thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১২ মে 24, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১,  ৪ জিলকদ  1445

লিবিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৫ ১১:২৭:৪৯
লিবিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : লিবিয়ার সকল রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‍মোহাম্মদ আব্দেল আজিজ। রাজধানী ত্রিপোলিতে মঙ্গলবার ‘অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনস’ (ওপিসিডব্লিউ)-এর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

ধ্বংস করা অস্ত্রের মধ্যে বোমা ও মাস্টার্ড গ্যাসপূর্ণ শেল রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

লিবিয়া ২০০৪ সালে জানিয়েছিল, রাসায়নিক অস্ত্রের সক্ষমতা হিসেবে তাদের রয়েছে প্রায় ২৫ টন সালফার মাস্টার্ড আর কয়েক হাজার খালি অ্যারিয়েল বোমা।

কেমিক্যাল উইপনস কনভেনশন (সিডব্লিউসি) চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ত্রিপোলি রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দেল অজিজ বলেন, ‘লিবিয়া এখন সম্পূর্ণ রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত। এই অস্ত্র স্থানীয় সম্প্রদায়, পরিবেশ আর প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে ছিল।’

তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক সহায়তা না পেলে এত অল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হতো না। বিশেষ করে কানাডা, জার্মানি আর যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রযুক্তিগত সহায়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে জানুয়ারির ২৬ তারিখের মধ্যে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওপিসিডব্লিউর প্রধান আহমেত উজুমাক রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের স্থান পরিদর্শন করেন। গত সপ্তাহে রুওয়াগায় এই অস্ত্রগুলো ধ্বংস করা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে উজুমাক বলেন, লিবিয়ার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক সহায়তার একটি ভালো উদাহরণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সিরিয়ারও এই পথ অনুসরণ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

১০ বছর আগে লিবিয়া সিডব্লিউসিতে যোগ দেয়ার পর মুয়াম্মার গাদ্দাফির আমলেই শুরু হয় অস্ত্র ধ্বংসের এই প্রক্রিয়া।

গাদ্দাফি সরকার প্রায় ৫৪ শতাংশ মাস্টার্ড সালফার সফলভাবে ধ্বংস করে। ২০১১ সালে গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত হলে প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে ওপিসিডব্লিউকে আগের অপ্রদর্শিত রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ সম্পর্কে অবহিত করে।

ক্যাটাগরি-১ কেমিক্যাল উইপনের আওতায় লিবিয়ার সাম্প্রতিক রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওপিসিডব্লিউ।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ কাজে এ ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কোনো নজির নেই। আর এ সব অস্ত্র সিডব্লিউসির জন্য সব থেকে বড় হুমকি।

ওপিসিডব্লিউ আরও জানায়, ক্যাটাগরি-২ কেমিক্যালের আওতায় লিবিয়া ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস সম্পন্ন করবে।

ওপিসিডব্লিউ একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক সংগঠন। সংগঠনটি রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ বন্ধে ১৯৯৭ সালে করা চুক্তি পর্যবেক্ষণে জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করছে। (সূত্র : বিবিসি)

(দ্য রিপোর্ট/আরজে/এমডি/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর