thereport24.com
ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১,  ২৫ জমাদিউল আউয়াল 1446

মধ্যরাত থেকে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ

সোমবার মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১৮:৩৬:১৪
সোমবার মাঠে নামছে সেনাবাহিনী

মাহফুজ স্বপন দ্য রিপোর্ট : আর দুইদিন পরই চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোট। প্রস্তুত ৪০ জেলার ৯৭ উপজেলা। ইতোমধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায়।

স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সোমবার থেকে মাঠে থাকছে সেনাবাহিনী। সঙ্গে থাকছে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য। এসব উপজেলার জন্য সব মালামাল পাঠিয়েছে ইসি। এখন শুধু অপেক্ষা।

এদিকে সোমবার মধ্যরাতেই শেষ হচ্ছে মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। একই সঙ্গে বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের যান চলাচল। এত বড় নির্বাচনের মহড়া শুরু হলেও এখনও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হয়নি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন দলীয় ব্যানারে না হলেও দলীয় প্রভাব রয়েছে সবখানেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দমতো প্রার্থী দিয়েছে। রয়েছে প্রধান দু’টি দলেরই অসংখ্য বিদ্রোহী প্রার্থী। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ। তবে এ নির্বাচনে নেই কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে (ইসি)। ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

মধ্যরাতেই বন্ধ হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা

সোমবার মধ্যরাতেই বন্ধ হচ্ছে মিছিল-মিটিংসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। দশম সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশ না নিলেও উপজেলা নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছে। যে কারণে উপজেলা নির্বাচন বরাবরের চেয়ে এবার হয়ে উঠেছে আরও জমজমাট। ফলে এ নির্বাচনকে ঘিরে বিরাজ করছে জাতীয় নির্বাচনের আমেজ।

নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ১০২টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করলেও আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে ৪০ জেলার ৯৭টি উপজেলায়। সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতার কারণে রংপুরের চারটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ দফার পীরগঞ্জ উপজেলার ভোট হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি।

নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শন্তিপূর্ণ করতে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সারাদেশে ৪৮৭ উপজেলার এ পর্যন্ত চার ধাপে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ম ধাপের তফসিলও চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।

এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সহকারী সচিব আশফাকুর রহমান জানান, নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগে সব প্রচার-প্রচারণা বন্ধ থাকবে। তা অব্যাহত থাকবে নির্বাচনের পর ৬৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। কেউ আইন ভঙ্গ করলে কারাদণ্ড ও আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল হবে।

নামছে সেনা, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রথম ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করতে সোমবার থেকে ৯৭টি উপজেলায় নামছে সেনাবাহিনী। নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে মোট পাঁচ দিন তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে তারা। প্রতি উপজেলায় ১ প্লাটুন করে সেনাবাহিনীর সদস্য টহল দেবেন। বড় উপজেলায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে। পাশাপাশি প্রতি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুই থেকে তিনটি গাড়ি থাকবে। সঙ্গে সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার ও একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।

এ ছাড়া মোবাইল ফোর্স হিসেবে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে। এ ছাড়া প্রতি কেন্দ্রে একজন পুলিশ (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার একজন (অস্ত্রসহ), অঙ্গীভূত আনসার ১০ জন (মহিলা-৪, পুরুষ-৬ জন) এবং আনসার একজন (লাঠিসহ) ও গ্রামপুলিশ একজন করে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবে।

পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও হাওর এলাকায় এ সংখ্যা শুধু পুলিশের ক্ষেত্রে দু’জন হবে। ১৯ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৩৮৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯৭ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।

প্রার্থী, ভোটকেন্দ্র, ভোটার ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা

৯৭টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ২৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৪৩২ জন। ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর সংখ্যা ৫১৩ জন। ভাইস-চেয়ারম্যান (মহিলা) প্রার্থীর সংখ্যা ৩২৯ জন।

এসব এলাকায় মোট ভোটার ১ কোটি ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার ১৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৭ জন, নারী ভোটার ৮২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩৫ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৯৫টি, ভোটকক্ষ ৪৩ হাজার ২৯০টি। প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৬ হাজার ৯৯৫ জন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য এক জন করে মোট ৪৩ হাজার ২৯০ জন। এবং পোলিং অফিসার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৫৮০ জন দায়িত্ব পালন করবেন।

প্রার্থীকে জরিমানা

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকা জেলায় ৩ প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। তারা হলেন- দুটি ধারায় মাসুদ খান মজলিশকে ১০ হাজার টাকা, নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলুকে ১ হাজার ও দীপঙ্কর সরকারকে ১ হাজার টাকা। গত শনিবার নবাবগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল কোর্ট তাদের জরিমানা করে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব মো. ফরহাদ হোসেন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএস/এনডিএস/এনআই/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর