thereport24.com
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে 24, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৩ শাওয়াল 1445

সিজিজি ও আইনের ব্যত্যয় গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসে

২০১৩ নভেম্বর ০৫ ১৬:২৭:২৮
সিজিজি ও আইনের ব্যত্যয় গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালসে

দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ২০১২ সালের ৭ আগস্ট করপোরেট গভর্নেন্স গাইডলাইন (সিজিজি) পালন করছে না গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল কর্তৃপক্ষ। কমিশনের রিপোর্টে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে স্বতন্ত্র পরিচালক, চেয়ারম্যান ও এমডি পৃথক ব্যক্তি, সচিব ও সিএফও পদে পৃথক ব্যক্তি রাখা বাধ্যতামূলক করে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিলেও তার পাশ দিয়ে হাঁটেনি কোম্পানিটি। এছাড়া শ্রমিক ফান্ড গঠনের জন্য ২০০৬ সালে আইন করা হলেও তা মানছে না এই কোম্পানি।

প্রতিটি তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে এক-পঞ্চমাংশ স্বতন্ত্র বা নিরপেক্ষ পরিচালক রাখা বাধ্যতামূলক করা হলেও গ্লোবাল হেভীতে কোনো স্বতন্ত্র পরিচালক নাই। কিন্তু পরিচালকেরা যাতে শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে না পারে তা রোধ করার জন্য স্বতন্ত্র পরিচালক রাখার বিধান করা হয়। কিন্তু কোম্পানিটিতে স্বতন্ত্র পরিচালক না থাকায় শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে বলে ভাবছেন বিনিয়োগকারীরা।

২০১২ সালের সমাপ্ত অর্থবছরের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি, কোম্পানি ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথককরণের লক্ষে চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পৃথক ব্যক্তি রাখার নির্দেশনা থাকলেও তাও পালন করছে না কর্তৃপক্ষ।

এদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে একজন প্রধান ফাইন্যান্স অফিসার (সিএফও) ও একজন সচিব নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হলেও গ্লোবাল হেভীতে সিএফও ও সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান একাই। যেখানে একটি কোম্পানির স্বাভাবিক কার্যক্রমের কথা ভেবে দুই পদে দুই জন নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া সচিব যেহেতু সার্বিক বিষয়ে তদারকি বা খোঁজখবর রাখেন সে ক্ষেত্রে সিএফও কোনো কারসাজি করলে তা সচিবের দৃষ্টিতে আসতে পারে, বোর্ডকে অবগত করতে পারে। কিন্তু উভয়পদে একই ব্যক্তি হলে সে সম্ভাবনা থাকে না।

কোম্পানিতে শ্রমিকদের জন্য নীট আয়ের উপর ৫ শতাংশ হারে ফান্ড গঠন ও এর দুই-তৃতীয়াংশ বিতরণের লক্ষে ২০০৬ সালে শ্রম আইন করা হলেও তা করছে না গ্লোবাল হেভী কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে তারা শ্রমিকদের জন্য ফান্ড গঠন না করে তাদের সঙ্গে যেমন প্রতারণা করছে ঠিক তেমনি ভঙ্গ করছে আইন।

এদিকে তালিকাভুক্ত হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে কোম্পানির এমডি ও দুই পরিচালকের সম্মানি অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর কোম্পানি আইন ও করপোরেট গভর্নেন্স গাইডলাইনসে পরিচালকদের সম্মানি গ্রহণের বিষয়ে নোট বা ব্যখ্যা দিতে বলা হলেও কে কি পরিমাণ সম্মানি নেয় শুধু তা দায়সারাভাবে উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ করপোরেট গর্ভনেন্স গাইডলাইনস ও শ্রম আইন অমান্য করে আইন বিরোধী কর্মকাণ্ড করার পরও অডিটরস আতিক খালেদ অ্যান্ড কোং তার প্রতিবেদনে গ্লোবাল হেভীর গুণগান গেয়েছে। এছাড়া কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রোপার বুকস তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে আতিক খালেদ অ্যান্ড কোং।

কোম্পানির ফাইন্যান্স বিভাগের আহাদুজ্জামান উল্লিখিত বিষয়ে করপোরেট গভর্নেন্স গাইডলাইনস মানা হচ্ছে না বলে স্বীকার করে নেন। তবে তারা গাইডলাইনস পরিপালনের চেষ্টা করছেন বলে জানান। যা চলতি অর্থবছরের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে পরিপালিত হবে বলে বিশ্বাস করেন। তবে শ্রমিকদের জন্য ফান্ড গঠন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

(দিরিপোর্ট২৪/আরএ/এমসি/নভেম্বর ০৫, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

SMS Alert

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর