thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি 25, ২৮ পৌষ ১৪৩১,  ১১ রজব 1446

যশোরে ফেনসিডিল মামলার আলামত ট্রাক উধাও

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৩ ২০:৩৫:২৬
যশোরে ফেনসিডিল মামলার আলামত ট্রাক উধাও

যশোর অফিস : ফেনসিডিল মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা একটি ট্রাক উধাও হয়ে গেছে যশোরের ঝিকরগাছা থেকে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ট্রাকের মালিক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মনজুর আহমেদের কাছে জিম্মায় রাখায় সে নিজেই ট্রাকটি সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঝিকরগাছা উপজেলার কীর্তিপুর এলাকার রবিউলের গ্যারেজে যান। এরপর তিনি ঝিকরগাছা থানা পুলিশের সহায়তায় তুলা বোঝাই একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১১-৩৩২৬) আটক করেন। আটক করা হয় উপজেলার নবীনগরের আমির হোসেনের ছেলে ট্রাকের হেলপার বাবু ও একই এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মনজুর আহমেদকে। পরে বাবুর দেওয়া তথ্যমতে, ট্রাকের চালকের আসনের নিচ ও টুলবক্স থেকে ৫৮৩ বোতল ফেনসিডিল জব্ধ করা হয়।

এ সময় স্থানীয় লোকজন মনজুর আহমেদকে ট্রাকের মালিক বলে ছাড়িয়ে নেয়। এ ঘটনায় এসআই আবুল কালাম আজাদ হেলপার বাবুকে চালক দেখিয়ে ও উপজেলার কলাগাছি গ্রামের সাদেক হোসেন টেনিয়ার ছেলে আসলামকে ফেনসিডিলের মালিক দেখিয়ে আসামি করে মামলা করেন। এ ছাড়া সিজার লিস্টে ফেনসিডিলের সঙ্গে ট্রাকটিও জব্দ দেখানো হয়। তবে ট্রাকের গিয়ারবক্স নষ্ট থাকায় সেটি গ্যারেজেই মেরামতের জন্য রেখে মনজুর আহমেদের জিম্মায় দেয় পুলিশ।

সূত্র জানিয়েছে, ওই ফেনসিডিলের মালিক মনজুর আহমেদ নিজেই। পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সে বেঁচে যায়। ঘটনার একদিন পরই বুধবার রাতে মনজুর ট্রাকটি গ্যারেজ থেকে নিয়ে যায়।

গ্যারেজ মালিক রবিউল ইসলাম জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে তিনি গ্যারেজে ছিলেন না। এ সময় মনজুর, তার শ্যালক ও পাশের গ্যারেজের মালিক শাহিন মিলে ট্রাকটি নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রবিউল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে শাহিন তাকে মারপিট করে।

পুলিশের জব্দ করা ট্রাক উধাও হওয়ার খবর চাউর হলে, ঝিকরগাছাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পুলিশ কীভাবে একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীর জিম্মায় আলামত দিল তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার ওসি সৈয়দ কামরুজ্জামান জানান, ফেনসিডিলের এ চালানটি কোতোয়ালি পুলিশ আটক করেছে। এজাহারে ট্রাকটি ব্যক্তি জিম্মায় দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ট্রাকটি এখন কোথায় তা জানেন না উল্লেখ করে তিনি এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুদ্দৌলাহর কাছে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান। এমনকি এ বিষয়ে সাংবাদিককেই ডকুমেন্ট নিয়ে থানায় যেতে বলেন। পরে তিনি জানান, মামলার বাদী আলামত জিম্মায় দিয়েছেন। আলামত কোথায় আছে তা তিনিই বলতে পারবেন।

মামলার বাদী আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি ঝিকরগাছা পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করায় বাদী হয়েছেন মাত্র। ট্রাকটি নষ্ট থাকায় জিম্মায় দেওয়া হয়েছিল। এখন মামলার বিষয়ে সব খোঁজ-খবর তদন্ত কর্মকর্তা রাখবেন। ট্রাক কোথায় গেছে তা তিনি (তদন্ত কর্মকর্তা) ভালো বলতে পারবেন।

(দ্য রিপোর্ট/একে/এএস/সা/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর