thereport24.com
ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১,  ২৯ জমাদিউস সানি 1446

ডিএসসিসি’র কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৭ ১৬:৩৬:৩১
ডিএসসিসি’র কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদক

হাসিব বিন শহিদ, দ্য রিপোর্ট : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সম্পত্তি বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. মনিরুজ্জামান মিয়ার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক সূত্র জানায়, ডিএসসিসি’র সম্পত্তি বিভাগের ওই কর্মকর্তাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দুদকে এলে কমিশন তা আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, মনিরুজ্জামান ডিসিসি’র সাবেক প্রধান প্রকৌশলীর আত্মীয় হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সম্পত্তি কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন পান (আইডি নং-৬৭০৩)। ডিএসসিসি’র সম্পদ বিভাগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়াসহ ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। এ কাজে তার সঙ্গে ডিএসসিসি’র কিছু অসাধু কর্মচারীও জড়িত রয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, মনিরুজ্জামান ইতোমধ্যেই দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ তিনি শহরের বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করেছেন। স্ত্রীর নামে রাজধানীর বাড়িধারায় ১০ কাঠার দুটি প্লট ক্রয় করেছেন। বাড্ডা মৌজায় তার ৫ কাঠার তিনটি প্লট রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মার্কেটে তার আত্মীয়-স্বজন, স্ত্রী ও নিজ নামে প্রায় অর্ধশত দোকান রয়েছে। ঢাকার এসিল্যান্ড থাকাকালীন তিনি শহরের অনেক জমি নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে রেকর্ড করেছেন।

মতিঝিল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ঢাকা ট্রেড সেন্টারে বেজমেন্টসহ বিভিন্ন ফ্লোরের জায়গা, ইসলামবাগ কাঁচা বাজার, নর্থ ব্রুক হল রোডের আড়ৎ মার্কেটে বেশ কয়েটি জায়গা বরাদ্দ নিয়েছেন তিনি। গত কোরবানির মৌসুমে পশুহাটে ইজারাদারদের কাছে কার্যাদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে লাখ লাখ টাকা আদায় করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, মনিরুজ্জামান নিজ স্বার্থ উদ্ধারের জন্য একটি সিন্ডিকেট বানিয়েছেন। তার সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কবির আহম্মেদ ও উচ্চমান সহকারী ফরিদুল ইসলামের যোগসূত্র রয়েছে। এ সিন্ডিকেট করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের সকল নথি সংরক্ষণ করে এবং অর্থের বিনিময়ে তা গায়েব করেন।

সূত্র আরও জানায়, সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের নকল সিল তৈরি করারও অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে পুরান ঢাকার একটি জায়গা প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ভাড়ার চালান ইস্যু করে ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজেই লাল কালি ও ব্যাংকের সীল দিয়ে নথিতে চালান রেখে দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মো. মনিরুজ্জামান মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত সকল জাল-জালিয়াতির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এইচবিএস/এসকে/এনআই/ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অপরাধ ও আইন এর সর্বশেষ খবর

অপরাধ ও আইন - এর সব খবর