thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২১ জমাদিউল আউয়াল 1446

হরতালের কবলে বেনাপোল বন্দর

২০১৩ নভেম্বর ০৫ ১১:০৩:১০
হরতালের কবলে বেনাপোল বন্দর

বোনপোল সংবাদদাতা : সাপ্তাহিক ও ভারতে কালীপূজার ছুটি এবং ১৮ দলীয় জোটের তিনদিনের হরতালসহ একটানা পাঁচদিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে বেনাপোল স্থলবন্দরে। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে আমদানি পণ্যের সিংহভাগ আসে বাংলাদেশে। টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকায় ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হারাবে সরকার।

বোনপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, আমদানিকৃত শিল্পকারখানার কাঁচামাল সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। ফলে সরকার ও দেশের আর্থিক অবস্থা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। বিদেশিরা তাদের গার্মেন্টস পণ্যের অর্ডারের মাল সময়মতো ডেলিভারি না পেলে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, ঈদ, পূজা, হরতাল ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে অক্টোবর মাসে ১৬ দিন ছুটি ছিল। ওই ছুটির কারণে অনেকটা রাজস্ব আয়ের ঘাটতি হলে আশা করেছিলাম তা নভেম্বর মাসে পুষিয়ে যাবে। কিন্তু আবারও হরতালের কারণে টার্গেট পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্মকমিশনার ফায়জুর রহমান জানান, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ সাপ্তাহিক ছুটি ও ভারতের কালীপূজা, এরপর হরতাল- এসব কারণে বন্দরের কার্যক্রম অনেকটা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আদায় হতো যদি হরতাল, অবরোধ ও শ্রমিক অসন্তোষের ফলে বন্দরে কার্যক্রম বিঘিœত না হতো।

তিনি জানান, অক্টোবর ও নভেম্বরে হরতালসহ বন্দরের অচলাবস্থা দাঁড়াবে ২১ দিন। অক্টোবর মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৯৮ কোটি ৩৩ লাখ কিন্তু সেখানে আদায় হয়েছে ১৬৮ কোটি ৫ লাখ টাকা। ঘাটতি রয়েছে ৩০ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

এদিকে হরতাল চলাকালে বেনাপোল বন্দর থেকে কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি, এমনকি সোমবার রাতে যেসব আমদানিকৃত মালামাল লোড হয়েছে সেসব ট্রাকও বন্দর থেকে ছেড়ে যায়নি। সকালে ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরাও পড়েছেন নানা সমস্যায়। পরিবহন কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় জমাতে দেখা যাচ্ছে। ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি যাওয়ার আশায় যাত্রীরা বেনাপোল পরিবহন কাউন্টারে অলস সময় পার করছেন।

ঢাকার লুনা ফ্যাশনের আমদানিকারক এমএ মুন্নাফ খোকন বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পরিবেশ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমরা ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এ রকম হলে বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে আমদানিকারকদের। কারণ পরিবেশ স্বাভাবিক না হলে মাল নিতে পারছি না। কারণ কোনো ট্রাক ছেড়ে যাচ্ছে না পথে বাড়তি ঝামেলার জন্য।

ভারতের পেট্রোপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বারবার হরতাল-অবরোধের ঘটনায় আমাদের দেশের রফতানিকারকরাও উদ্বিগ্ন। কারণ পণ্যবোঝাই মাল নিয়ে সীমান্ত এলাকায় ট্রাক-ড্রাইভাররা থাকেন ভীত। তারপর রফতানিকারকদের প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ডেমারেজ গুণতে হয় প্রায় ১৫০০- ২০০০ টাকা। সবচেয়ে বড় অসুবিধা হয় পেট্রাপোল চেকপোস্ট থেকে বনগাঁ পর্যন্ত পণ্য যানজট। ফলে সাধারন পরিবহন চলাচলে নানা সমস্যা দেখা দেয়।

(দিরিপোর্ট২৪/এফএস/এএস/জেএম/নভেম্বর ০৫, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

অর্থ ও বাণিজ্য এর সর্বশেষ খবর

অর্থ ও বাণিজ্য - এর সব খবর