thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি 25, ২ মাঘ ১৪৩১,  ১৬ রজব 1446

কুলাউড়ায় আ’লীগের নগদ উন্নয়ন, বিএনপির প্রতিশ্রুতি

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১১ ০৯:১৪:৩২
কুলাউড়ায় আ’লীগের নগদ উন্নয়ন, বিএনপির প্রতিশ্রুতি

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : কুলাউড়ায় ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা নির্বাচন। আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা এখন জনসংযোগে ব্যস্ত। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ভোটারদের নগদ উন্নয়নের আশ্বাস দিচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থীরা ভবিষ্যতে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

নির্বাচন উপলক্ষে উৎসবমুখর কুলাউড়া উপজেলার শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লাসহ চা-শ্রমিক অধ্যুষিত এই জনপদ। প্রার্থীরা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ব্যানার, ফেস্টুন, নির্বাচনী অফিস, মিছিল-মিটিংয়ে ছেয়ে গেছে কুলাউড়া উপজেলা।

১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কুলাউড়া উপজেলা। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ১৯০। মোট ৯৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির প্রার্থী অংশগ্রহণ করায় ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনের উত্তাপ বেশি। তাই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই উপজেলাটি ডাকসুর সাবেক ভিপি ও সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের এলাকা। তবে বিএনপির প্রার্থীরা গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনকে প্রাধান্য দিচ্ছেন জয়ের ব্যাপারে।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন মিলে মোট ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- আওয়ামী লীগের আ স ম কামরুল ইসলাম (কাপ-পিরিচ), বিএনপির শওকতুল ইসলাম শকু (দোয়াত-কলম), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হান্নান (আনারস), জাতীয় পার্টি (এরশাদ) গিয়াস মিয়া (টেলিফোন) ও তালামীযে ইসলামিয়ার মো. আলাউদ্দিন (মোটরসাইকেল)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- অরবিন্দু ঘোষ (তালা), গৌরা দে (বৈদ্যুতিক বাল্ব), আহবাব হোসেন রাসেল (টিয়া পাখি), বদরুজ্জামান সজল (মাইক), ফজলুল হক খান সাহেদ (বই) ও রাজানুর রহিম ইফতেখার (চশমা)।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- তানিয়া আক্তার লিমা (কলস) ও নেহার বেগম (ফুটবল)।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে জানান, প্রত্যেক প্রার্থী ব্যক্তিগত এক লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবেন। পোস্টারে প্রার্থীর নাম, প্রতীক ও সাদাকালো ছবি, ছাপাখানার নাম-ঠিকানা, কতটি ছাপানো হয়েছে সে সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে।

একজন প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ দুটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন ও প্রধান অফিসসহ সর্বোচ্চ ৫টি অফিস ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান তিনি।

(দ্য রিপোর্ট/টিএফ/এমএইচও/জেএম/এজেড/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর