thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ১৯ মে 24, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১১ জিলকদ  1445

‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে বাংলাদেশ’

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৪:২৩:৫৬
‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে বাংলাদেশ’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের জনবান্ধব অর্থনৈতিক কর্মসূচির ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।’

বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির দু’দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুক্রবার তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ অর্থনীতি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এটিএম জহুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের শেখ। অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহিবুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আমিন বক্তব্য দেন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গৃহীত কর্মসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কারণে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোতে লাখ লাখ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে বাংলাদেশে একজন লোকও চাকরি হারায়নি। বরং দেশে নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।’

বর্তমানে গ্রামের নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জনগণের মধ্যে মঙ্গা বা অভাব নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, গুণগত শিক্ষা, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন তিনি। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপরাজনীতির ফলে দেশের অর্থনীতি সাময়িকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এর বিরুদ্ধে সামাজিক ধিক্কার ও প্রতিরোধ গড়ে উঠছে বলেও উল্লেখ করেন শিল্পমন্ত্রী।

এ সময় দেশেই বিশ্বমানের শিল্প-প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে বেসরকারি শিল্প-কারখানার গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান অর্থনীতিবিদরা।

তারা বলেন, বিদেশ থেকে প্রযুক্তি ও পরামর্শক আমদানির পরিবর্তে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। এ লক্ষ্যে তারা একটি ইন্ডাউমেন্ট ফান্ড বা বৃত্তি তহবিল গঠনের তাগিদ দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা গুণগত শিল্পায়নের প্রচেষ্টা জোরদারের জন্য দেশীয় শিল্প-কারখানার সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর সংযোগ স্থাপনের পরামর্শ দেন।

তারা বলেন, জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষার প্রসারে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল স্থাপন করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে তারা জাতীয় পর্যায়ে কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা জোরদার হলে রাজনৈতিক সহিংসতা অনেকাংশে কমে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তারা ।

(দ্য রিপোর্ট/এআই/এনডিএস/এজেড/ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর