thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

৭৬২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে বাংলালিংক

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৭:৫৬:১৪
৭৬২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে বাংলালিংক

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষ তদন্ত দলের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলালিংক এ পর্যন্ত ৭৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।

জানা গেছে, পাওনা পরিশোধ না করলে বাংলালিংকের ব্যাংক হিসাব জব্দসহ কঠোর ব্যবস্থা নিবে এনবিআর। এর আগেও বাংলালিংকের কাছে ৭৭৪ কোটি টাকার পাওনা দাবি করেছিল এনবিআর। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিশেষ তদন্ত কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ৭৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির তথ্য পেয়েছে।

বাংলালিংক ২০০৯ সালের জুন থেকে ২০১১ সালের মার্চ পর্যন্ত যেখানে নতুন সিম বিক্রি করেছে, সেখানে ২৭ লাখ ৫৮ হাজার সিম রিপ্লেসমেন্ট দেখিয়েছে। এতে রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ ৭৬২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মূল দলিলাদি যাচাইয়ের মাধ্যমে সিম রিপ্লেসমেন্টের আগে-পরে মালিকানা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে এ অর্থ পরিশোধযোগ্য। বিশেষ কমিটি বিটিআরসি’র কারিগরি সহায়তায় সিম রিপ্লেসমেন্ট তদন্তসংক্রান্ত প্রায় ৫ হাজার সিম নতুনভাবে যাচাই-বাছাই করেছে। এর মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ সিমের ক্ষেত্রে রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। মোবাইল অপারেটররা সিম বদলের আড়ালে নতুন সিমকার্ড ইস্যুর বিপরীতে বিদ্যমান ট্যারিফ মূল্য অনুযায়ী সম্পূরক শুল্ক ও মূসক (মূল্য সংযোজন কর) ফাঁকি দিয়েছে।

এর আগে সিমকার্ড রিপ্লেসমেন্টসহ অন্যান্য পাওনা কর বাবদ এনবিআর ও বাংলালিংকের মধ্যে আপত্তি দেখা দেয়। কোম্পানির দাবি ২০০৫ সালের ১৩ জুন করা আইন অনুযায়ী সিম বদলের (রিপ্লেসমেন্ট) জন্য কোনো কর দিতে বাধ্য নয় তারা। কিন্তু কোম্পানির এ দাবিও মানতে নারাজ এনবিআর। এ নিয়ে বিরোধ চলে উভয়পক্ষে।

অপারেটরগুলো পুরনো সিমের বদলে গ্রাহকদের নতুন সিম দিলেও এ সব সিমের কোনো কর দেয় না। বিষয়টি এনবিআরের নজরে এলে বাংলালিংকের কাছ থেকে সিম রিপ্লেসমেন্ট বাবদ পাওনা কর দাবি করে। কিন্তু এনবিআরের দাবি মানতে নারাজ বাংলালিংক। এনবিআরের দাবির বিরুদ্ধে গত বছর হাইকোর্টে মামলা করে। গত ৬ জুন এক রায়ে পাওনার বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য এনবিআরকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। রায় ঘোষণার ১২০ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধানে এনবিআরকে সময়ও বেঁধে দিয়েছে আদালত। এর পর দফায় দফায় অপারেটরদের সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করে এনবিআর। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করে এনবিআর। এনবিআরের বিশেষ তদন্ত কমিটি পরীক্ষা শেষে কর ফাঁকির বিষয়টি চূড়ান্ত করে।

এ বিষয়ে বাংলালিংকের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশন্স জাকিউল ইসলাম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে, তাই এই বিষয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এনবিআরের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নয়। হয়ত মোবাইল অপারেটরগুলোকে হেয়প্রতিপন্ন করতে এনবিআরের প্রতিবেদনটি ‘লিক’ করা হয়েছে।’’

(দ্য রিপোর্ট/এমএন/এইচএসএম/সা/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

বিশেষ সংবাদ এর সর্বশেষ খবর

বিশেষ সংবাদ - এর সব খবর