোন এন্টি-ভাইরাস।’ এরকম অনেক সংলাপ শুনতে চান দর্শকরা।

দ্য রিপোর্ট : নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে প্রথমে কী ভাবেন?

অমিত : প্রথমেই ভুলে যাই, আমি কখনও নায়ক ছিলাম। এতে কাজটা করতে সহজ হয়। এ ছাড়া আরও ব্যাপার আছে।

দ্য রিপোর্ট : কী ধরনের?

অমিত : কোনো অফার এলে আমি প্রথমেই বলে নেই, কোনো রেপ সিন থাকতে পারবে না। আর কোনো চরিত্র আমাকে মারতে পারবে না। আমি এমন ভিলেন হতে চাই, যার পরিণতি খুব খারাপ হয়। হিরোর মতো সবকিছু থাকবে কিন্তু আমি হবো ভিলেন।

দ্য রিপোর্ট : এখন তো অনেক চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে। সিনেমা হল তো সেরকম নেই।

অমিত : হলের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এখন যদি দুইশ’-আড়াইশ হলে একযোগে চলচ্চিত্র মুক্তি না পায়, তবে তো প্রযোজকরা ব্যবসা করতে পারবেন না। চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসায়িকভাবে মুখথুবড়ে পড়বে।

দ্য রিপোর্ট : আপনি তো অনেক সিনেমা হলে যাচ্ছেন। দর্শক কেমন এখন?

অমিত : আমাকে অনেকেই বলেন, পরিবার নিয়ে এখনও হলে যাওয়া যায় না। দেশের অনেক অঞ্চলে ভদ্রলোকেরা চলচ্চিত্র দেখতে যাচ্ছেন না। এর কারণ, সিনেমা হলের পরিবেশ ভালো নয়। সবচেয়ে বড় কথা, এখনও নারী দর্শকরা হলে যাচ্ছেন না।

দ্য রিপোর্ট : এ থেকে উত্তরণের উপায়?

অমিত : সরকারের উচিত ভারতীয় কয়েকটি চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়া। নারীরা ভারতীয় চ্যানেল সনি ও স্টার প্লাস নিয়ে পড়ে থাকেন। ঘরে বসে একসঙ্গে ৩০-৪০টি চ্যানেলে বিনোদন খুঁজে পেলে সিনেমা হলে যাবে কেন?

দ্য রিপোর্ট : ভিডিও পাইরেসিও তো চলচ্চিত্রের জন্য হুমকি।

অমিত : অবশ্যই। দেড়-দুই কোটি টাকা খরচ করে কোনো প্রযোজক চলচ্চিত্র নির্মাণ করার পর সেটি পাইরেসির কবলে পড়ে যায়। ঘরে বসে ১০ টাকা দিয়ে সিডি কিনে দর্শক যদি চলচ্চিত্রটি দেখে ফেলেন, তবে সিনেমা হলে যাওয়ার কী দরকার? এর জন্য সরকার তো এখনও কোনো বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

দ্য রিপোর্ট : বিএফডিসির আধুনিকায়ন হচ্ছে কি?

অমিত : কোথায়? এতবড় এফডিসি। কোনো ডিজিটাল ক্যামেরা বা সাউন্ড নেই। ডিজিটাল কমপ্লেক্স আছে। ভালো অপারেটর নেই। এগুলো এফডিসিতে থাকবে না কেন? এফডিসিতে এতবড় জায়গা থাকার পরও ছোট ছোট ফ্ল্যাটে ডিজিটাল চলচ্চিত্রের শুটিং হয়। লাভ কী হলো?

দ্য রিপোর্ট : বিএফডিসির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক কতটুকু সফল?

অমিত : গতবার সরকার বিএফডিসির উন্নয়নে টাকা বরাদ্দ দিল, কিন্তু এমডি সাহেব টাকাগুলো কাজে লাগালেন না। উনার উচিত ছিল সঙ্গে সঙ্গে ভালো কিছু ক্যামেরা কিনে রাখা। এমডি সাহেব কোনো পদক্ষেপ নিলেন না।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এমসি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর