thereport24.com
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউস সানি 1446

নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি

২০১৩ নভেম্বর ০৪ ২২:২৩:৩০
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি

দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শিগগিরই রাষ্ট্রপতির (সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক) সঙ্গে দেখা করে আসন্ন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের জন্য আবেদন জানাবে কমিশন।

প্রসঙ্গত, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়া কোনো নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত ছিল না। তবে, এ পর্যন্ত সকল জাতীয় নির্বাচনে এ বাহিনী দায়িত্ব পালন করেছে। এছাড়া, সংসদের দুটি উপ-নির্বাচন (হবিগঞ্জ-১ ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২) ও নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাবেক হুদা কমিশন সেনা চেয়েও পায়নি। তবে, চট্রগ্রাম সিটি নির্বাচনে ভোট নেওয়ার পর নৌবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছিল।

এ প্রসঙ্গে সোমবার নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, আরপিও’তে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনী অন্তর্ভূক্ত না থাকায় এবার অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সেনা মোতায়েনে অনুরোধ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আরপিও অনুসারে আইনশৃঙ্খলায় (পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি) যেসব বাহিনী থাকবে তাদের নিয়োজিত রাখা হবে। কিন্তু, এসব বাহিনীর সহায়তা নিয়ে নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যায়। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জন্য আবেদন জানাবো হবে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত কোন বিধান ২০০১ সালের আগে আরপিওতে ছিল না। তবুও ১৯৭৩ সাল থেকে সব নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বেসামরিক শক্তির সহায়তার জন্য প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের জেলা/থানা/উপজেলা পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনশ’ সংসদীয় আসনের নির্বাচন একই দিনে হয়। প্রচলিত বাহিনীতে সদস্য সংখ্যা অপর্যাপ্ত থাকায় সব নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর ব্যবহার হয়েছে। এবার দশম সংসদ নির্বাচনেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। কমিশন ইতোমধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী নেই উল্লেখ করলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘আরপিওতে নেই, তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানাব। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। গত নির্বাচনগুলোতে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করেছে। তাই এবারও আমরা তাদের সহযোগিতা চাইব।

২০০১ সালের ১ নং অধ্যাদেশমূলক ল’এন্ফোর্সিং এজেন্সির সংজ্ঞায় ডিফেন্স সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়ে নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ২০০৯ সনের ১৩ নং আইন থেকে তা বাদ দেওয়া হয়। প্রতিটি নির্বাচনে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা রিজার্ভ, স্ট্রাইকিং, মোবাইল ফোর্স হিসেবে টহলে থাকে।

সাবেক হুদা কমিশন আরপিও সংশোধনের যে প্রস্তাবনা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় তাতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় ডিফেন্স সার্ভিস (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করেন নি।

আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে ও একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সব রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হবে। সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বিঘেœ নির্বাচন করতে পারব।’

বিরোধী দল অংশ না নিলে কমিশন নির্বাচন করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতেই হবে। আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ কমিশনের নেই। আমরা চাইব সব দল নির্বাচন আসুক।’

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। কমিশন বৈঠক শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

(দিরিপোর্ট২৪/এমএস/এসকে/এমডি/নভেম্বর ০৪, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর