thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৩ জমাদিউল আউয়াল 1446

এরশাদের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে সোমবার

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ০৯ ২৩:০৪:৫৩
এরশাদের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে সোমবার

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দীর্ঘ তেত্রিশ বছর পর ঘোষিত হতে পারে বহুল আলোচিত-সমালোচিত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায়। এ রায়ের মাধ্যমে মামলার প্রধান আসামি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।

দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এর বিচারক হোসনে আরা আক্তার। বর্তমানে এ মামলার নতুন বিচারক খন্দকার হাসান মাহমুদ ফিরোজ ।

তবে ৪ ফেব্রুয়ারি নতুন বিচারক নিয়োগ হওয়ায় মামলার রায় হবে কিনা- তা নিয়েও সংশয় রয়েছে বলে দ্য রিপোর্টকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি।

তিনি বলেন, ‘সাধারণত নতুন বিচারক আসলে নতুন করে যুক্তিতর্ক শুরু হয়। তাই সোমবার মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় হবে কিনা-তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’

১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং মৃত্যুসনদপত্র পেতে বিলম্ব হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ১৯৯৫ সালের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ এরশাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

দীর্ঘ ১৯ বছর মামলাটি বিভিন্ন কারণে ঝুলে ছিল। বিচার চলাকালে পর্যায়ক্রমে মোট ২২ জন বিচারক বিচারিক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। এর মধ্যে ২২ জনই বিভিন্ন কারণে বদলি হয়েছেন। ২২ জানুয়ারি মামলার ২২তম বিচারক ঢাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা আক্তার সোমবার আলোচিত মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

২২ জানুয়ারি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার কার্যক্রম শেষ হয়। এ সময় মামলার প্রধান আসামি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং বাকি দুই আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইঞা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল লতিফ ও লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শমসেরের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।

এ মামলায় মোট ৪৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন প্রধান আসামি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

এ হত্যাকাণ্ডের রায়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। একই সঙ্গে বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হবে।

(দ্য রিপোর্ট/জেএ/এপি/এনডিএস/এএল/ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

রাজনীতি এর সর্বশেষ খবর

রাজনীতি - এর সব খবর