thereport24.com
ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২২ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘ইপিজেড’এ ট্রেড ইউনিয়ন চালুসহ অবশিষ্ট ৩ শর্ত পূরণ হবে’

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১০ ১৬:৩৩:৩৬
‘ইপিজেড’এ ট্রেড ইউনিয়ন চালুসহ অবশিষ্ট ৩ শর্ত পূরণ হবে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ‘জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে ইপিজেড’এ ট্রেড ইউনিয়ন চালুসহ অবশিষ্ট তিনটি শর্তও পূরণ করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সচিবালয়ে সোমবার ‘ফরেন ইনভেস্টমেন্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্র প্রদত্ত ১৬টি শর্তের মধ্যে ১৩টি ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে তিনটি শর্ত এখনো পূরণ হয়নি, এর মধ্যে রয়েছে- ২শ’ ইন্সপেক্টর নিয়োগ, ইপিজেড ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ প্রদান ও ১৯টি পোশাক কারখানায় শ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগ। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

এ তিনটির বিষয়ে তোফায়েল বলেন, ‘বিধান অনুযায়ী পিএসসি’র মাধ্যমে ২শ’ ইন্সপেক্টর নিয়োগ দেওয়ার কথা, এতে দু’বছর সময় লাগবে। কিন্তু শর্ত মোতাবেক এপ্রিল- মের মধ্যে এ নিয়োগ দিতে হবে। জুন পর্যন্ত সময় পেলেও পেতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পিএসসি’র সঙ্গে কথা বলব। শ্রম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অর্ডারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এদের নিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

এ বিষয়ে পৃথক একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিসিএস’এ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, কিন্তু কোনো ক্যাডার সার্ভিসে নিয়োগ পায়নি, এদের মধ্য থেকে এই ২শ’ ইন্সপেক্টর নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন বলে ওই সূত্র জানায়।

ইপিজেড’এ ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ প্রদান প্রসঙ্গে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ইপিজেড স্থাপনের সময় বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থে এখানে ট্রেড ইউনিয়নের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না বলে ইপিজেড আইনে উল্লেখ করা হয়েছিল। ট্রেড ইউনিয়নের ব্যাপারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনো এক ধরনের অনীহা রয়েছে। অন্যদিকে আমাদের শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার রয়েছে এবং ইপিজেডের বাইরে অন্য সব স্থানে ইতোমধ্যেই এটা প্রয়োগ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা যদি শ্রম আইনটা সব জায়গায় প্রয়োগ করি এবং শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা করতে পারি তাহলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।’

১৯টি কারখানায় শ্রমিক নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা তদন্ত করা হবে এবং বিজিএমইএ সভাপতিসহ এসব কারখানার মালিকদের ডেকে আনা হবে ও তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। আমরা চাই কোনো কল-কারখানায় যাতে অ্যাবিউজ না হয়।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চার হাজারেরও বেশি পোশাক কারখানা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮-২০টি কারখানায় সংকট হতেই পারে। কিন্তু এটাও যাতে না হয়, সে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এসআর/এনডিএস/এএইচ/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর