thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১৮ মে 24, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,  ১০ জিলকদ  1445

প্রকৃত নির্মাতারা কম্প্রোমাইজ করে না

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১৬:৩৯:১৮
প্রকৃত নির্মাতারা কম্প্রোমাইজ করে না

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শনিবার সকাল ১০টা। গুলশান লেডিস পার্কে পাওয়া গেল বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতা আলীরাজকে। মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘ইটিশ পিটিশ প্রেম’ চলচ্চিত্রের শুটিং করছেন তিনি। শুটিংয়ের ফাঁকে দ্য রিপোর্টের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানালেন তার বর্তমান ব্যস্ততার কথা।

দ্য রিপোর্ট : বর্তমানে কোন কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন?

আলীরাজ : বর্তমানে ১০-১২টি চলচ্চিত্রের কাজ চলছে। এর মধ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে ইফতেখার চৌধুরীর ‘অগ্নি’। এ ছাড়া জাকির হোসেন রাজুর ‘দবির সাহেবের সংসার’, ওয়াকিল আহমেদের ‘শোধ’, এফআই মানিকের ‘বিচার আমি করবো’, ‘মাথার উপর ছায়া’, জাকির খানের ‘রাঙা মন’, নূর মোহাম্মদ মনির ‘কিস্তির জ্বালা’সহ আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রের কাজ চলছে।

দ্য রিপোর্ট : এই সময়ে অনেক ডিজিটাল চলচ্চিত্র বানানো হচ্ছে। তাতে মান ঠিক থাকছে কী?

আলীরাজ : যারা প্রকৃত নির্মাতা, তারা তো ঠিকমতই কাজ করছে। তারা কখনোই কম্প্রোমাইজ করে না। কিন্তু ফিল্মে কিছু বাটপার ঢুকে পড়েছে। তারা প্রডিউসারকে উল্টা-পাল্টা বোঝায়। ডিজিটাল ফিল্মে অনেক কম টাকা লাগে- এই কথা বলে তারা প্রডিউসারকে ফিল্মে নামায়। এর পর যাচ্ছেতাই ফিল্ম বানায়। টেলিফিল্মের মত করে ফিল্ম বানায়। ফিল্ম বানালে ফিল্মের মত করেই বানাতে হবে। তা না হলে দর্শক গ্রহণ করবে না। সিনেমা হলে চলবে না, তাই না।

দ্য রিপোর্ট : এর মধ্যে কি ভালো পরিচালক নেই?

আলীরাজ : অবশ্যই আছে। বেশকিছু নতুন পরিচালক এসেছেন। তারা অনেক মেধাবী। তাদের মধ্যে সম্ভাবনা অনেক।

দ্য রিপোর্ট : অনেক সিনেমা হল এখনো ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় আসেনি। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

আলীরাজ : চলচ্চিত্রে নীরব বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে। আমরা অনেক ভালো ভালো ডিজিটাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করছি। এটা আশার কথা। কিন্তু অনেক হল মালিক এর সঙ্গে একাত্ম হতে পারেনি। দেখা যায়, দাদা হল মালিক ছিল, ছেলে সেই হল দিয়ে ব্যবসা করছে। নাতিও লাভ ভোগ করছে। কিন্তু হলের পরিবেশ ঠিক করার ব্যাপারে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। হল সংস্কার করছে না। হলে যদি দর্শক যেতে না পারে তো ভালো চলচ্চিত্র বানিয়ে লাভ কী?

দ্য রিপোর্ট : এ ব্যাপারে হল মালিকদের কী করা উচিত?

আলীরাজ : আমার মতে, হল মালিকদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। হলের সিট, পর্দা ঠিক করতে হবে। হলে যে কেউ প্রবেশ করে যেন সুন্দর একটা পরিবেশ পায়। সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে দর্শক হলে যাবে। কেউ হয়ত বলবে, কোথাও বেড়ানোর জায়গা নেই। চল হলে যাই। তাহলে হল মালিক, দর্শক, চলচ্চিত্র নির্মাতারা লাভবান হবেন।

দ্য রিপোর্ট : আপনি মঞ্চ, টেলিভিশন থেকে চলচ্চিত্রে এসেছেন। বর্তমানে যারা অভিনয়ে আসছে তারা তো কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই আসছে…

আলীরাজ : আমাদের এখানে তো অভিনয় শেখানোর কোনো ইনস্টিটিউট নেই। নতুনদের চলচ্চিত্র থেকেই শিখতে হবে। শুটিংয়ে এসে নিজের শট দিয়ে চেয়ারে গিয়ে বসে নিজেকে শুধু ব্যস্ত রাখলে তো হবে না। সিনিয়র আর্টিস্টরা কী করছে, তাদেরটা দেখতে হবে। দেখে শিখতে হবে। আমরা তো এভাবেই অনেক কিছু শিখেছি। তা না হলে যে স্বপ্ন নিয়ে চলচ্চিত্রে এসেছে, সেই স্বপ্নই ভেঙে যাবে।

(দ্য রিপোর্ট/আইএফ/এপি/সা/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

জলসা ঘর এর সর্বশেষ খবর

জলসা ঘর - এর সব খবর