thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

‘সংখ্যালঘুদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১২ ১৩:১৬:৪৮
‘সংখ্যালঘুদের বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’

দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশেষ নির্দেশনাসহ সকল ভোটারের শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়া নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনইসি সম্মেলন কক্ষে বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর সিইসি সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ নির্বাচন হবে উৎসবমুখর। এ নির্বাচনে বিশেষ করে সংখ্যালঘুরা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে জন্য বিশেষ সতর্কতা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।

সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদের বলেছেন তারা কোনো প্রকার সহিংসতার আশঙ্কা করছে না। তবুও আমরা জেলা প্রশাসকদের সার্বিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছি। আমরা প্রতিনিয়ত সবকিছু পর্যবেক্ষণ করব।

আইনশৃঙ্খলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি অনেক ভালো আছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। আমরা তা পর্যালোচনা করে দেখব।

সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের আগে দুদিন ও পরে দুদিনসহ মোট পাঁচদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। সঙ্গে অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থাকবে।

প্রার্থীর হলফনামার বিষয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কেউ চাইলে তা সংগ্রহ করতে পারবে। আমরা শিগগিরই ওয়েবসাইটে তা দিয়ে দেব।

ডিসিসি নির্বাচনের ব্যাপারে কমিশন স্থানীয় সরকারকে তাগিদ দিচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা ডিসিসিসহ সব নির্বাচন নিয়ে তাগিদ দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সব নির্বাচন করা হবে।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে বলে আমাদের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা জানিয়েছেন। আমরা তাদের বলেছি, কোনোভাবে বিশৃঙ্খলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে বৈঠক স্থগিত করে কমিশন।

বৈঠকে জেলা প্রশাসকেরা নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেন। তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। যেকোনো বিশৃঙ্খলারোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে।

প্রার্থীদের প্রচারণা ও ভোটারদের শান্তিপূর্ণ ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাস্তান ও সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কোনো রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক বা বৈষম্যমূলক আচরণ না করতে সজাগ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিকেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার দশ জন (মহিলা-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রাম পুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে। পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধুমাত্র পুলিশের ক্ষেত্রে দু’জন হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (সকল), পুলিশ সুপার (সকল), জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিরা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এমডি/সা/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর