thereport24.com
ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে 24, ২০ বৈশাখ ১৪৩১,  ২৪ শাওয়াল 1445

বিশ্ব ভ্রমণে বেরুচ্ছে সৌরশক্তিচালিত বিমান

২০১৪ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১৯:৫৫:৫৮
বিশ্ব ভ্রমণে বেরুচ্ছে সৌরশক্তিচালিত বিমান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ২০১৫ সালে বিশ্ব ভ্রমণে বেরুবে বিশ্বের প্রথম সৌরশক্তিচালিত বিমান। মধ্যপ্রাচ্যের কোনো এক দেশ থেকে যাত্রা শুরু করা বিমানটির প্রথম গন্তব্য হবে ভারত। ভারত থেকে মিয়ানমার হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশ ও মহাসাগর পাড়ি দেবে বিমানটি। খবর : এনডিটিভির।

সৌরশক্তিচালিত হলেও বিমানটি কিন্তু একটানা ২৪ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বিমানটি প্রদর্শনের জন্য উম্মুক্ত করা হবে। বিমানটি তৈরি করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক কোম্পানি সোলার ইমপালস।

২৭৪০ কেজি ওজনের বিমানটি ১২ হাজার সোলার সেলের মাধ্যমে সূর্যের আলো থেকে শক্তি আহরণ করবে। বিমানটির গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার।

সোলার ইমপালস’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আন্দ্রে বোর্শবার্গ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘সূর্য থেকে শক্তি সংগ্রহ করে বিমানটি দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই টানা উড়তে সক্ষম হবে।’

তবে বিমানটি একটানা উড়তে সক্ষম হলেও চালক বদলের জন্য অবশ্যই বিরতি দিতে হবে। কারণ বিমানটিতে মাত্র একজন চালক থাকবেন।

বিমানটির বিশ্ব ভ্রমণের মেয়াদকাল হবে তিন মাস। এ সময় বিমানটি আকাশে উড়বে মোট ২০ থেকে ২৫ দিন। প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিতে বিমানটির সময় লাগবে ৫ দিন।

বোর্শবার্গ বলেন, ‘সৌর প্রযুক্তি ব্যবহার করে কী ধরনের অসাধ্য সাধন করা সম্ভব- বিমানটি হবে তার জ্বলন্ত উদাহরণ।’

সুইস সরকারের সহায়তাপ্রাপ্ত এই বিমান নির্মাণ প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বোর্শবার্গ বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল তরুণ প্রজন্মকে সৌর প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনা সম্পর্কে উৎসাহিত করা।’

তিনি বলেন, ‘এই পরীক্ষাটি চালানো হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে কীভাবে জীবাশ্ম জ্বালানির সাশ্রয় করা সম্ভব তার নজির স্থাপন করার জন্য। এর মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হবে, যদি আমরা আকাশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে সফল হতে পারি তাহলে নিচেও এর ব্যবহারে সাফল্য অর্জন সম্ভব।’

এ ছাড়া বিমানটিতে যে ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে একই প্রযুক্তি অফিস-আদালত, বাসভবন ও গাড়িতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া মহাকাশে উৎক্ষিপ্ত স্যাটেলাইটেও এ প্রযুক্তির ব্যবহার করা যাবে বলে জানান বোর্শবার্গ।

প্রসঙ্গত, সৌর প্রযুক্তি ব্যবহারে খরচ বেশি হওয়ায় তা এখনও জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে আশার কথা হল, চীনারা ইতোমধ্যেই এর উৎপাদন খরচ কমিয়ে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের খরচ কমিয়ে আনার প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/এসকে/সা/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

SMS Alert

বিশ্ব এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ব - এর সব খবর