thereport24.com
ঢাকা, শনিবার, ১১ জানুয়ারি 25, ২৮ পৌষ ১৪৩১,  ১১ রজব 1446

রাজশাহীতে পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন শিক্ষা কর্মকর্তা

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১৯:২১:৫০
রাজশাহীতে পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালালেন শিক্ষা কর্মকর্তা

রাজশাহী অফিস : রাজশাহীর বাঘায় এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মকিম। ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করার অভিযোগে ইসলামী একাডেমি এসএসসি ভোকেশনাল কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা ধাওয়া দিয়ে তাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঘুষ দাবি করার অভিযোগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ৮টি কারিগরি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রবিবার এসএসসি ভোকেশনালের পদার্থবিজ্ঞান-২ পরীক্ষা ছিল। বাঘা ইসলামী একাডেমির কারিগরি স্কুল কেন্দ্রের ভেন্যু কেন্দ্র শাহদৌলা ডিগ্রি কলেজে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল মকিম নানা অভিযোগ তুলে পরীক্ষার্থীদের হয়রানি করতে থাকেন। এরই মধ্যে কেন্দ্রের ভেতরে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মকিম কেন্দ্র সচিবের কাছে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। এই টাকা না দিলে নকল করার অভিযোগ তুলে তিনি পরীক্ষার্থীদের হয়রানিসহ গণহারে বহিষ্কার করবেন। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পরীক্ষার্থীরা। এরপর পরীক্ষা শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল ও শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মকিমকে ধাওয়া করে। এ সময় শিক্ষা কর্মকর্তা পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরীক্ষার্থীরা শান্ত হয়। পরে ইসলামী একাডেমি কেন্দ্রের সহকারী কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মাইনুল ইসলাম, সহকারী হল সুপার অধ্যক্ষ রেজাউল করিম ও অধ্যক্ষ শামরুল ইসলাম লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

কেন্দ্র সচিব ও ইসলামী একাডেমির অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দ্য রিপোর্টকে জানান, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মকিম ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে আসছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করেছে। এই কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া না হলে পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে ঘুষ দাবি ও ধাওয়া খেয়ে পালানোর কথা অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মকিম দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি এবং মোটরসাইকেল নিয়েই আবার চলে এসেছি। সেখান থেকে পালানোর প্রশ্নই আসে না। যারা এই ধরনের কথা রটাচ্ছে, তারাই ওই কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নকল করতে সহযোগিতা করছেন। এতে বাধা দেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন।’

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা দিল হাছিন দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএইচ/এএস/সা/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর

জেলার খবর - এর সব খবর