thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

এমপি মাহবুবুরের সম্পদের অনুসন্ধানে পটুয়াখালীতে অভিযান

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১৪:২৫:৩৯
এমপি মাহবুবুরের সম্পদের অনুসন্ধানে পটুয়াখালীতে অভিযান

হাসিব বিন শহিদ, দ্য রিপোর্ট : পটুয়াখালী-৪ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে পটুয়াখালীতে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের উপ-পরিচালক খায়রুল হুদা মঙ্গলবার সকাল থেকে এ অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানের বিষয়টি দুদকের এ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন।

উপ-পরিচালক খায়রুল হুদা দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে এমপি মাহবুবুর রহমানের সম্পদের অনুসন্ধান অভিযান চালানো হচ্ছে। তার সম্পদের সঠিক তথ্য পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল স্থানেই খোঁজ নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার সম্পদের হিসাবের পাশাপাশি তার স্ত্রী ও সন্তানদেরও সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।’

দুদক সূত্র জানায়, মাহবুবুর রহমানের সম্পদের হলফনামা ও আয়কর বিবরণী সংগ্রহ করা ছাড়াও জেলা ভূমি রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে জমি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এমপি মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি গত পাঁচ বছরে ২০ একর জমি থেকে দুই হাজার ৮৬৫ একর জমির মালিক হয়েছেন। নবম সংসদের হলফনামা অনুসারে পাঁচ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ছাড়া কোনও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকা স্ত্রীর নামে এখন এক কোটি ২৬ লাখ ৭১ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। নিজের ৩৬ লাখ ৩৩ হাজার ১১২ টাকার স্থাবর সম্পদ পাঁচ বছরের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ কোটি ২৫ লাখ ৬৬ হাজার ৭২ টাকা।

২০০৮ সালের হলফনামায় সাতটি আয়ের উৎস খাতের মধ্যে তার একমাত্র আয় ছিল খণ্ডকালীন রাখী মালামাল থেকে। যার পরিমাণ ছিল বছরে মাত্র দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তিনি এখন মৎস্য উৎপাদন ও বিক্রয়কারী। আর এ খাত থেকে তার বছরে আয় হচ্ছে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগে তার ওপর নির্ভরশীলদের কোনও আয়ের উৎস না থাকলেও এখন তার ওপর নির্ভরশীলদের ব্যবসা থেকে বছরে আয় তিন লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া চাকরি থেকে তার বছরে আয় ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৭০০ টাকা।

প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে মাহবুবুর রহমানসহ সাতজনের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। অন্যরা হলেন, কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, সাতক্ষীরা-৩ আসনের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক, রাজশাহী-৪ আসনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রকৌশলী এনামুল হক, ঢাকা-১৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক, সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জব্বার এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকটে আবদুল মান্নান খান।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এমএআর/আরকে/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর